জোসেফ কনরাডের উপন্যাস হার্ট অব ডার্কনেসের অনুপ্রেরণায় মুভিটি বানিয়েছেন ফ্রানসিস ফোর্ড কপুলা। টি এস এলিয়টের হলোম্যানের অনুপ্রেরণাও আছে। মুভির বিষয় 1969 সালের ভিয়েতনাম। যুদ্ধ চলছে সমানতালে। ক্যাপ্টেন উইলার্ড সায়গনের হোটেল কক্ষে বসে আছেন নুতন একটি মিশনের অপেক্ষায়। বিষণ্ন, একাকী, পাপবিদ্ধ অবস্থায়। একটি মিশন ছাড়া যার আর কিছু চাই না।শেষ পর্যন্ত মিশনের দায়িত্ব এলো তার কাছে। উচ্চপদস্থ অফিসাররা বললেন, কর্নেল কুর্টজকে টার্মিনেট করো। কারণ এই কর্নেল কাগজে কলমে মার্কিন বাহিনীতে থাকলেও। তিনি ভিয়েতনামে আর নেই। চলে গেছেন কম্বোডিয়ায়। সেখানে নিজের মতো করে তিনি কাজ করছেন। পরিণত হয়েছেন স্থানীয় লোকদের নেতা বা দেবতায়। তার অধীনস্ত সৈন্যরাও তার সঙ্গে আছে। অজানা এক পথে রওয়ানা হয় উইলার্ড। সঠিকভাবে জানা নেই কোথায় কের্নল কুর্টজের আস্তানা। কিন্তু অভিযান চলছে। ভিয়েতনামের এক শান্ত নদীতে চলছে বোট। একের পর এক সৈন্য ছাউনি পার হতে হতে দেখা মিলতে থাকে একেক অবস্থার আমেরিকান সৈন্যদের। বিপর্যস্ত, হতাশ ও উদ্দেশ্যহীন মানসিক পরিস্থিতি তাদের পরাজয় প্রায় নিশ্চিত করে তুলেছে।
শেষ পর্যন্ত কর্নেল কুর্টজের খোজ পায় উইলার্ড। তাকে হত্যাও করে। কিন্তু এরই মধ্যে যুদ্ধের প্রতি বিতৃষ্ণ এই কর্নেলের অন্তর ও বাহিরের সন্ধান সে পায়। এক প্রলয়ের মধ্য দিয়ে সে পেঁৗছায় আরেক অন্ধকারে।
উইলার্ডের চরিত্রেঅভিনয় করেছেন মার্টিন শিন
আর কুর্টজের চরিত্রে মার্লোন ব্রান্ডো।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০