বই - অবিশ্বাস্য এক হীরক কোহিনূর
লেখক-ইরাদজ আমিনি।
অনুবাদ - আনোয়ার হোসেইন মঞ্জু
প্রকাশক- ঐতিহ্য.
দাম- ১৬৫
পাওয়া যাবে - আন্দরকিল্লা র বই বিপণীতে ( চট্টগ্রাম), ঢাকা নিউমার্কেট।
কোহিনুরের কাহিনী যে কোন রোমাঞ্চকর উপন্যাসের চেয়ে কম নয়।কোহিনুর - পৃথিবীর সবচেয়ে বড়, রোমাঞ্চকর আর দামি হীরে, বহু ঘাট ঘুরে যার বর্তমান আবাসস্থল এখন ইংল্যান্ডে।কোহিনূরের নাম প্রথম পাওয়া যায় বাবুরনামায়।তিনি বলেছেন,পুরো পৃথিবীর আড়াই দিনের খাওয়ার খরচ মেটানো যাবে এই হীরে দিয়ে। গোয়ালিয়রের শাসক হতে প্রথম বাবুরের কাছে এই হীরে আসে। তারপর বাবুরের হাত ধরে হুমায়ূন।তারপর পারস্যের শাহ।ওখান থেকে উপহারসুত্রে কোহিনূর আসে আহমেদনগরের শাসক বুরহান নিজাম শাহ এর কাছে।আবার ওখান হতে মিরজুমলার হাত ধরে মুগলরাজ আওরঙ্গজেব এর কাছে আসে।এরপর আবার পারস্য।
নাদির শাহ একে তার তালুবন্ধি করেন এবং মুগ্ধ হয়ে বলেছিলেন কো -হি -নুর !মানে আলোর পাহাড়।না , তিনি বেশিদিন ধরে রাখতে পারেননি। তার খুন হওয়ার পর হীরে যায় আহমেদ শাহ আবদালির কাছে।আবদালির মৃত্যুর পর হীরা আসে তাঁর সন্তান তিমুর শাহর কাছে।তিমুরের কাছ হতে জামান শাহ আর জামান শাহ হতে সুজা উল মূলকের কাছে।সবশেষে আসে পাঞ্জাবের রঞ্জিত সিং এর কাছে । উনি মারা যাওয়ার পর তার ছেলে দীলিপের কাছ হতে চলে যায় একদম রাণী ভিক্টোরিয়ার কাছে। সেই যে ইংল্যান্ডে গেল আর ফিরে এলো না !!
সংক্ষেপে কোহিনুর হীরার ভ্রমণ ত বলে দিলাম।কিন্তু এর ভেতরে যে রোমাঞ্চকর আর রক্তাক্ত গাথা রয়ে গেছে তা কিন্তু বলিনি! বিশেষ করে
বাবুরপুত্র হুমায়ূন,মীর জুমলা আর নাদির শাহ এর কাহিনীতে আছে থ্রিলারের টানটান উত্তেজনা আর চমক।সবটুকু জানতে চাইলে বইটি পড়া ছাড়া গতি নেই।
বইটি উপন্যাসের মতই আনন্দদায়ক হবে। হয়ত হীরেটার জন্য একটু আফসোস ও লাগতে পারে !