এমনিতেই এখন ইভা আপু চরম ব্যস্ত সময় পার করছে। তার উপর আবার সামনে বিশ্বকাপ আর এর সাথে রয়েছে নতুন গানের এলবাম বের করা সহ চ্যানেল এ বার বার নিজের বদন খানি দেখানো সাথে আছে কাক্কু এর সাথে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যাওয়া। হাজার হোক, কাক্কু এর সঙ্গ না পেলে আপুর মন যেন হয়ে ওঠে মরুভুমি। আর কাক্কু!! তা আর বলতে। চিরসবুজ এক মন নিয়ে সে আজো এক ক্রেজ়!!!
তবে তারা বাহিরে সবাইকে হাসিখুশি দেখিয়ে বেড়ালেও ভিতরে ভিতরে তারা কি রকম এ ব্যপারটা আমার জানার অনেক দিনের শখ ছিল। অনেক চেষ্টার পর সেই কাংখিত সুযোগ পেয়ে গেলাম। তাদের বাসার দেখা শোনার জন্য কেয়ারটেকার টাইপ এক মধ্য বয়শী লোক আছে। তাকে কোনরকমে হাত করে নিলাম। আর তাকে বললাম যে অন্তত এক রাতের জন্য কাক্কুর রুম এ খাটের নিচে লুকিয়ে থাকার সুযোগ করে দেয়ার জন্য।
অবশেষে সেই সুযোগ পেলাম। সময়টি ছিল শুক্রবার রাত। রুমে আগে থেকেই কাক্কু ছিলেন। উনি কি একটা কারণে জানি খুব মেজাজ খারাপ করছিলেন বাড়ির সবার সাথে। তার কথা বলার ভঙ্গিটাও অন্যরকম লাগছিল। মনে হচ্ছিলো উনি মদ খেয়েছেন। হয়ত খেয়েছেনও। এই সময়ে ঘরে প্রবেশ করতে দেখলাম আমাদের হট (ইভা) আপুকে। উনি আসতেই যেন ঘর আলোকিত হয়ে গেল।
সে যাই হোক, উনি আসতেই দরজা লাগিয়ে দিলেন কাক্কু। আমি হাতের ঘড়িতে লক্ষ্য করে দেখলাম রাত বাজে ১২.১৫ আর এত রাতে আপু কোথা থেকে আসলেন?
কাক্কুঃ কই ছিলে?
আপুঃ ছিলাম এক বন্ধুর বাড়ি। কেন? তুমি জানো না বুঝি।
কাক্কুঃ না জানি না আমি। (রাগী কন্ঠে)
আপুঃ তাহলে জানার দরকার নাই।
কাক্কুঃ তোমাকে আজকে চরম লাগছে।
আপুঃ আমাকে প্রতিদিনই এমন লাগে। এ আর নতুন কি!!
কাক্কুঃ আচ্ছা, আমাকে তোমার পাশে দাঁড়ালে কেমন লাগে?
আপুঃ আমার ভাল না খারাপ লাগে সেটা জানি না তবে অন্যদের কারো কাছেই ভাল লাগে না। তারা তোমাকে বুইড়া বলে গালি দেয় আড়ালে। আমার মান সম্মান সব ধুলোয় মিশে যায় তখন।
কাক্কুঃ কি? কার এত বড় সাহস!! বল দেখি?
আপুঃ তারা এও বলে যে ইভা আপু কি সুন্দরী অথচ কার সাথে ঘর করছে। শরীর এ যেন কোন শক্তি নেই।
কাক্কুঃ কে বলেছে নেই? আসো আজকে আমার কাছে। দেখাচ্ছি মজা। ভায়াগ্রা খেয়েছি আজকে।
আপুঃ থাক লাগবে না। তুমি তো আবার এটা ছাড়া কিছুই পারো না।
কাক্কুঃ খামোশ!! ভুলে যেও না যে আমি তোমাকে নতুন জীবন দিয়েছি। আমার কথাতেই তোমাকে চলতে হবে।
আপুঃ হ ম ম। সেটাই তো প্রব্লেম। আর তা না হলে কি তোমার আশেপাশে আসতাম কখন ও!! তোমার গা দিয়ে আসে চরম বোটকা গন্ধ!! তাই তোমার কাছে যেতে ইচ্ছা করে না।
কাক্কুঃ বাচ্চা নেয়ার কি হল, সেটা বল
আপুঃ তোমাকে তা ভাবতে হবে না। তুমি যেহেতু পারছোই না তাই আমার এক পুরোতন প্রেমিকের সাথে আবার নতুন করে যোগাযোগ শুরু করেছি।
কাক্কুঃ সাবধান!! মিডিয়া যাতে না জানে।
আপুঃ মিডিয়া জানবে কিনা জানি না তবে সে এক পত্রিকা অফিসেই কাজ করে!!
অনেক রাত হয়েছে। এইবার আমাকে ঘুমাতে দাও তো। আর আমার পা টা ম্যাজ ম্যাজ করছে। একটু টিপে দাও।
এই হইলো কাহিনি তাইলে!! আমি শুইনা তো থ!!! এখন ঘুমিয়ে পড়া দরকার বলে কখন যে খাটের নিচে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম তা মনে নেই।
শুভরাত্রি
বিঃদ্রঃ ইহা একটি ফান পোস্ট। বাস্তবের সাথে এর কোন মিল নেই।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



