দ্বিতীয় পর্ব এখানে
সাক্ষাৎকার
’সংবাদপত্রে ট্রেড ইউনিয়ন বিষয়ক সংবাদ উপস্থাপন’ শীর্ষক আলোচ্য গবেষণাটিতে বিগত ৫ মাসে নমুনাকৃত ১৫ টি পত্রিকায় যে সব সংবাদ আধেয় বিশ্লেষণ ও পর্যালোচনার ভিত্তিতে সংবাদপত্র ও ট্রেড ইউনিয়নের মধ্যকার সম্পর্ক কী রকম তা জানার জন্য তিনজন শ্রমিক নেতা ও দুইজন সাংবাদিকের সাক্ষাৎকার নেয়া হয়। এই সাক্ষাৎকারের মূল উদ্দেশ্য ছিল সংবাদপত্র ও ট্রেড ইউনিয়নের মধ্যকার সম্পর্ক নির্ণয় এবং এই সম্পর্ক কীভাবে উন্নতি করা যায়। শ্রমিক নেতা ও সাংবাদিকের আলাদা আলাদা প্রশ্নপত্র নিয়ে তাদের সাক্ষাৎকার নেয়া হয়। নিন্মে তাদের সাাৎকার থেকে প্রাপ্ত মূল বিষয় উল্লেখ করা হলো-
শ্রমিক নেতা
** সংবাদপত্রগুলো ট্রেড ইউনিয়ন বিষয়ক সংবাদ সঠিকভাবে পরিবেশন করে না। অনেক সময় মিথ্যা সংবাদ অথবা দায়সারাভাবে সংবাদ পরিবেশন করে।
** অনেক সময় সংবাদপত্র ট্রেড ইউনিয়ন সম্পর্কে নেতিবাচক তথ্য দেয়। সংবাদপত্র বিভিন্ন সময়ে শ্রমিকদের দোষারূপ করে, শ্রমশক্তিকে খাটো করে নেতিবাচক সংবাদ প্রকাশ করে।
** সংবাদপত্রের মালিকরা হচ্ছে পুঁিজবাদী সমাজের প্রতিনিধি। তারা শ্রমিক স্বার্থ নিয়ে কথা বলে না। তারা সব সময় শিল্প মালিকদের পে কথা বেশি বলে। এখানে শ্রেনী বৈষম্যটা একটা বড় ফ্যাক্টর।
** এসব নেতিবাচক সংবাদের কোনো প্রতিবাদ লিপি বা সাংবাদিক সম্মেলন ট্রেড ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ করে না। তারা প্রত্যাশা করে সংবাদপত্র নিরপেভাবে সঠিক সংবাদ পরিবেশন করবে।
** সংবাদপত্র ও ট্রেড ইউনিয়নের মধ্যে সম্পর্ক উন্নতির জন্য ট্রেড ইউনিয়ন নেতাদের সাংবাদিকদের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক বসা প্রয়োজন।
সাংবাদিক
** ট্রেড ইউনিয়নের নেতিবাচক ইমেজ তৈরির পিছনে সংবাদপত্র বা সাংবাদিকের কোনো ভূমিকা নেই। সংবাদপত্র বা সাংবাদিকরা মূলত কোনো ঘটনা বা বিষয়ের বর্ণনা করেন মাত্র। সাংবাদিকরা এখানে ঈধঃধষুংঃ বা অনুঘটকের ভূমিকা পালন করে।
** ট্রেড ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দ যে ইতিবাচক বা নেতিবাচক ইমেজ নিজেরা সৃষ্টি করে সাংবাদিকরা তা সংবাদপত্রে বর্ণনা করেন মাত্র। ট্রেড ইউনিয়ন নেতাদের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সংশ্লিষ্টতা এবং এর কারণে বিভিন্ন দূর্নীতির বিষয়গুলো সংবাদপত্রে তুলে ধরা হয়।
** ট্রেড ইউনিয়নের নেতিবাচক ইমেজকে ইতিবাচক করতে হলে নেতৃবৃন্দকে এর ভূমিকা নিতে হবে। তাদের মধ্যে সংস্কার প্রয়োজন। তাদের যে সব অভিযোগ আছে তা তারা নিজেরা সংশোধন করলে সংবাদপত্র তখন ইতিবাচক ইমেজ তুলে ধরবে। শ্রমিক নেতাদের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সংশ্লিষ্টতা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। তারা যদি সাধারণ শ্রমিকের পে কথা বলে তাহলে সংবাদপত্র তাদের সমর্থন দিবে। যেমন: ইপিজেডে ট্রেড ইউনিয়ন নিয়ে সংবাদপত্রগুলো ইতিবাচক ভূমিকা পালন করেছে। এখানে সংবাদপত্রের চেয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা চাপ ছিল। তাদের চাপের কারণে সরকার এ বিষয়ে বিভিন্ন পদপে বা সিদ্ধান্ত নেয়, ফলে ট্রেড ইউনিয়ন দ্রুতভাবে গঠিত হয়। এখানে সংবাদপত্র শুধুমাত্র ঘটনাকে প্রতিফলিত করছে।
** সংবাদপত্র ’শ্রমজীবি মানুষ’ ইস্যুটাকে তেমন কোনো গুরুত্ব পায়নি। শুধু মে দিবস আসলে অথবা নির্দিষ্ট কোনো পেশার মানুষের উপর কোনো তিকর প্রভাব পড়লে (যেমন: গার্মেন্টসে আগুন/ভাংচুর ইত্যাদি) তখন সংবাদপত্র কিছু ভূমিকা পালন করে। বিষয়টি এখন পর্যন্ত ইস্যু হিসেবে গণ্য হয় নি। কারণ ’শ্রমজীবি মানুষ’ এর কোন সংগঠন বা ভাষ্য নেই। যে জন্য সংবাদপত্র তাদের সঙ্গে কথা বলতে পারে না। এজন্য ’শ্রমজীবি মানুষ’ এর উচিত প্রথমে তাদের জোরালো সংগঠন তৈরি করা।
** ট্রেড ইউনিয়ন বা শ্রম রাজনীতি নিয়ে অনুসন্ধানমূলক সংবাদ না হওয়ার পিছনে সাংবাদিকদের সচেতনতার অভাব ও সংবাদপত্রের কর্তৃপ দায়ী। তারা সাংবাদিকদের এ ধরনের সংবাদ সংগ্রহের জন্য সময় দিতে চায় না। সংবাদপত্রও উদ্যোগী হয়ে কোনো কিছু করে না। কোনো সাংবাদিক নিজে উদ্যোগী কোনো অনুসন্ধানমূলক সংবাদ লিখলে অনেক সময় সংবাদপত্র তার সঠিক ট্রিটমেন্ট দেয় না। এছাড়া আমাদের দেশে সাংবাদিকতা এখনো পর্যন্ত অপরাধ ও রাজনৈতিক বিষয়ক সংবাদের দিকে ঝোঁক বেশি থাকে। তাই ট্রেড ইউনিয়ন বিষয়ক রিপোর্ট তেমন হয় না। ট্রেড ইউনিয়ন বিষয়ক বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের েেত্র সাংবাদিকদের প্রয়োজনীয় সময় ও অর্থ বরাদ্দ দিতে হবে। এছাড়া তাদের এ বিষয়ে প্রশিণ দিতে হবে।
সার্বিক পর্যালোচনা
(১) সংবাদপত্রের মালিকানা ও পলিসি ট্রেড ইউনিয়ন বিষয়ক সংবাদ পরিবেশনের েেত্র যথেষ্ঠ ভূমিকা রাখে। আমাদের দেশে অধিকাংশ সংবাদপত্র হচ্ছে গ্র“প অব ইন্ডাস্ট্রির মালিকানায়। যেমন: প্রথম আলো, ঞযব উধরষু ঝঃধৎ, যুগান্তর, জনকন্ঠ, ঞযব ওহফবঢ়বহফবহঃ ইত্যাদি। এসব সংবাদপত্রগুলো ট্রেড ইউনিয়ন বা শ্রমিক রাজনীতি বিষয়ক কোনো সংবাদ দিতে চায় না। কারণ এতে তাদের ইন্ডাস্ট্রির উপর এর প্রভাব পড়তে পারে বা সাংবাদিকরা নিজেদের অধিকার আদায়ে সচেষ্ট হতে পারে এ ভয়ে।
(২) ইপিজেডে ট্রেড ইউনিয়ন নিয়ে সংবাদপত্রগুলো মোটামুটি ভাল ও ব্যালেন্সপূর্ণ রিপোর্ট করেছে। মূলত সরকার আমেরিকার চাপে ইপিজেডে ট্রেড ইউনিয়ন করার অনুমতি দিয়েছে। তাই পত্রিকাগুলো এ বিষয়ে ব্যালেন্সপূর্ণ রিপোর্ট করেছে। কিন্তু গার্মেন্টস্ ও ব্যাংকিং সেক্টরের ট্রেড ইউনিয়ন নিয়ে ব্যালেন্সপূর্ণ তেমন কোন রিপোর্ট আসেনি।
(৩) ট্রেড ইউনিয়নের নেতারা সংবাদপত্রে প্রকাশিত নেতিবাচক রিপোর্ট সম্পর্কে অজ্ঞ থাকে। ফলে এর প্রতিবাদ লিপি বা সাংবাদিক সম্মেলন করে এর প্রতিবাদ জানানো যে যায়, তা তারা জানে না।
(৪) গবেষণার নির্ধারিত সময়ে শ্রমিক রাজনীতি বা ট্রেড ইউনিয়ন নিয়ে কোনো অনুসন্ধানমূলক, ফলো আপ ও মানবিক আবেদন সম্পন্ন রিপোর্ট তেমনভাবে আসেনি। অথচ আমাদের দেশের প্রোপটে এরকম রিপোর্ট আসা উচিত ছিল। বিশেষ করে গার্মেন্টস্ সেক্টরে একজন গার্মেন্টস কর্মী কীভাবে অল্প মজুরীতে দিনানিপাত করে, কীভাবে সে শোষণ ও নির্যাতনের শিকার হয় মালিকপ দ্বারা এ সম্পর্কে কোনো অনুসন্ধানমূলক রিপোর্ট আসেনি।
(৫) ‘সংবাদপত্রে ট্রেড ইউনিয়ন বিষয়ক সংবাদের উপস্থাপন’ শীর্ষক আলোচ্য গবেষণাটি করার পূর্বে যে সব অনুকল্প করেছিলাম গবেষণার সার্বিক পর্যালোচনায় তা অনেকাংশেই সত্য বলে তা প্রমাণিত হয়।
সুপারিশমালা
গবেষণার প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ এবং সাাৎকারের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যের পর্যালোচনার মাধ্যমে সংবাদপত্র ও ট্রেড ইউনিয়ন নেতাদের মধ্য সুসম্পর্ক বজায় থাকে এর জন্য কিছূ সুপারিশমালা ট্রেড ইউনিয়ন নেতা, গণমাধ্যম কর্মী এবং ভবিষ্যৎ গবেষকদের জন্য নির্দেশনা ইত্যাদি বিষয় নিম্নে তুলে ধরা হলোÑ
গণমাধ্যম কর্মীদের প্রতি:
(১) ট্রেড ইউনিয়ন বিষয়ক কোন রিপোর্ট লেখার সময় অবশ্যই সংশ্লিষ্ট ট্রেড ইউনিয়ন নেতাদের সঙ্গে কথা বলে লিখতে হবে।
(২) অনুমান নির্ভর না হয়ে সরেজমিনে গিয়ে রিপোর্ট করতে হবে।
(৩) রিপোর্ট লেখার সময় যাতে পপাত দুষ্টমূলক রিপোর্ট ছাপা না হয় সে দিকে ল্য রাখতে হবে।
(৪) অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম উল্লেখ করতে হবে, যাতে দোষী ব্যক্তিকে সবাই চিনতে পারে।
(৫) ঢালাওভাবে অভিযোগ না করে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তার সম্পর্কে লিখতে হবে।
ট্রেড ইউনিয়ন নেতাদের প্রতি:
(১) যখন মিলে বা শিল্প কারখানায় কোন দূর্ঘটনা ঘটবে, তখন সংবাদপত্রে ট্রেড ইউনিয়নের প থেকে একটা ভাষ্য বা বিবৃতি দেয়ার চেষ্টা করতে হবে।
(২) গণমাধ্যমের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রাখার চেষ্টা করতে হবে। প্রতি মাসে বা ত্রৈমাসে গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে একটি আলোচনা বা বৈঠক করা যেতে পারে।
(৩) ট্রেড ইউনিয়নগুলো নিজেরা উদ্যোগী হয়ে সাপ্তাহিক বা পাকি বা মাসিক পত্রিকা অথবা বুলেটিন প্রকাশ করতে পারে।
ভবিষ্যৎ গবেষকদের প্রতি:
(১) সংবাদপত্র নয়, ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় ট্রেড ইউনিয়নকে কীভাবে উপস্থাপন করে তা নিয়ে গবেষণা করা যায়।
(২) আলোচ্য গবেষণা স্বল্পকালীন সময়ে প্রস্তুত করা হয়েছিল বলে ট্রেড ইউনিয়নের অনেক বিষয় তুলে ধরা সম্ভব হয়নি। ভবিষ্যতে কেউ এ বিষয়ে গবেষণা করলে তা অন্তভূক্ত করলে গবেষণাটি পরিপূর্ণ হবে।
(৩) সংবাদপত্র ও ট্রেড ইউনিয়নের সম্পর্ক নিয়ে আরো বৃহৎ আকারে গবেষণা করা যেতে পারে।
উপসংহার
পরিশেষে বলা যায় যে শ্রমজীবি মানুষ প্রতিদিন তাদের মাথার ঘাম পায়ে ফেলে বিভিন্ন ফসল বা পণ্য উৎপাদন করে, যার ফলে আমরা আমাদের জীবনকে উপভোগ করতে পারি। কিন্তু এসব শ্রমজীবি মানুষের বিভিন্ন সমস্যা, দুঃখ-দুর্দশা, আনন্দ-বেদনা সংবাদপত্রে যথাযথভাবে প্রতিফলিত হয় না। অথচ সাংবাদিকতা ও সংবাদপত্র সংক্রান্ত আমাদের আলোচনা-সেমিনার-সিম্পোজিয়াম-কসকরে আলাপচারিতায় নিয়ত উচ্চারিত হয়: ‘সংবাদপত্র সমাজের দর্পন’, ‘সাংবাদিকতা একটি মহান পেশা’, ‘সাংবাদিকরা জাতির বিবেক’, ইত্যাদি ইত্যাদি মহত্ত্ব আরোপক ব্যঞ্জনাময় বাক্যসকল। বলা হয় মিডিয়া সমাজে ‘ওয়াচডগ’-এর ভূমিকা পালন করে। (মামুন, ২০০৩: ৭৪) সমাজের বিভিন্ন শ্রেনীর মানুষের সমস্যা তুলে ধরা তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য হলেও তারা তা সঠিকভাবে পালন করে না। ‘সংবাদপত্রে ট্রেড ইউনিয়ন বিষয়ক সংবাদের উপস্থাপন’ শীর্ষক আলোচ্য গবেষণাটিতে দেখা গেছে সংবাদপত্র উল্লেখিত চারটি বিষয়ের মধ্যে ইপিজেড বিষয়ক সংবাদের েেত্র যথাযথ ট্রিটমেন্ট দিয়েছে। বিশেষ করে ইংরেজি পত্রিকাগুলো এ বিষয়ে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করেছে। তবে অন্যান্য ইস্যুতে সাফল্যজনক তেমন কিছু পাওয়া যায়নি। অথচ এসব ইস্যুতে বিভিন্ন সংবাদ পরিবেশন করার সুযোগ আছে। অনেক সময় সাংবাদিকরা উদ্যোগী হয়ে কোনো অনুসন্ধানমূলক সংবাদ পরিবেশন করতে চাইলেও কর্তৃপ তাদের সময় ও অর্থ দিয়ে সাহায্য করতে চায় না। ফলে সাংবাদিকদের ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও শুধুমাত্র কর্তৃপরে যধাযথ ভূমিকার কারণে এ বিষয়ে অনুসন্ধানমূলক রিপোর্ট আসেনি। বস্তুত বর্তমান বিশ্বব্যবস্থায় ুদ্র গোষ্ঠীর হাতে মালিকানার কেন্দ্রীভবন ও বৃহত্তর কর্পোরেশনগুলোর সঙ্গে মিথোজীবিতামূলক সম্পর্ক, বাজারমনস্কতা, বিজ্ঞাপন নির্ভরতা এবং কোনটা সংবাদ আর কোনটা সংবাদ নয়, কোনটা ইতিবাচক কোনটা নেতিবাচকÑ তা নির্ধারণের বেলায় মিডিয়া যে পদ্ধতি-প্রণালী অনুসরণ করে তা বিচার করে আমরা ক্রিসসমির মতোই বলতে পারি, মিডিয়া মূলত ‘ওয়াচডগ’ নয়, মতাবানদের ‘ল্যাপডগ’ হিসেবে কাজ করে। (মামুন, ২০০৩: ৭৪) তবে সমাজ পরিবর্তনের হাতিয়ার হিসেবে গণমাধ্যমের তার যথাযথ ভূমিকা রাখা উচিত। বিশেষ করে শ্রমজীবি মানুষের বিভিন্ন ন্যায সঙ্গত আন্দোলন সম্পর্কে গণমাধ্যমের ইতিবাচক ধারণা তৈরি বিশেষ কর্মসূচি নিতে পারে। তাহলে গণমাধ্যম গণমানুষের বাহন হবে।
তথ্যসূত্র
১. মামুন, আ-আল (২০০৩), ‘মিডিয়া ও মতার মিথোজীবিতা: গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার সহায়ক নাকি হুমকি’, যোগাযোগ, সংখ্যা-৫, জানুয়ারি ২০০৩, ঢাকা।
২. ইসলাম, সিরাজুল (সম্পাদিত) (২০০৩), বাংলাপিডিয়া, খণ্ড-৮, এশিয়াটিক সোসাইটি, মার্চ ২০০৩, ঢাকা।
৩. পারভেজ, আলতাফ (২০০২), ‘আদমজী: উপসংহার কালের বয়ান’, শ্রমিক, ৫ম বর্ষ ৩য় সংখ্যা, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ (বিল্স), জুলাই-সেপ্টেম্বর ২০০২, ঢাকা।
৪. দৈনিক আমাদের সময়, বাংলাদেশের সাংবাদিকতা এলিটমুখী: জ্যানেট স্টিল, ৫ আগস্ট, ২০০৫, ঢাকা।
5. Wimmer, Roger D. & Joseph R. Dominich (1987), Mass Media Research: An Introduction (2nd edition), Wadsworth Publishing company, California.
(আলোচ্য লেখাটি রোবায়েত ফেরদৌস ও মুহাম্মদ আনোয়ারুস সালাম সম্পাদিত গণমাধ্যম বিষয়ক বই "গণমাধ্যম/শ্রেণিমাধ্যম", শ্রাবণ প্রকাশণী, ২০০৯ প্রকাশিত হয়েছে। যদি কেহ এই লেখা থেকে রেফারেন্স দিতে চান, তাহলে তাদের উক্ত বইয়ের রেফারেন্স দেয়ার জন্য অনুরোধ রহিল)
(কৃতঞ্জতা প্রকাশ: আলোচ্য লেখাটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা বিভাগে চতুর্থ বর্ষ এর ইন্টার্শীপ প্রোগামের আওতায় "বাংলাদেশ ইনিস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ বিলস" এ ইন্টানি করার সময় সম্পাদন করা হয়।)
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে মার্চ, ২০১০ রাত ১০:০৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



