গ্যন্টিং হাইল্যন্ড ঘোরা শেষ, এবার রাজধানী কে.এল এর ভেতরটা ইচ্ছা করলে হেটে-হেটেও দেখতে পারেন, তবে পুরো কে.এল শহরটা হেটে দেখা সম্ভব নয়, তবে সেটাও চিন্তার বিষয় নয়, প্রায় প্রতিটি মুল পয়েন্টগুলোতেই আছে বাস অথবা এল.আর.টি ষ্টেশন। আপনি যদি পাসার সেনি অথবা মসজিদ জামেক এলাকায় থাকেন তো আগে আপনার কাছাকাছি যেসব দর্শনীয় স্থান আছে (যেগুলো হেটে-হেটে দেখা সম্ভব) সেগুলো দেখে নিন চট করে। আপনি প্রথমেই দেখতে পারেন দাতারান মারদেকা আর সুলতান আবদুল আহমেদ ভবন
এরপর যেতে পারেন মসজিদ জামেক
এরপর যেতে পারেন কাছাকাছি পিতালিং স্ট্রীট এবং পাসার সেনি মার্কেটে। পিতালিং স্ট্রীট চায়না তাইন নামেও পরিচিত, পুরোনো দিনের ভান্গা মার্কা কিছু চায়নাদের বাড়ীঘর, আশেপাশে আছে বেশ কয়েকটা চায়না মন্দির, সন্ধ্যা থেকে এই এলাকা বেশ জমজমাট, ছোট-ছোট দোকান বসে সারি-সারি অনেকটা ফোটপাতের হকারদের মত।(এ নিয়ে পরে আলাদা করে পোষ্ট দেব)।
এছাড়াও দেখতে পারেন কে.এল টাওয়ার। জাতীয় চিড়িয়াখানা, জাতীয় জাদুঘর, জাতীয় মসজিদ, ইসতানা নেগারা (রাজার বাড়ী), এগুলো ঘুরে দেখতে পারেন বাসে চড়েই, এগুলোর যেকোনটাতে যেতে বাস পাবেন পাসার সেনি থেকেই, (এগুলোর ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে নেটেই পাবেন যাবতীয় তথ্য, তাই আর আমি আলাদা করে দিলাম না)।
এছাড়াও আপনি যেতে পারেন বাতুকেভস
এরপর ইচ্ছা করলে যেতে পারেন রাওয়াং টেম্পেল পার্ক বা সুন্গাই কান্চিং ঝরনা
এবার গুপন সংবাদ দিই, গত দুয়েকদিন ধইরা যারা খুব কষ্টে আছেন তাগো জন্য এই সংবাদ, লগে বৌ থাকলে সাবধান, ওরা এই ব্যাপারে খুব একটা জ্বালাতন করে, সেটা হচ্ছে একটু-আধটু পানি খাওয়া, মোজ-মাস্তি আর কি, কে.এল এর মূলকেন্দ্র কে.এল.সি.সির আশে-পাশেই আছে বেশ কয়েকটা উন্নতমানের বার কাম ডিস্কো, এছাড়াও বাংসার এবং বুকিত বিনতাং নামক এরিয়ায় আছে হাজা-হাজার বিষ্ট্রো, বার, পাব এবং ডেস্কো, তবে জালান আমপাং মানে কে.এল.সি.সির খুব কাছেই রয়েছে যুক এবং বিচ ক্লাব, সাহারার মত উন্নতমানের ডিস্কো। যুউক
এছাড়া বারগুলোতে বসে বিয়ার, হুইস্কি, ম্যান্গো জুস যা খুশী গিলতে পারেন, ক্লাবগুলোতেও আপনি ম্যান্গো জুস পেতে পারেন, চাইলে শুধু কোক বা অন্য কোন পানীয় গিলতে পারেন, এটা যার-যার রূচীর ব্যাপার। এছাড়াও রয়েছে আরো অনেক কিছু, সেগুলো আর এইখানে নাইবা বল্লাম, ইচ্ছা হলে নিজ দায়িত্বে খুজে নেবেন
সামনে আসছে আরো..........

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


