এই পোস্টটি মনযোগ দিয়ে পড়লেই আপনারা জানতে পারবেন অভিজিত থেকে শুরু করে নিলয় হয়ে দীপন পর্যন্ত হত্যাগুলো কিভাবে হয়েছে, জানতে পারবেন পিলখানা হত্যাকান্ড সম্পর্কে একটি স্পষ্ট ধারণা, জানতে পারবেন তনু হত্যাকান্ড এবং শেষমেষ এই বিগ-গানি নাজিমুদ্দিন সামাদ হত্যাকান্ড সম্পর্কে ।
সুতরাং একটু ধৈর্য ধরে পুরো পোস্ট মনযোগ দিয়ে পড়ুন।
মাহমুদুল হক মুন্সী। গণজাগরণ মঞ্চের অন্যতম সংঘটক। সম্প্রতি তিনি ভয়ে দেশ ছেড়েছেন। তবে যাবার আগে যে অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছিলেন তা নিয়ে নিজের ব্লগে সেই অভিজ্ঞতা লিখেছেন। সেই পোস্টের উল্লেখযোগ্য অংশ নিয়েই আজকের এই আয়োজন।
মুন্সী সেই পোস্টের শুরুতেই নিজের ইসলাম বিদ্বেষীতা সম্পর্কে বলে
@@ সেই ধর্মের দোহাই দিয়ে আমার ভাষাকে বদলে দেবার ষড়যন্ত্র হয়েছিলো আর কিভাবে সেই ধর্মের নামেই পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ গণহত্যাটি হয়েছিলো এই জনপদে… এসব জানতে পেরে আমার ধর্মের প্রতি অবিশ্বাস রূপ নেয় ক্রোধে। @@
>>> আসলেই কি তাই ? শুধু মাত্র কি ধর্মের কারণেই এই হত্যা হয়েছিল ?? শহীদ সবাই কি হিন্দু ছিলেন ?? একজনও কি মুসলিম ছিল না ?? নাকি সবাই মুত্রমনা ছিলেন ??
আসুন দেখি মুক্তিযুদ্ধে পটভুমি সংক্ষেপে,
অর্থনৈতিক বৈষম্য পশ্চিম পাকিস্তানের সাথে পূর্ব পাকিস্তানের অর্থনৈতিক বৈষম্য ছিল। মোট জাতীয় বাজেটের সিংহভাগ বরাদ্দ থাকত পশ্চিম পাকিস্তানের জন্য।
ভাষা আন্দোলন পাকিস্তানের নেতা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ঢাকায় এসে ঘোষণা দেন "উর্দু এবং কেবলমাত্র উর্দুই হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা"। সাথে সাথে পূর্ব পাকিস্তানের বাঙ্গালীরা এই ঘোষণার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে ফেটে পড়ে।
সামরিক অসমতা পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীতে বাঙ্গালীরা অবহেলিত ছিল।
রাজনৈতিক অসমতা জনসংখ্যার দিক দিয়ে পূর্ব পাকিস্তান পাকিস্তানের বৃহত্তর অংশ হওয়া সত্ত্বেও দেশের রাজনৈতিক ক্ষমতা পশ্চিম পাকিস্তান কুক্ষিগত করে রাখে।
১৯৭০-এর সাইক্লোনের প্রতিক্রিয়া ১৯৭০ সালের ১২ই নভেম্বর ভোলার সাইক্লোন পূর্ব পাকিস্তানের উপকূলীয় অঞ্চলে প্রবল জলোচ্ছ্বাসের সৃষ্টি করে, সেই সাথে জোয়ারের কারণে প্রায় ৩,০০,০০০ থেকে ৫,০০,০০০ মানুষ প্রাণ হারায়।ঘূর্ণিঝড়ে বিপর্যস্ত মানুষগুলোর প্রতি পাকিস্তান সরকারের নিষ্ঠুরতা দেখে পূর্ব পাকিস্তানের সাধারণ মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে।
১৯৭০-এর নির্বাচন পরাজয় সত্ত্বেও ক্ষমতা হস্তান্তর না করা
এরপর ৭ই মার্চ থেকে ২৬শে মার্চ, এরপর মুক্তিযুদ্ধ। বিশদভাবে লিখতে গেলে পুরো কয়েক দিস্তা কাগজ লাগবে কিন্তু এখানে তো ধর্মীয় কোন কারণ দেখছি না। আপনাদের জন্য একটি লিংক দিচ্ছি আপনারাও দেখুন তো ধর্মের নামে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে কিনা ??
রেফারেন্স: বাংলাদেশের_স্বাধীনতা_যুদ্ধ
তাহলে বোঝা গেল মুন্সী গ্রুপ এই বিষয়ে বলদা।
দ্বিতীয়ত,
এবার সে কি ফাঁস করেছে দেখুন।সে লিখেছে তার ব্লগে
#মুন্সী
@@
এর মাঝে আমাকে উপস্থিত করা হয় এমন একটি মিটিং এ যে মিটিং থেকে পরিকল্পনা হচ্ছিলো কিভাবে সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী হওয়া যায়। সেখানে বসেই আমি সিদ্ধান্ত নেই আমি আদার ব্যাপারী আদার দোকানে ফেরত যাই। সশস্ত্র বাহিনীর যার যার নাম শুনেছিলাম সেই মিটিং এ বসে তারপর আমার ভেতর ভয় ঢুকে যায় আমি যদি এই ষড়যন্ত্রের সাথে থাকতে না চাই, তাহলে হয়তো পরিবার সহ আমাকে গুম করে ফেলা হবে। আমার মা অসুস্থ, আমার শরীর খারাপ এরকম বিভিন্ন অজুহাতে আমি আস্তে ধীরে সরে আসি সেই অবস্থান থেকে। দেশ ছাড়ার আগেরদিন পর্যন্ত আমার ভয় ছিলো হয়তো আমাকে খুন করে ফেলে রেখে জামায়াত শিবির বা আনসারুল্লাহর নামে একটা প্রেস রিলিজ দেয়া হবে। এবং সেটা করবে আমাদের পক্ষেরই মানুষেরা।
@@
>>> সম্মানিত পাঠকবৃন্দ কিছু বুঝেছেন ? এনএসআই, ডিজিএফআই সম্মানিত গোয়েন্দা ভাইগণ। দেখুন কি লিখা ??
এই লিখার দ্বারাই কি প্রমান হচ্ছে না সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে চক্রান্ত হচ্ছে। এখন দেখুন নিজের ভাবুন। তনু হত্যাকান্ড যে সেই চক্রান্তের অংশ এটা কি বলতে হবে ?
আরেকটা বিষয় দেখুন দেশের সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী হবার মিটিং ছিল সেই মিটিং, তাহলে দেশে কি "এরা" তৃতীয় শক্তি আনছে ? সেই শক্তিই কি "পিলখানা" হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে ? কি বোঝা যায় এই কথার দ্বারা ?
হটাৎ করে কেনই বা ইমরান এইচ সেনা সদরের ভিতরের ঘটনা নিয়ে এতো তোলপাড় শুরু করে দিল ? এই দেশে প্রতিমাসে শত মেয়ে ধর্ষিত হচ্ছে তাদের বেলায় এমন টা করে না কেন ?
এখন স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন আসে
কোন মিটিং এ সে গিয়েছিল ?
কারা নিয়ে গিয়েছিল ?
সাথে কে কে ছিল ?
মূল আলোচক কারা ছিল ?
সেনা বাহিনীর কাদের নাম শুনেছিল ?
দেশ কি আরেকটা “পিলখানা” দেখতে যাচ্ছে ?
সে তো নিজেই স্বীকার করেছে ষড়যন্ত্র, তাহলে কেন তাকে ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে না ?
কারা করছে এই ষড়যন্ত্র ?
আর কোন দেশ আছে সাথে ?
গণজাগরণ মঞ্চের আর কে কে ছিল ?
ইমরান এইচ কি জানে এই বিষয়ে ?
সে ইমরান এইচ এর অনেক ঘনিস্ট ছিল, কিন্তু গত কয়েকমাস তার সাথে মুন্সী কে দেখা যায় নি কেন ?
আমি বলি, শুনুন সেই মিটিং ছিল "র" এর পালিত পুষিত দের নিয়ে মিটিং এবং সেই মিটিং এ ইমরান ছিল, ছিল বলেই দেশ ছাড়ার আগে ইমরানের সাথে মুন্সীর কোন যোগাযোগ ছিল না, আর ইমরান ও তনু হত্যা নিয়ে এতো লাফালাফি করত না।
ব্যাপারটা একেবারেই দিনের আলোর মত পরিস্কার !
তৃতীয়ত, সেই প্যারার শেষের কথাটা আবার দেখি
#মুন্সী
@@
দেশ ছাড়ার আগেরদিন পর্যন্ত আমার ভয় ছিলো হয়তো আমাকে খুন করে ফেলে রেখে জামায়াত শিবির বা আনসারুল্লাহর নামে একটা প্রেস রিলিজ দেয়া হবে। এবং সেটা করবে আমাদের পক্ষেরই মানুষেরা।
@@
>>> সম্মানিত পাঠকবৃন্দ, আর কিছু লাগবে ব্লগার হত্যা সম্পর্কে জানতে ? এর পরেও যদি কারো সন্দেহ থাকে তাহলে বুঝতে হবে সেও জড়িত এই খুনের সাথে এবং তাকে রিমান্ডে নিয়ে গেলেই সব বের হয়ে যাবে। দেখুন সে নিজেই স্বীকার করল তাকে মেরে শিবির বা আন্সারুল্লাহ নামে চালানো হবে এবং তার পক্ষের লোকজন করবে। কি ভয়ংকর কথা চিন্তা করতে পারবেন কেউ ?
...
তার মানে হোলও, অতীতে এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে বলেই তার মনে এই ভয়টা চলে এসেছে ।
তাহলে কি সব হত্যা তারাই করেছে ? না হলে এই লিখা দ্বারা কি বোঝায় ? আমি চিন্তাও করতে পারছি না আমার ধারণা এভাবে মিলে যাবে । একমাত্র ওয়াশিকুর বাবু ছাড়া আর সবার খুন হয়েছে গোপনে[এটাও একটা স্ট্রিং অপারেশন ছিল যা আমি আগেই প্রমান করেছি], তাহলে কি ??????
আর আনসারুল্লাহর নামে মেইল গুলো কারা করে তার আরেকটা প্রমান পাওয়া গেল। আমি এই বিষয়ে লিখলে তো কারো নজরে আসে না, এখন তারা নিজের মুখেই যেহেতু স্বীকার করল এরপরেও কি ব্যাবস্থা নেয়া হবে না ??
এমনকি স্বয়ং নাটের গুরু ইমরান ও অতি ভক্তি দেখাতে গিয়ে বলেই দিল শুধু শুধু আন্সারুল্লাহ নামে আর কত, আল্লাহু আকবর বলে আর কত ?
সুতরাং এটাও প্রমানিত হোলও এই হত্যাকান্ড গুলো দুটো কারনে হচ্ছে ,
...
১, সমগোত্রীয় নাস্তিকরা গাঁড়মানি (জার্মানি) সহ ইয়োরোপের অন্যান্য দেশে যাবার জন্য এদের হত্যা করছে , এদের পিছনে বড় শক্তি আছে ।
এর সপক্ষে আরেকটা পয়েন্ট এড করতে চাই, গত ২১শে নভেম্বর, ২০১৫ সালে ইসলাম বিদ্বেষীদের পৃষ্ঠপোষক গাঁড়মানির পত্রিকা ডয়চে ভেলে তে একটি লাইভ ভিডিও অনুষ্ঠান হয়, সেখানে মগাচিপ(আসিফ), চুম্মি(শাম্মী), জঘন্য(অনন্য) এবং ফেন্সী(মুন্সী ) অংশ নেয়, সেখানে আসিফ বলে
@@ " সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশিত কথিত ‘হিটলিস্টগুলোর' অধিকাংশই ভুয়া৷ কোনো কোনো অ্যাক্টিভিস্ট নিজেদের নাম ‘হিট লিস্টে' না দেখে নিজেদের মতো লিস্ট বানাচ্ছে বলেও জানান তিনি৷ এরফলে যাঁরা আসলেই বিপদের মধ্যে আছেন, তাঁদের ক্ষতি হচ্ছে বলে আশঙ্কা করেন আসিফ মহিউদ্দীন
@@
" র " কিলার টিম এবং তাদের প্রেসক্রিপশনে হত্যা করা হচ্ছে । কারণ হোলও সরকার যাতে ভারত বিরোধী চক্রে যেতে না পারে সেই জন্য সরকারের উপর চাপ লাগাতার অব্যাহত রাখা এবং সেই সাথে ইসলামের সাথে পুরোনো শত্রুতার ষোলকলা পুর্ন করা। যার প্রমান ব্লগার হত্যার সাথে সাথে এটাকে ইস্যু করে রাস্ট্রধর্মের রিটের বিরুদ্ধে পেয়েছেন আপনারা ।
এখানে উল্লেখ্য যে বঙ্গবন্ধু কিন্তু ভারত কে বিশ্বাস করত না বলেই তাজউদ্দীন কে ছেঁটে ফেলেছিলেন, ইন্দিরার নিষেধ উপেক্ষা করে পাকিস্তানের সাথে কুটনীতিক সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন, ওআইসি সমেলনে যোগ দিয়েছিলেন । ভারতের ঐসব ভালোই মনে আছে
তৃতীয়ত
#মুন্সী লিখেছে
@@
অভিজিৎদাকে মেরে ফেলার পর খুব রাগ হয়েছিলো। অনেকে আমাকে বলেছিলো চলেন ওদের খুন করি। চাইলে একটা আন্ডারগ্রাউন্ড টিম তৈরী করা ব্যাপার ছিলো না। কিন্তু ভাবতাম কাকে হত্যা করবো? আমি তো নিশ্চিত নই কে আমার ভাইদের হত্যা করছে।
@@
>>> তার মানে কোন একটা দল কে তাদের সন্দেহ ছিল এবং কারা করত তাদের ব্যাপারে একটা আইডিয়া ছিল, কিন্তু তারা নিশ্চিত ছিল না। (ইমরান রা নয়ত ?) সুতরাং জঙ্গীরা খুন করেছে এটা যে ভুল তা আবারো প্রমান হোলও ।
চতুর্থত,
#মুন্সী লিখেছে
@@
ফেসবুকে একটা লেখা লিখতে পারতাম না, জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষা অফিস থেকে কল চলে আসতো। বলতো এইটা ঠিক লিখেছেন, ঐটা ঠিক লেখেননি, মুছে ফেলুন। এর ভেতর কয়েকশ লিস্ট প্রচারিত হয় নামী অনামী খ্যাত-অখ্যাত পত্রিকাগুলিতে, যার বেশিরভাগই ভুয়া। আমাদের কয়েকজন সহযোদ্ধা নিজেকে গুরুত্বপূর্ন প্রমান করবার জন্য নিজের নাম আরো প্রাসঙ্গিক বিশ-ত্রিশটা নামের সাথে ঢুকিয়ে দিয়ে পত্রিকাগুলিতে পাঠাতো। একবার একজন সহযোদ্ধা ধরাও খেয়ে গেছিলো, তাকে তেমন কিছু বলিনি আমরা।"""----------"" এদিকে শ্বশুর বাড়ির এলাকা হইলো জামাতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলামের এলাকা। যাওয়ার আগে ডিবিতে ফোন দিয়ে হেল্প চাইলাম। কিছু কথা শুনাইলেও হেল্প করেছে তারা। এক গাড়ি পুলিশ পাঠিয়ে দিয়েছিলো শ্বশুরবাড়ি। গেছি এক রাস্তা দিয়ে, ফিরেছি আরেক রাস্তা দিয়ে।"""
@@
অনিমেষ রায় উপরের দুইটা লিখা দেখে কি বুঝা যায় ?
এদের কিছু লোক ভুয়া লিস্ট দিত যাতে নিজেরা আক্রান্ত দেখিয়ে গাঁড়মানি যেতে পারে, যেমন টা গিয়েছিল শাম্মী অরফে চুম্মি [অনেক আগে একটা পোস্টে প্রমান করেছিলাম]
আর সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ন বিষয় হোলও এদের ব্যাপারে গোয়েন্দা বাহিনী পুরোপুরিই অবগত ছিল, এবং তারা নিয়মিত সাহায্য পেত ? এই গোয়েন্দা গুলো কাদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে ? কেন এরা একে ৫৭ ধারায় গ্রেপ্তার করল না ? কাদের প্রেশার ছিল ? তাহলে এই গোয়েন্দা গুলোও জড়িত নয় দেশেকে অস্থিতিশীল করার চক্রান্তের সাথে ?
এরপর তার লিখার পর মন্তব্য তে একজন প্রশ্ন করে “তাদের লোকজন খুন করে আন্সারুল্লাহর নাম দিবে “ এই কথা সত্য কিনা ? তখন মুন্সী নিশ্চিত করে এটা সত্যি ?? পরে আরেকজন লিখে “ভাই পরে মুছে দিবেন না তো”
আর যদিও বা মুন্সী মুছে দেয় তাহলেও সমস্যা নেই। আমি ইতিমধ্যে মূল পেজ পিডিএফ করে ফেলেছি। ডিজিএফআই ভাইদের লাগলে দেয়া যাবে।
এই হোলও মুন্সীর লিখার মূল পয়েন্ট গুলোর উপর দিকপাত। একদা দ্বিতীয় প্রজম্মের যোদ্ধা সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করতে গিয়ে নিজের লোকদের হাতে খুন হবার ভয়ে এখন পালিয়ে গিয়ে সব ফাঁস করে দিয়েছে।
...
মূলত এটাই প্রমানিত হোলও, এই সব ঘটনার সাথে কোন আনসার ভাই টাই জড়িত নাই, জড়িত আছে সরকার(এইচ) ভাইরা !
আর সরকার ভাই গনজাগরণ মঞ্চের প্রধান হিসেবে জড়িত নেই এটা পাগলেও বিশ্বাস করবে না।
তার কথা অনুযায়ী বলি, " সেনা ছাউনির ভিতরে লাশ পেলেই যদি সেনাবাহিনী জড়িত থাকে, যে কোন হত্যায় বা বড় ঘটনায় সরকারকে দোষারোপ করতে পারে তাহলে গণজাগরণ মঞ্চের একজন সংগঠক যদি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে চক্রান্তের মিটিং এ অংশ নিয়ে থাকে, নিজের দলের লোকদের আনসারউল্লাহ সন্দেহ করে তাহলে অবশ্যই অবশ্যই অবশ্যই ইমরান এইচ সরকার জড়িত আছে, এ বিষয়ে আমার কোন সন্দেহ নেই।
..................
সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ন ইস্যু হোলও সে যে মিটিং এর কথা বলেছে এর বিষয়ের জন্য তাকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞসাবাদ করা উচিৎ। আমি আবারও মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষন করছি। দেশ বিরোধী এই ষড়যন্ত্রের হোতাদের খুঁজে বের করার অনুরোধ করছি। যদিও মুন্সী এখন জার্মানি, কিন্তু সেখানকার সরকারের সাথে যোগাযোগ করে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা কোন ব্যাপার না বলে মনে করি।
এবং সেই সাথে ডিবির সেই সব অফিসারদের ও খুঁজে বের করা উচিত যারা সব জেনেও তাকে সাহায্য করে যেত। আর ইমরান এইচ তো সাথে আছেই।
...
এতো স্পস্ট প্রমান পাবার পরও যদি কোন ব্যবস্থা না নেয়া হয়, তাহলে কি বুঝব ? সরকারের ভিতরে ঘাপটি মেরে থাকা কেউ একজন চায় না এই ব্লগার-জঙ্গী-আন্সারুল্লাহর বিষয়গুলোর নিস্পত্তি হোক।
কারণ তাহলে যে "প্রতিবেশীদের ইস্যু শেষ হয়ে যাবে বৈকি" ।
আরেকটা জিনিস মিলিয়ে নিন ইমরান দাদা কিন্তু আজ পর্যন্ত ভারতের বিপক্ষে এত ইস্যু পেয়েছিলেন, যেমন - সীমান্তে হত্যা, ক্রিকেটে ভারতীয় চক্রান্ত, আমাদের পানি না দেওয়া, রামপাল কয়লা খনি, ভারতে কম মুল্যে ব্যান্ডউইথ রপ্তানি, রিলায়ন্স-আদানিকে বিদ্যুৎ/গ্যাস কেন্দ্র করতে অনুমুতি দেয়া, কিন্তু কোনদিন তার ভারতীয় দুতাবাস ঘেরাও করার সাহস হয় নি যদিও ফাকিস্তানীদের টা করতে ইস্যুর প্রয়োজন হয় না।
প্রসঙ্গত ইমরানের দাদা একজন রাজাকার বলে দাবি করা হয় এবং গণজাগরণ মঞ্চের তিনভাগের পিছনে তার হাত আছে, অন্য গ্রুপ যেমন বাপ্পাদিত্য বসু এবং কামাল পাশা গ্রুপ এরা দাবি করছে ইমরান নাকি জামাতের এজেন্ট !
২০১৪ সালের ১১ মে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর কেন্টিনে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটি।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি মেহেদী হাসান দাবি করেছিলেন, ‘ডা. ইমরান এইচ সরকার শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত।সে একজন ছদ্মবেশী। সে ছদ্মবেশ ধারণ করে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হয় এবং পরবর্তীতে গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করে।’
তবে একথা সত্য এই ব্লগার হত্যাকান্ডের রহস্য ভেদ করার জন্য বাপ্পাদিত্য বসু সহ ইমরান কে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করলেই থলের বেড়াল বের হয়ে আসবে ।
কে জানে সর্ষের ভিতরেই ভুত আছে কিনা ?
[ ভদ্র ভাষায় যত ইচ্ছে সমালোচনা করুন, কোন সমস্যা নেই, পোস্ট না বুঝে শুকরের মত ঘোঁত ঘোঁত করলে কোন কথা ছাড়াই মন্তব্য মুছে দেওয়া হবে ]
ধন্যবাদ, ধন্যবাদ সবাইকে ।
সকল প্রয়োজনীয় লিখার সুত্র, ছবি, ডকুমেন্ট নিচে দেয়া হলো।
মুন্সীদার লিখার লিংক - http://goo.gl/lDCSvC;
মুন্সীদার এফবি আইডি - https://www.facebook.com/badhan71
আসিফ সহ চারজনের অভিযোগ - http://dw.com/p/1H9zk
ইমরানের রাজাকারের নাতি এবং গ্রুপিং এর কিছু লিঙ্কঃ http://goo.gl/YRwPQ2
ইমরানের রাজাকারের নাতি এবং গ্রুপিং এর কিছু লিঙ্কঃ http://www.somoyerproyash.com/?p=10668
Click This Link
Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:৪৯