বাংলাদেশে গোপন বিপ্লবী দলের নেতাকে ক্রসফায়ারে হত্যার নিন্দা
বক্তারা র্যাবের হাতে ডাঃ টুটুল নিহত হওয়ার ঘটনার তীব্র নিন্দা করে বলেন এটা রাষ্ট্র কর্তৃক ঠাণ্ডা মাথায় রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড ছাড়া আর কিছুই নয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সম্পাদক ফয়জুল হাকিম লালা। সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় গণফ্রন্টের আহবায়ক টিপু বিশ্বাস, রাজনীতিক-লেখক বদর উদ্দিন উমর, বিপ্লবী ঐক্যফন্ট্রের আহবায়ক মোশরেফা মিশু, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি সাইফুল হক, নয়া গণতান্ত্রিক গণমোর্চার আহবায়ক শিবলী কাইয়ুম, কবি আবু বক্কর সিদ্দিকী, তেল-গ্যাস, খনিজ সমপদ ও বিদ্যুত-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটীর আহবায়ক ইঞ্জিনিয়ার শেখ শহিদুল্লাহ-সহ বিভিন্ন বাম গণতান্ত্রিক ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
মিজানুর রহমান টুটুলের প্রাণহানি প্রসঙ্গে বদর উদ্দিন উমর বলেন, 'এটা হত্যা কাণ্ড। স্রেফ হত্যা। তিনি একটি রাজনৈতিক দর্শন ও ক্ষমতা দখলের পথকে ঠিক মনে করতেন। যদি তার কর্মকাণ্ড দেশ ও জনগণের বিপক্ষে যায়, তবে তাকে আইনের মাধ্যমে বিচার করা যেতো।' উমর আরও বলেন, 'মৌলবাদী জেএমবির একজন ক্যাডার-লীডারতো ক্রসফায়ারে যায়নি। শায়ক রহমান-বাংলাভাই সারা দেশে এক সাথে বোমা ফাটিয়ে মানুষ মারার পরও যদি তাদেরকে বিচারের মুখোমুখি করা যায়, তবে ডাঃ টুটুলকে কেনো বিচারের মুখোমুখি করা যাবে না। উমর মনে করেন, বাংলাদেশে এখন যারা বাম প্রগতিশীল সাম্রাজ্যবাদ-বিরোধী শক্তি, তাদেরকে টার্গেট করে মারা হচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মদদে বিপ্লবীদেরকে হত্যা করা হচ্ছে। দেশে এখন জরুরী অবস্থা চলছে বিধায় মানুষ কথা বলেতে পারছে না। এর জন্য দরকার সামাজিক প্রতিরোধ।' জাতীয় গণফ্রন্টের আহবায়ক টিপু বিশ্বাস বলেন, 'এ-রক্ত বৃথা যেতে পারে না। এটা কিলিং। আমরা দেশব্যাপী ক্রসফায়ার-বিরোধী সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলবো।' কবি আবু বক্কর সিদ্দিকী বলেন, 'রাষ্ট্র তার নিজের আইন নিজেই মানছে না। এটা রাষ্ট্রের জন্য শুভ হতে পারে না। যে-কোনো শুভ বোধ সম্পূর্ণ মানুষ ক্রসফায়ারের বিরোধিতা করা উচিত। সংবাদ সম্মেলনে বিশিষ্টজনেরা অবিলম্বে র্যাব বিলুপ্তির দাবী জানান।
ডাঃ টুটলের হত্যা কাণ্ডের বিরোধিতা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মিছিল করেছে ছাত্ররা। ২ আগস্ট মিছিল-সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী সাত সংগঠন।
গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার পক্ষ থেকেও ডাঃ টুটুল হত্যার নিন্দা জানানো হয়েছে। গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদ এর এক সভা মোর্চার সমন্বয়ক মোশরেফা মিশুর সভাপতিত্বে ২৯ জুলাই ঢাকার তোপখানা রোডস্থ বাসদ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। সভার প্রস্তাবে বলা হয়, সন্ত্রাস দমনের কথা বলে এক-এগারোর সরকার এ-যাবৎ ১৯৭ জনকে ক্রসফায়ার, বন্দুক যুদ্ধ, এনকাউন্টারের নামে হত্যা করেছে। কারও বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোন অভিযোগ থাকলে তার বিচার না করে এ-ধরণের হত্যাকে ফ্যাসিস্ট কর্মকাণ্ড হিসাবে উল্লেখ করে সভায় অবিলম্বে তা বন্ধ করার আহ্বান জানানো হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন বাসদ আহ্বায়ক কমরেড খালেকুজ্জামান, জাতীয় গণফ্রন্টের টিপু বিশ্বাস, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক, গণতান্ত্রিক মজদুর পার্টির এডভোকেট আব্দুস সালাম, গণসংহতি আন্দোলনের জুলহাস বাবু, শ্রমজীবী মুক্তি আন্দোলনের বাবুল বিশ্বাস, বাসদের রেজাউর রশীদ খান, সিপিবি (এমএল)-র বদরুল আলম ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের হামিদুল হক, বজলুর রশীদ ফিরোজ, নাসির উদ্দিন নাসু, পাঠক লাল গোলদার, শামসুজ্জোহা প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত ২৫ জুলাই রাতে র্যাব ঢাকার উত্তরা থেকে পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির (এমএল-লাল পতাকা) সম্পাদক ডাঃ মিজানুর রহমান টুটুলকে গ্রেফতার করে। পরে তাকে ২৭ জুলাই ভোর রাতে নওগাঁতে র্যাবের হাত দিয়ে হত্যা করানো হয় ডাঃ টুটুলকে। এর আগে পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টিরও সাধারণ সম্পাদক মোফাখার চৌধূরীকে ২০০৪ সালের ডিসেম্বর পুলিশ কর্তৃক ক্রসফায়ারে হত্যা করা হয়। চৌধুরীকে হত্যা করার পর চারিদিকে নিন্দার ঝড় ওঠে। ফলে কিছুদিন এ-রকম হাই-প্রৌফাইল নেতাদের হত্যা থেকে বিরত থাকে তৎকালীন ৪-দলীয় জোট সরকার। ২০০৬ সালে আবার পুলিসের ক্রসফায়ারে নিহত হয় পূর্ব-বাংলার কমিউনিস্ট পার্টি (এমএল-লাল পতাকা) কেন্দ্রীয় নেতা কামরুল মাস্টার। বাংলাদেশের আণ্ডারগ্রাউন্ড বাম নেতৃত্বকে নিশ্চিহ্ন করার ধারাবাহিকতায় বিচার বহির্ভূতভাবে তথাকথিত ক্রসফায়ারে সর্বশেষ হত্যা করা হলো ডাঃ টুটুলকে।
সূত্রঃ http://www.ukbengali.com
মিশন: কাঁসার থালা–বাটি
বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন
আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন
J K and Our liberation war১৯৭১


জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন
বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ
বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ
কেন বিএনপি–জামায়াত–তুরস্ক প্রসঙ্গ এখন এত তপ্ত?
বাংলাদেশের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে একটি পরিচিত ভয়–সংস্কৃতি কাজ করেছে—
“র”—ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা নিয়ে রাজনীতিতে গুজব,... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।