বহুদিন পর ব্লগে আসলাম। কেমন জানি নতুন নতুন লাগছে সবকিছু। আগের সেই উত্তাপটা এখন আর তেমন অনুভব করতে পারছি না। সে যাই হোক, অনেকদিন পর ব্লগে আসতে পেরে ভাল লাগছে।
প্রথমেই বলে রাখি, স্টুডেন্ট ভিসায় কানাডা আসার ২ টা পোস্ট দিয়েছিলাম বেশ আগেই। যারা পড়েননি তাদের জন্য নিচের নিচে লিংক দিলাম।
স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে যারা কানাডা আসতে চান তাদের জন্য কিছু টিপস (অবশ্য পাঠ্য)
কানাডায় বিশ্ববিদ্যালয়/কলেজ নির্বাচন এবং আরো কিছু প্রয়োজনীয় পরামর্শ (নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে)
এই পোস্ট ২ টি দেয়ার পর অনেক ব্লগার ভাই বোনেরা তাদের প্রয়োজনীয় প্রশ্ন করেছেন। আমি চেষ্টা করেছি আপনাদের প্রশ্নগুলোর সঠিক উত্তর দেয়ার। আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য।
জরুরি কিছু বিষয় আজকে শেয়ার করবো বলেই নতুন করে আবার পোস্ট দিলাম।
প্রস্তুতি পর্ব
আপনি যদি অতিমাত্রায় ধৈর্য্যশীল হয়ে থাকেন তবে কানাডা আপনাকে বরণ করে নেয়ার জন্য অপেক্ষা করে আছে। এই কথাটা কেন বললাম তা হয়তো অনেকেই বুঝতে পারছেন না। যারা বুঝেছেন তাদেরকে ধন্যবাদ। কানাডায় স্টুডেন্ট হিসেবে আসতে হলে প্রথমেই আপনাকে ইউনিভার্সিটি নির্বাচন করতে হবে। আমাকে অনেকেই প্রশ্ন করে কিভাবে কিংবা কোন ইউনিভার্সিটি নির্বাচন করবো? আবার অনেকেই প্রশ্ন করেন স্নাতক নাকি স্নাতকত্তর; কোন সময়ে আসা ভাল? কোন বিষয়ে পড়তে আসলে ভাল?
আপনাদের এসব প্রশ্নের উত্তর গুলো দেয়ার চেষ্টা করছি –
১। মনে রাখবেন, আপনার একটু চেষ্টা থাকলে আপনি কারো সাহায্য ছাড়াই এসব প্রশ্নের উত্তর আপনা আপনি পেয়ে যাবেন। প্রথমেই গুগল মামার সাহায্য নিন। কানাডার যে কয়টা ইউনিভার্সিটি আছে সেগুলো খুজে বের করুন; প্রভিন্স, শহর অনুসারে। এবার বাছাই করুন কোন ইউনিভার্সিটিতে এবং কোন বিষয়ে আপনি পড়তে ইচ্ছুক।
২। আমার মতে স্নাতক পর্যায়ে কানাডায় আসা সবচেয়ে বুব্ধিমানের কাজ। কারণ স্নাতক পাশ করে কিংবা পাশ করার আগেই জব পাওয়া তুলনামূলকভাবে বেশ সহজ।
৩। যেই ইউনিভার্সিটি এবং বিভাগ নির্বাচন করবেন তার বিভাগীয় অ্যাডভাইজারের সাথে যোগাযোগ করুন। উনি আপনাকে প্রয়োজনীয় তথ্য্ দিয়ে সহায়তা করবেন। বিশেষ করে যারা স্নাতকত্তর করতে আসতে চান তাদের জন্য এটা মাস্ট। আমাকে অনেকেই প্রশ্ন করেন কিভাবে যোগাযোগ করবো তাদের সাথে? তাদের সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে ইমেইলে করুন। মনে রাখবেন, এরা অনেক ব্যস্থ থাকেন। আর তাই ১ টা ইমেইল দিয়ে বেশিদিন অপেক্ষা না করে ৪/৫ টা ইমেইল দিয়ে উনাকে আপনার আগ্রহের কথা জানান।
৪। ইউনিভার্সিটিতে আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করুন। এবং যেই সিমিস্টারে আপনি পড়তে আসতে চান তার ৬/৭ মাস আগে আবেদন করুন। কারণ ইউনিভার্সিটি থেকে অফার লেটার আসার পর আপনার ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। যেটা বেশ সময় সাপেক্ষ; ২ মাস কিংবা আরো বেশি সময় লাগতে পারে।
৫। আপনার পাসপোর্ট এর মেয়াদ ঠিক আছে কি না দেখুন। কমপক্ষে ৩/৪ বছর মেয়াদ থাকলে ভাল।
কানাডা যাবার পূর্বপ্রস্তুতি
অনেকেই দেখা যায় দেশ ছাড়ার ১ সপ্তাহ আগে তড়িঘড়ি করে বাসা ঠিক করতে চান। অনেক বাসা বা থাকার কোন ব্যবস্থা না পেয়ে কি করবেন তা নিয়ে হাহুতাশ করেন। তাদের জন্য বলছিঃ দেশ ছাড়ার আগে বাসা ঠিক করে যান। সবচেয়ে ভাল হয় যদি ইউনিভার্সিটির হলে থাকেন। সে ক্ষেত্রে আপনাকে বেশ আগেই বুকিং দিয়ে রাখতে হবে। যদিও হলের ভাড়া বেশ ব্যয়বহুল। অনেক হিডেন খরচ থাকে এদের। তাই সাবধান থাকাটা জরুরি। আর যাদের বন্ধু বান্ধব আছে তাদের তো কোন কথাই নাই।
কানাডায় আসার পর
১। প্রতিটা ইউনিভার্সিটিতেই স্টুডেন্ ইন্টারন্যাশনাল অফিস থাকে। তাদের অফিসে যেয়ে কথা বলুন। তাদেরকে জানান আপনি নতুন এসেছেন। কি করতে হবে, আপনার করণীয় এখন কি কি। মনে রাখবেন, visa এবং work permit এক জিনিস না। এটা অনেকেই ভুল বুঝে থাকেন। ভিসা কাজে লাগে যখন আপনি কানাডার বাহিরে কোথাও যাবেন এবং সেখান থেকে ফেরৎ আসবেন। ঠিক সময় মত যাবতীয় কাগজ রিনিউ করতে ভুলে যাবেন না।
২। বিভাগীয় অ্যাডভাইজারের সাথে সরাসরি দেখা করুন। আপনার আগ্রহের কথা জানান। কোন প্রশ্ন থাকলে করুন। উনার কাছে যাবার আগে প্রস্তুতি নিয়ে যান।
আজ এই পর্যন্তই। আপনাদের কারো কোন প্রশ্ন থাকলে করতে পারেন।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৩৪