তারকোভস্কির স্টুডেন্ট থাকাকালীন ছবি চারটি ও ডকুমেন্টারিটি বাদ দিয়ে বাকী ছবিগুলো মানে- স্টকার, সোলারিস, নস্টালজিয়া, ইভানস চাইলড হু , মিরর , স্যাক্রিফাইস আমার দেখা ছিল। স্টকার, মিরর আর ইভানস চাইলডহুড মোট তিনবার করে দেখেছি। কিন্তু আন্দ্রেই রুভলেভ দেখা হয় নাই। মানে হাতের কাছে পাই নাই। ঢাকায় যে শোগুলো হয়েছিল তাও মিস করেছি। এবার বসুন্ধরা সিটির ডিভিডির দোকানগুলোতে রুভলেভ পেয়ে গেলাম। এই ছবিটি যাকে নিয়ে সেই আন্দ্রেই লুভলেভ মোটেও ফিকশনাল ক্যারেকটার নন। তিনি রাশিয়ার মধ্যকালীন একজন শিল্পী। জন্ম 1360। মৃতু্য 1430। রুভলেভের জীবনকে ক্যামেরায় তুলেছেন তারকোভস্কি। 15 শতকের রাশিয়াকে তুলে আনা বিশ শতকরে তারকোভস্কির জন্য কঠিনই ছিল। কিন্তুদেখার পর মনে হয়, ফিল্মটির দৃশ্যগুলো 15 শতকেই তুলে রাখা। পাশাপাশি আছে নায়ক রুভলেভকে তিনি যথারীতি জন্ম থেকে স্রেফ নায়ক হিসাবে তৈরি করেন কি না। না। রুভলেভ শুরু থেকে নায়ক নন। তার ভেতর আগাগোড়া আর্টিস্টিক প্যাশন ছিল বটে। কিন্তু ফিল্মে কখনো তিনি স্রেফ দর্শক, কখনো অপ্রধান চরিত্র, আবার কখনো নিষ্ক্রিয় হতাশ শিল্পী। শেষ পর্যন্ত তিনি ঘন্টা বানানো বালকের কর্মযজ্ঞে উৎসাহিত হয়ে শুরু করেন তার শিল্পকর্ম নির্মাণ।
খিস্টধর্মের মোটিফগুলো নিয়ে কাজ করেছেন আন্দ্রেই রুভলেভ । আর তার জীবন ব্যাপী যে অভিজ্ঞতা তিনি পেয়েছেন তা যিশুর অভিজ্ঞতার কাছাকছি না হলেও সমান্তরাল।
রুভলেভে শিল্প নির্মাণ প্রক্রিয়ার জটিলতাকে যেভাবে তুলে আনা হয়েছে তা এক কথায় অসাধারণ।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০