
শুধু বাংলাদেশ নয় বরং প্রায় সব দেশেই শিশু শ্রমকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। শিশু শ্রমকে নিষিদ্ধ করাই উচিৎ। কিন্তু বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে শিশু শ্রম নিষিদ্ধে আইন প্রয়োগ আদৌ সঠিক কিনা সেখানেই আমার প্রশ্ন!
প্রথনেই বাংলাদেশের আইনে শিশু বলতে কি বোঝায়?
বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ এর
২(৬৩) ধারায় "শিশু" অর্থ চৌদ্দ বৎসর বয়স পূর্ণ করেন নাই এমন কোন ব্যক্তি;
অন্যদিকে জাতীয় শিশু নীতি ২০১১ এর
২.১ ধারায় শিশু বলতে আঠারো বছরের কম বয়সী বাংলাদেশের সকল ব্যক্তিকে বুঝাবে। দেশের প্রচলিত কোন আইনে এর ভিন্নতা থাকলে এই নীতির আলোকে প্রয়োজনীয় সংশোধনের মাধ্যমে সামঞ্জস্য বিধানের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
উভয় আইনে
কিশোর-কিশোরী বলতে ১৪ বছর থেকে ১৮ বছরের কম বয়সী শিশুদেরকে বুঝাবে।
সুতরাং শিশু শ্রমিক বলতে ১৪ বছরের কম সকল শিশুকে বোঝাবে।
বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ এর ৩৪৷ (১) ধারা অনুযায়ী
কোন পেশায় বা প্রতিষ্ঠানে কোন শিশুকে নিয়োগ করা যাইবে না বা কাজ করিতে দেওয়া যাইবে না৷
এখন এই আইন প্রয়োগ করার পূর্বে আমাদের কিছু তথ্য জানা দরকার। ইউনিসেফের এক জরিপে দেখা গেছে, বাংলাদেশে প্রায় ৬৮ লাখ শিশু শ্রমিক রয়েছে। এর মধ্যে শতকরা ৮৩ ভাগ গ্রামে ও ১৭ ভাগ শহরে বাস করে। যাদের বেশীরভাগ কৃষি কাজ করে থাকে।
এই শিশুদের প্রত্যেকে নিজের ও পরিবারের খাবার জোগাড়ের তাগিদে কাজ করে থাকে। তাহলে বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ এর ৩৪৷ (১) ধারা প্রয়োগ করতে গেলে অনাহারে মারা যাবে বা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত হবে শিশু শ্রমিকরা।
শিশু শ্রমের মূলে দারিদ্রতা। সারাদেশে ৪৫ শতাংশ মানুষ দারিদ্র সীমার নীচে বাস করছে। সংখ্যার হিসেবে এটা হচ্ছে ৫ কোটি ৬০ লাখ। এরমধ্যে ২ কোটি ৭০ লাখ মানুষ হতদরিদ্র এবং ১ কোটি ১০ লাখ মানুষ চরম দরিদ্র। সুতরাং শিশু শ্রম রুখতে হলে আগে দারিদ্রতাকে রুখতে হবে। এজন্য সরকারকে দারিদ্রতা দূরীকরণে ভুমিকা রাখতে হবে। এছাড়া শিশু শ্রমিকদের পুনর্বাসনে সরকার ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসতে হবে।
নতুবা শিশু শ্রম আইনের প্রয়োগ করা হলে তা হবে মানবতা বিরোধী।শুধু বাংলাদেশ নয় বরং প্রায় সব দেশেই শিশু শ্রমকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। শিশু শ্রমকে নিষিদ্ধ করাই উচিৎ। কিন্তু বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে শিশু শ্রম নিষিদ্ধে আইন প্রয়োগ আদৌ সঠিক কিনা সেখানেই আমার প্রশ্ন!
প্রথনেই বাংলাদেশের আইনে শিশু বলতে কি বোঝায়?
বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ এর
২(৬৩) ধারায় "শিশু" অর্থ চৌদ্দ বৎসর বয়স পূর্ণ করেন নাই এমন কোন ব্যক্তি;
অন্যদিকে জাতীয় শিশু নীতি ২০১১ এর
২.১ ধারায় শিশু বলতে আঠারো বছরের কম বয়সী বাংলাদেশের সকল ব্যক্তিকে বুঝাবে। দেশের প্রচলিত কোন আইনে এর ভিন্নতা থাকলে এই নীতির আলোকে প্রয়োজনীয় সংশোধনের মাধ্যমে সামঞ্জস্য বিধানের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
উভয় আইনে
কিশোর-কিশোরী বলতে ১৪ বছর থেকে ১৮ বছরের কম বয়সী শিশুদেরকে বুঝাবে।
সুতরাং শিশু শ্রমিক বলতে ১৪ বছরের কম সকল শিশুকে বোঝাবে।
বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ এর ৩৪৷ (১) ধারা অনুযায়ী
কোন পেশায় বা প্রতিষ্ঠানে কোন শিশুকে নিয়োগ করা যাইবে না বা কাজ করিতে দেওয়া যাইবে না৷
এখন এই আইন প্রয়োগ করার পূর্বে আমাদের কিছু তথ্য জানা দরকার। ইউনিসেফের এক জরিপে দেখা গেছে, বাংলাদেশে প্রায় ৬৮ লাখ শিশু শ্রমিক রয়েছে। এর মধ্যে শতকরা ৮৩ ভাগ গ্রামে ও ১৭ ভাগ শহরে বাস করে। যাদের বেশীরভাগ কৃষি কাজ করে থাকে।
এই শিশুদের প্রত্যেকে নিজের ও পরিবারের খাবার জোগাড়ের তাগিদে কাজ করে থাকে। তাহলে বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ এর ৩৪৷ (১) ধারা প্রয়োগ করতে গেলে অনাহারে মারা যাবে বা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত হবে শিশু শ্রমিকরা।
শিশু শ্রমের মূলে দারিদ্রতা। সারাদেশে ৪৫ শতাংশ মানুষ দারিদ্র সীমার নীচে বাস করছে। সংখ্যার হিসেবে এটা হচ্ছে ৫ কোটি ৬০ লাখ। এরমধ্যে ২ কোটি ৭০ লাখ মানুষ হতদরিদ্র এবং ১ কোটি ১০ লাখ মানুষ চরম দরিদ্র। সুতরাং শিশু শ্রম রুখতে হলে আগে দারিদ্রতাকে রুখতে হবে। এজন্য সরকারকে দারিদ্রতা দূরীকরণে ভুমিকা রাখতে হবে। এছাড়া শিশু শ্রমিকদের পুনর্বাসনে সরকার ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসতে হবে।
নতুবা শিশু শ্রম আইনের প্রয়োগ করা হলে তা হবে মানবতা বিরোধী।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




