আমার এক বন্ধূর বন্ধুর বন্ধু ফেইসবুকে একটা পোষ্ট দিয়েছেন ঐ ভদ্রলোকের আক্রোশ আর হতাশার সাথে আমিও একমত বলেই আমার এই লেখা।(তবে আমি নিজে আগে ঘটনাটার সত্যতা যাচাই করে নিয়েছি মধ্যপ্রাচ্য সংবাদ সংস্থা থেকে)
প্রথমে ঘটনাটা বলে নেইঃ
স্থানঃ সৌদি আরব।
ঘটনাঃ ১৯ বছড় বয়সী দুটী ছেলে মেয়ে সম্পুন জ়নসমক্ষে একটী গাড়ির ভিতর বসা ছিল। এমনসময় অস্ত্রের মুখে তাদেরকে সাতজ়ন মানুস অপহরণ করে এবং ছেলে এবং মেয়ে দুইজ়নকেই অত্যন্ত নির্মমভাবে শারিরিক অত্যাচার ধর্ষন করা হয়!!!
দির্ঘ অত্যাচারের পর উদ্ধার পেয়ে তারা পুলিশেড় কাছে এই ব্যপারে বিচার জানায়।
লম্বা ইতিহাস সংক্ষেপ করছি, আদালতের রায়ে চলে আসি সরাসরি। আদালতের রায় হলঃ বেশরীয়তিভাবে মেলা-মেশার কারনে মেয়েটাকে ৯০ ঘা চাবুকের বাড়ি আর ছেলেতাকেও তাই!
আর যারা ধর্ষণ করলো? যেহেতু এই অপকর্ম-এর সময় মোবাইল ফোনে দুষ্কতিকারিরা যা ভিডিও করেছিল তা ছাড়া আর কোন প্রমান নেই তাই এটা প্রমান হয়না যে এরাই ধর্ষন করেছে (ভিডিওটি তাহলে কোথা থেকে আসলো সেটা আমাকে জিজ্ঞেস করে লাভ নেই কারন বিজ্ঞ আদালত তা প্রয়োজন মনে করেননি)তাভেরকে তাই অপহরনের চেষ্টাকারি হিসেবে শাস্তি দেওয়া হয়। (সম্ভবত চেষ্টাকারি এই জন্যেই যে দুটি ছেলে-মেয়েই পালিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছে)
বিজ্ঞ আদালত (!) আর মনে করে যেহেতু মেয়েটি বেশরীতিভাবে একটি পরপুরুষের সাথে বসেছিলো সেই কারনেই ঘটনাটা ঘটেছে, বসে না থাকলে ত আর ঘটনাটা ঘটত না।অতএব মেয়েটিকে শাস্তি দেওয়াটা খুব ভাল একটা শিক্ষা হয়েছে সবার জন্যে।
মেয়েটীর আইজিবি এর প্রতিবাদ জানালে সুবিজ্ঞ আদালত তৎক্ষনাত মেয়েটির সাজা বাড়িয়ে করে দেন ২০০ ঘা চাবুক এবং তারপর মেয়েটিকে জেলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
এইক্ষনে আমার কিছু কথা আছেঃ
১) ইসলামের কোন বিধিতেইতো এই ধরনের
ইনজাষ্টীস-এর কোন স্থান নেই তবে ইসলামের নামে এই অপকর্ম ঘটানর পরও কোন একটি ইসলামি রাষ্ট্র বা সংগঠন কেন এর প্রতিবাদ করছে না? আচ্ছা মানলাম এরা সবাই সৌদিটাকায় ওহাবি ফান্ডামেন্টাল তালেবান হয়ে গিয়েছে, কিন্তু আন্ত্রর্যাতিক যে মানবাধিকার সংগঠনগুলো আছে তারা কেন চুপ করে আছে?
২) ইসলামে তো রাজা-রানী হারাম, যারা নিজেরাই
হারাম রাজত্য কায়েম করে আছে তাদের মুখে
ইসলাম রক্ষার নামে এই অত্যাচার নাস্তিকের হজ করার সামিল মনে হয়না কি? সৌদি আরব শুনেই যাদের দিল কথা কথায় জশ্নে জুলুসে জ্বলে ওঠে আমার খুব ইচ্ছা করছে এখন তাদের বক্তব্য কি তা জানতে ( প্লিজ বেশি প্রিতি দেখানর আগে দুটো জিনিস মাথায় রেখেন, এক সৌদিরা কিন্তু আমাদেরকে মুস্লিম ভাই হিসেবে দেখেনা, দেখে মিস্কিন হিসেবে আর একটু ভাল করে পড়লে দেখবেন ছেলেদেরকেও তারা রেইপ করতে ছারে না সুতরাং ------)
৩) আমার যে বন্ধুর বন্ধু ফেইসবুকে পোষ্টটা দিয়েছেন সেখানে তিনি অনুরোধ করেছেন সবাই যেন সৌদি এ্যাম্বেসি আর মানবাধিকার সংস্থাগুলোর কাছে ইমেইল করে! হায়রে বন্ধু আপনার গ্রপ আহ্বানেতো তেমন কেউ সারাই দেয়নি মেইল করবে কে! অথচ চযারিটি ডিনার আর হালাল ফুড মনিটরিং নামে একটি নাম সর্বস্য গ্রুপের সদস্য সংখ্যা প্রচুর! ইসলামেরং দৃষ্টিতে কোনটি বেশি জরুরী?
আমার এই লেখা পড়ে (যদি কেউ পড়েন) তথাকথিত ষ্মার্ট নাস্তিকেরা খুব খুশি হবেন বলেই আমার ধারনা। তবে সেই সকল বক-নাস্তিকের প্রতি আমার নিবেদন বক-ধার্মিক আর বক-নাস্তিক আসলে একই মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ!

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




