somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ল্যাপটপে আগুন লাগা বিষয়ে দুটি খবর; সতর্কতামূলক পোস্ট

১২ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ১১:১৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


Click This Link


Qamrul's nephew 'burned to death'

Sun, Oct 7th, 2012 2:16 pm BdST
Dhaka, Oct 7 (bdnews24.com)—State Minister for Law Qamrul Islam's nephew Ahmed Shawkat Masud was 'burned to death' in his room at his Kazipara residence in Mirpur on Sunday.

Firemen and police think the opposite of what the family members of Masud claimed when he died after his laptop exploded.

No evidence was also found on the crime scene in support of the family's claim.

Masud, 43, was declared dead after he was taken to Dhaka Medical College and Hospital around 11:15am, said Shahbagh Police Station Officer-in-Charge Sirajul Islam.

Qamrul rushed to the hospital after hearing the news of the mishap. The minister said his nephew was burned to death.

Construction workers from an adjacent house informed others of the place, where Masud lived in a flat with his school-going child, when they saw smoke emitting from the flat, his cousin Ziaur Rahman Zia told bdnews24.com. Zia lives in the flat adjacent to that of Masud.

Masud had no relation with his wife for around a year, he said.

"After entering the flat breaking the door, we saw his (Masud) body lying half on the bed and the other part on the floor. His entire body was burnt. The bed and his clothes were burning," he said.

"We also saw smoke emitting from the laptop," Zia said.

"I think the laptop burst originating the fire," he added.

Masud had left his AB Bank job sometimes ago and started to manage family business, he added.

Senior fire service official Anwarul Hoque and Mirpur's Deputy Commissioner of Police Imtiaz Ahmad visited the scene in the afternoon.

They confirmed they did not find any sign of the fire originating from any electric problems or from the laptop.

They could not confirm immediately how the fire started and said they will wait for reports.

bdnews24.com/lh/ost/ano/bd/1909h



Click This Link
কয়েক দিন আগে ঢাকার মিরপুরের এক ব্যবসায়ী অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গেছেন। সংবাদমাধ্যমে আসা খবরে বলা হয়েছে, ল্যাপটপ বিস্ফোরণে বিছানায় আগুন ধরে যায় এবং এ দুর্ঘটনা ঘটে। যদিও আগুন লাগার প্রকৃত কারণ এখনো অনুসন্ধানে জানা যায়নি, তবে ল্যাপটপ কম্পিউটার বিস্ফোরণের ব্যাপারটি চলে এসেছে। আসলেই কি ল্যাপটপে আগুন ধরে যেতে পারে বা এটা বিস্ফোরিত হতে পারে?
বেশ কিছুদিন ধরে সারা বিশ্বে ল্যাপটপ কম্পিউটার বিস্ফোরণ এবং এ বিষয়ে নানা তর্ক-বিতর্ক চলছে। তবে ল্যাপটপ কম্পিউটারে আগুন ধরে যাওয়ার ঘটনা একেবারে নতুন নয়। এ ধরনের দুর্ঘটনায় হতাহত হওয়ার নজিরও আছে। যুক্তরাষ্ট্রে একজন ভারতীয় বংশোদ্ভূত নাগরিকের মৃত্যুও হয়েছে।কানাডা ও ভারতেও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। সারা বিশ্বে এ ধরনের যে কয়টি দুর্ঘটনা ঘটেছে, তার বেশির ভাগই ছিল ডেল ব্র্যান্ডের ল্যাপটপ কম্পিউটার। এমন আগুন ধরে যাওয়ার বা বিস্ফোরণের যত ঘটনা ঘটেছে, তার ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশের জন্য দায়ীত্রুটিপূর্ণ ব্যাটারি।কয়েক বছর আগে ডেল ল্যাপটপ কম্পিউটারের ব্যাটারি প্রত্যাহার নিয়ে বিশ্বজুড়ে অনেক আন্দোলনও হয়েছে। ডেলের এই ব্যাটারিগুলোর বেশির ভাগই ছিল সনির তৈরি। ২০০৫ সালে ডেল ২২ হাজার ল্যাপটপ প্রত্যাহার করে নিয়েছিল। এ ছাড়া ত্রুটিপূর্ণ ব্যাটারির কারণে ল্যাপটপ প্রত্যাহার করে নিতে হয়েছিলসনি ও আইবিএমের মতো বড় প্রতিষ্ঠানকেও।(সূত্র: http://www.thisismoney.co.uk/ money/news/article-1601452/ Could-your-laptop-burst-into-flames.html এবং http://indiatoday.intoday.in/ story/ overheated-laptop-batteries-a-fire-hazard/1/159486.html)

আসল কথা
ইতিহাস ছেড়ে এবার মূল কথায় আসা যাক। ল্যাপটপে আগুন ধরে যাওয়া বা বিস্ফোরণ ঘটার মূল কারণব্যাটারি অতিরিক্ত গরম হয়ে যাওয়া (ওভারহিটিং)।আর এ কারণেব্যাটারিতে শর্টসার্কিট হয়ে আগুন লেগে যেতে পারে বা বিস্ফোরিত হতে পারে। বর্তমানে প্রায় সব ল্যাপটপে ব্যবহূত হয় লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি, যা কম জায়গায় বেশি শক্তি জমা করে রাখতে পারে।জায়গার সাশ্রয় হলেও এটি বিপদের আশঙ্কা বাড়ায়।কারণ, এতে ব্যবহূত তড়িৎ-বিশ্লেষ্য (ইলেকট্রোলাইট) হিসেবে যে পদার্থ ব্যবহার করা হয়,তা দাহ্য ধরনের।ব্যাটারি উৎপাদনের সময় এই তড়িৎ-বিশ্লেষ্যে একধরনের ধাতব গুঁড়া (মেটালিক পার্টিকল) রয়ে যায়। যে ব্যাটারি যত ভালো, সেটিতে ধাতব গুঁড়া থাকবে তত কম।ব্যাটারির অ্যানোড ও ক্যাথোড, অর্থাৎ ধনাত্মক ও ঋণাত্মক চার্জের মধ্যে একটি বিভাজক থাকে। ব্যাটারি বেশি গরম হয়ে গেলে ওই ধাতব গুঁড়াগুলোর ছোটাছুটির গতি বেড়ে যায়।এর ফলে ধাতব গুঁড়াগুলোর আঘাতে বিভাজক ফুটো হয়ে যেতে পারে;আর তখনই ধনাত্মক ও ঋণাত্মক চার্জ পরস্পরের সংস্পর্শে চলে আসে, অর্থাৎ শর্টসার্কিট হয়। এই শর্টসার্কিটই হলো ল্যাপটপের ব্যাটারিতে আগুন ধরে যাওয়া বা বিস্ফোরণের মূল কারণ।
এ ছাড়া ল্যাপটপের প্রচলিত ব্যাটারিগুলো অনেক ছোট আকারে বানানো হয়। এতে ব্যাটারির ভেতরে অনেক বেশি চাপ থাকে। কোনো ব্যাটারির তাপমাত্রা বাড়লে সেটির ভেতরের চাপও বাড়ে। এ কারণেও একপর্যায়ে ল্যাপটপের ব্যাটারি বিস্ফোরিত হতে পারে।
মাঝেমধ্যে ক্যাপাসিটর বিস্ফোরিত হয়েও ল্যাপটপে আগুন লাগতে পারে।ল্যাপটপের ডিভিডি-রম ড্রাইভের পাশে বড় আকারের ক্যাপাসিটর থাকে।

ব্যবহারকারীদের উদ্দেশে
দেশে সাধারণত অফিস ও বাসয় যে ধরনের অগ্নিনির্বাপক ব্যবহার করা হয়, তা দিয়ে কাঠজাতীয় পদার্থের আগুন ছাড়াও তড়িৎ ও রাসায়নিক পদার্থ থেকে সৃষ্ট আগুন নেভানো বা প্রতিরোধ করা সম্ভব। কিন্তু ল্যাপটপে যে ধরনের আগুন ধরে যায়, তার জন্য দায়ীহলো তড়িৎ, রাসায়নিক ও ধাতব পদার্থ। ধাতব আগুন নেভানোর জন্য বালু বা বিশেষ নির্বাপক ব্যবহার করতে হবে।
হঠাৎ ল্যাপটপে আগুন ধরে গেলে পানি ব্যবহার করা ঠিক হবে না।এতে আগুন না নিভে বাড়তে পারে।
অনেকে সরাসরি বিছানার ওপর ল্যাপটপ ব্যবহার করেন, এটি ঝুঁকিপূর্ণ। বিছানায়ল্যাপটপ রাখলেএর নিচ ও পাশ দিয়ে সহজে তাপ বের হতে পারে না। এ ক্ষেত্রে ল্যাপটপের চার কোনায় কিছু দিয়ে বিছানা থেকে উঁচু করে নিয়ে তাপ বেরিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
সারা রাত ল্যাপটপের ব্যাটারিতে চার্জ দিয়ে রাখলেও দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। অনেক ল্যাপটপেই বাড়তি চার্জ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা থাকে না।
ল্যাপটপ চালিয়ে বিছানার পাশে রেখে ঘুমিয়ে যাওয়া কোনোভাবেই ঠিক নয়।
অনেক সময় কুলিং ফ্যান ঠিকভাবে কাজ না করলে ব্যাটারি গরম হয়ে যেতে পারে।ল্যাপটপের তাপমাত্রা স্বাভাবিক অবস্থার চেয়ে বেড়ে গেলেই সতর্ক হওয়া উচিত।

আতঙ্কের কিছু নেই
ল্যাপটপের ব্যাটারিতে আগুন ধরে যাওয়ার ঘটনা খুব বেশিঘটেছে, এমন নয়। প্রযুক্তির উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে এ আশঙ্কা আরও অনেক কমে এসেছে।তাই আতঙ্কিত না হয়ে, সাধারণ সতর্কতা অবলম্বন করাই যথেষ্ট।
মাহমুদুল হাসান: তড়িৎ ও ইলেকট্রনিকস প্রকৌশলী এবং চেয়ারম্যান, অন্য রকম গ্রুপ

সবাইকে ধন্যবাদ
৭টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বিসিএস দিতে না পেরে রাস্তায় গড়াগড়ি যুবকের

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৫৫

আমাদের দেশে সরকারি চাকরি কে বেশ সম্মান দেওয়া হয়। আমি যদি কোটি টাকার মালিক হলেও সুন্দরী মেয়ের বাপ আমাকে জামাই হিসেবে মেনে নিবে না। কিন্তু সেই বাপ আবার ২০... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। আমের খাট্টা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৪



তাতানো গরমে কাল দুপুরে কাচা আমের খাট্টা দেখে ব্যাপারটা স্বর্গীয় মনে হল । আহা কি স্বাদ তার । অন্যান্য জিনিসের মত কাচা আমের দাম বাড়াতে ভুল করেনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪



উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ইতং বিতং কিচ্ছার একটা দিন!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩



এলার্ম এর যন্ত্রণায় প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার। পুরাপুরি সজাগ হওয়ার আগেই আমার প্রথম কাজ হয় মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করা, আর স্ক্রীণে এক ঝলক ব্লগের চেহারা দেখা। পরে কিছু মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কে কাকে বিশ্বাস করবে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৯


করোনার সময় এক লোক ৯৯৯ এ ফোন করে সাহায্য চেয়েছিল। খবরটা স্থানীয় চেয়ারম্যানের কানে গেলে ওনি লোকটাকে ধরে এনে পিটিয়েছিলেন। কারণ, ৯৯৯ এ ফোন দেওয়ায় তার সম্মানহানি হয়েছে।

সমাজে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×