শিয়াল চন্দ্র মুখী
রাজার পুত্তুর ব্যাঙ,
ভিক্ষুক বাবনার হাত্ত
ঠেকলাম আই চ্যাং ।
ছাইয়া ল্যাট প্যাট
দুই কান কাডা,
তিরভুবন ঘুরাইল
চিলা ব্যাডা ।
আশাগো মারলাম
চিলাগো ছাও,
দইরাতে ডুবাইলাম
সাওধ্যের নাও ।
যে জানেনা টিপের ভাও,
হের ধারেগা টিপ টিপাও ।।
অল্প পানিতে একটা চ্যাং মাছ পড়ে ছিল । একটা শিয়াল তাকে দেখে খেতে যাবে - চ্যাং মাছ বলে উঠল, “শিয়াল চন্দ্রমুখী।” এটা শুনে শিয়াল তাকে ধরল না ।
এরপর আসল একটা ব্যাং । তাকে দেখে চ্যাং বলে উঠল, “রাজার পুত্তুর ব্যাঙ ।” এটা শুনে ব্যাঙ তাকে ছেড়ে দিল । এরপর এক গরীব ব্রাহ্মণ তাকে দেখে তুলে নিয়ে বাড়ী গিয়ে স্ত্রীর হাতে দিল ।
তার স্ত্রী ছাই মাখিয়ে যখন কুটছিল, একটা চিল ছো দিয়ে মাছ টি উঠিয়ে নিয়ে নদীর তীরে একটি বড় গাছের মাথায় তার বাসায় থাকা তিন ছানার মধ্যে দিয়ে দিল ।
বাচ্চারা মাছটি পেয়ে নিজেদের মধ্যে কাড়াকাড়ি পড়ে গেল, এই গোলমালের মধ্যে মাছটি নীচের নদীতে পড়ে গেল, এই সময় এক সাধু সওদাগরের নৌকা নীচ দিয়া যাচ্ছিল, মাছটি গিয়ে পড়ল সেই নৌকার পাটাতনের উপর । নৌকার আরোহীরা এক সাথে মাছটি ধরতে ছুটাছুটী করতে গিয়ে নৌকাটা ডুবে গেল । চ্যাং মাছ নদীতে চলে গেল ।
এরপর একদিন চ্যাং মাছটি রাজার বাড়ীর ঘাটে ঘুরাফিরা করছিল । তাকে দেখে রাজকন্যা কেঁচোগাথা বড়শী তার মুখের সামনে বড়শী টিপ টিপ করতে থাকলে চ্যাং মাছটি বলে উঠলঃ
শিয়াল চন্দ্র মুখী
রাজার পুত্তুর ব্যাঙ,
ভিক্ষুক বাবনার হাত্ত
ঠেকলাম আই চ্যাং ।
ছাইলা ল্যাট প্যাট
দুই কান কাডা,
তিরভুবন ঘুরাইল
চিলা ব্যাডা ।
আশাগো মারলাম
চিলাগো ছাও,
দইরাতে ডুবাইলাম
সাওধ্যের নাও ।
যে জানেনা টিপের ভাও,
হের ধারেগা টিপ টিপাও ।।
মোরাল: জানা লোকের কাছে টিপ টিপাইও না ।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



