মানব জাতি স্বভাবগত ভাবেই নিজেকে দুঃখী ভাবতে ভালবাসে।নিজেকে দুঃখী ভেবে অদ্ভুত একটা তৃপ্তি পায়।নিজেকে পৃথিবীর সেরা দুঃখী ভাবতে ভালবাসে।আজকে প্রথম আলোয় ৮ বছরের রিক্তা বানুর পৃথিবীর যাবতীয় বিস্ময় মাখানো মুখটি দেখে মনে হল আসলে দুঃখ কি জিনিস সেটা এখনো বুঝতে শিখিনি।রিক্তাবানুর মত ৮ বছরের একটি ফুটফুটে মেয়ে যখন চোখের সামনে একই দিনে মা বাবাকে পুড়ে কয়লা হয়ে যেতে দেখি তখন বিধাতার হিসাববিজ্ঞানটা বড্ড অবাক মনে হয়।
পৃথিবী চলে তার আপন গতিতে...একসময় সবাই ভুলে যাবে রিক্তাবানুর বাবা-মার লেমিনেটিং করা ছবি নিয়ে রাজ্যের বিস্ময়মাখা চেহারা নিয়ে তাকিয়ে থাকার ছবিটি।একসময় হয়তো সব স্বাভাবিক হয়ে যাবে।কিন্তু রিক্তা বানু সারাটা জীবন বয়ে বেড়াবে বাবা-মার কয়লা হয়ে যাবার স্মৃতি নিয়ে ...সারা পৃথিবীময় ঘুরে বেড়াবে মায়ের একটু স্পর্শ খুজে পাবে বলে।কিন্তু মায়ের স্পর্শ আর কখনই রিক্তা বানুকে ধরা দেবে না...
বিধাতা,তোমার একটু দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।শুধু একবার বলে যাও,কি দশ করেছিল ৮ বছরের ফুটফুটে রিক্তা বানূ।বিধাতা জবাব দাও চুপ করে থেকো না..।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


