somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

টাকাই কি সব?

০১ লা মার্চ, ২০১০ রাত ১২:৫৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

টাকার জন্য বাংলাদেশের লক্ষাধিক লোক বিভিন্ন গার্মেন্টসগুলোতে কাজ করছে। তারা টাকা উপার্জন করছে শুধু মাত্র জীবন-জীবিকার জন্য। তারা এখানে কাজ করে লক্ষ টাকা উপার্জন করার জন্য আসে না। তাই আমাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিল রংপুরের জুয়েল। আমি জুয়েলের ঘটনাটি প্রথম আলোর অনলাইন সংস্করণ থেকে আপনাদের সামনে তুলে দিলাম।

"এক লাখ টাকা দাম দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হলো আমার মায়ের। বোনের লাশের দামও এক লাখ। আর লাশ বাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য দেবে আরও ১৫ হাজার করে। গরিব গার্মেন্টসে কাজ করে আমার মা আর বোন যে এখন অনেক বড়লোক হয়ে গেছে!"
গাজীপুরের ভোগড়ার গরিব অ্যান্ড গরিব গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে বৃহস্পতিবার রাতে আগুনে নিহত জরিনা বেগমের ছেলে মো. জুয়েল বিলাপ করছিলেন এ কথা বলেই। তাঁর মতো দরিদ্র শ্রমজীবী মানুষেরা যে কেবল জীবন দেওয়ার বিনিময়েই একবারে লাখ টাকার মুখ দেখতে পারেন—এ নির্মম বাস্তবতা নাড়া দেয় উপস্থিত সবাইকে।
অগ্নিকাণ্ডে তাঁর মা আর একমাত্র বোন সান্ত্বনা মারা গেছেন। তাঁদের লাশ নিয়ে কাল দুপুরেই রংপুরের মিঠাপুকুরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন ২০ বছর বয়সী জুয়েল।
জুয়েলের কাছ থেকে জানা যায়, মা ও ভাইবোন মিলে ওঁরা চারজন কাজ করতেন গাজীপুরের দুটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে। এর মধ্যে গরিব অ্যান্ড গরিবে কাজ করতেন মা আর বোন। বাবা শাজাহানকে এখনো এ মর্মান্তিক খবর দেওয়া হয়নি। বলা হয়েছে, মা আর বোন গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে রয়েছেন।
স্ত্রী মাজেদা খাতুনের লাশ নিতে আসেন গাজীপুরের আরেকটি গার্মেন্টসের নিরাপত্তাপ্রহরী জামাল উদ্দিন। ময়মনসিংহের বাসিন্দা জামালউদ্দিনের অভাবের সংসার। তিনি আক্ষেপ করে বললেন, ‘দুইজনের আয়ে কোনোমতে সংসার চলত। এখন তো সব শেষ হয়ে গেল।’
অগ্নিকাণ্ডে নিহত মমতাজ বেগমের (৩২) ভাগ্নে মুমিনও এই গার্মেন্টসে কাজ করেন। ভাগ্যের জোরে তিনি বেঁচে গেছেন। রাত নয়টায় তাঁর শিফট শেষ হওয়ার পর বেরিয়ে যান মুমিন। আর পরের শিফটে কাজ করতে ঢোকেন তাঁর খালা। কিছু সময় পরই লাশ হয়ে যান মমতাজ। এসব কথা বলে হাউমাউ করে কাঁদছিলেন মুমিন।
এ কান্না ছড়িয়ে পড়ে গাজীপুর সদর হাসপাতাল আর ওই গার্মেন্টস সংলগ্ন এলাকায় সমবেত ক্ষতিগ্রস্তদের স্বজনদের মধ্যে। চোখের পানি ঠেকাতে পারেননি স্থানীয় লোকজনও।""" - সূত্র প্রথম আলো (অনলাইন)

যাদের ঘামে আমাদের পোষাক খাতে সর্বাধিক বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জিত হচ্ছে। কেন আমরা তাদের নিরাপত্তা দিতে পারছি না? কেন আমরা তাদের নূন্যতম বেতন নিষ্চিত করতে পারছি না? কেন একেকটি দূর্ঘটনার পর লাখ লাখ টাকা আমরা ব্যয় করছি? কেন এই টাকাটা তাদের নিরাপত্তা ও ন্যায্য পাওনা খাতে খরচ করছি না? প্রতি বছর শ্রমিক অসন্তোষে যে পরিমান আর্থিক ক্ষতি হয় তা এবং এই সকল দূর্ঘটনা পরবর্তী ক্ষতিপুরণের টাকা যদি আমরা তাদের নিরাপত্তা ও ন্যায্য বেতনের জন্য ব্যয় করি আসা করি তাতে মালিক-শ্রমিকের সাথে বাংলাদেশের জন্যও মঙ্গলজনক হবে।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ক্ষমতাচ্যুত ফ্যাসিবাদ: দিল্লির ছায়া থেকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র

লিখেছেন কৃষ্ণচূড়া লাল রঙ, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৫:৫৭

একটা সত্য আজ স্পষ্ট করে বলা দরকার—
শেখ হাসিনার আর কোনো ক্ষমতা নেই।
বাংলাদেশের মাটিতে সে রাজনৈতিকভাবে পরাজিত।

কিন্তু বিপদ এখানেই শেষ হয়নি।

ক্ষমতা হারিয়ে শেখ হাসিনা এখন ভারতে আশ্রয় নিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

Grameen Phone স্পষ্ট ভাবেই ভারত প্রেমী হয়ে উঠেছে

লিখেছেন অপলক , ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৪৯



গত কয়েক মাসে GP বহু বাংলাদেশী অভিজ্ঞ কর্মীদের ছাটায় করেছে। GP র মেইন ব্রাঞ্চে প্রায় ১১৮০জন কর্মচারী আছেন যার ভেতরে ৭১৯ জন ভারতীয়। বলা যায়, GP এখন পুরোদস্তুর ভারতীয়।

কারনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কম্বলটা যেনো উষ্ণ হায়

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৭


এখন কবিতার সময় কঠিন মুহূর্ত-
এতো কবিতা এসে ছুঁয়ে যায় যায় ভাব
তবু কবির অনুরাগ বড়- কঠিন চোখ;
কলম খাতাতে আলিঙ্গন শোকাহত-
জল শূন্য উঠন বরাবর স্মৃতির রাস্তায়
বাঁধ ভেঙ্গে হেসে ওঠে, আলোকিত সূর্য;
অথচ শীতের... ...বাকিটুকু পড়ুন

পশ্চিমা ইসলামবিদ্বেষ থেকে বাংলাদেশের ইসলামপন্থি রাজনীতি

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:৪৬


আমি যখন কানাডায় বসে পাশ্চাত্যের সংবাদগুলো দেখি, আর তার পরপরই বাংলাদেশের খবর পড়ি, তখন মনে হয় - পশ্চিমা রাজনীতির চলমান দৃশ্যগুলো বহু পথ পেরিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতির অন্ধকার প্রেক্ষাগৃহে আলো-ছায়ায় প্রতীয়মান... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইউনুস সাহেবকে আরো পা্ঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চাই।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪৪


আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি পুরো ১৫ মাস ধরেই ছিলো। মব করে মানুষ হত্যা, গুলি করে হত্যা, পিটিয়ে মারা, লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারা, পুলিশকে দূর্বল করে রাখা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

×