"ডেডালাস ও তাহার পুত্র সমুদ্রবেষ্টিত ক্রীট দ্বীপ হইতে পলায়ন করিবার জন্যে তাহাদের শরীরে পাখির পালকে তৈরী ডানা সন্নিবিষ্ট করিল । উড্ডয়নের পূর্বে ডেডালাস তাহার পুত্র ইকারাস কে বলিল, বৎস, আকাশে উড়িবার সময় সূর্যের নিকটবর্তী হইও না । আমাদের এই পালকগুলি মোম দ্বারা সংযুক্ত হইয়াছে । সূর্যের উত্তাপে মোম গলিয়া পালকগুলি দেহ হইতে বিচ্ছিন্ন হইলে তুমি সমুদ্রে পতিত হইবে ।
উড্ডয়নকালে চপলমতি ইকারাস তাহার সাবধানবাণী বিস্মৃত হইয়া সূর্যের নিকটবর্তী হইল । সূর্যের উত্তাপে তাহার শরীরে সন্নিবিষ্ট মোম গলিয়া পালকগুলি খুলিয়া গেল ।
হতভাগ্য ইকারাস তখন অনেক উচ্চ হইতে পতিত হইল । "
ইহা একটি গ্রীক উপাখ্যান ।
ইকারাস ফিকশনটির মূল কনসেপ্ট এই উপাখ্যান হতে নেয়া ।
বইটির শুরুতেই এই উপাখ্যানটি দেয়া আছে ।
ড. কাদের নামের একজন বিজ্ঞানী আমেরিকার এক জেনেটিক ইন্জিনিয়ারিং কোম্পানীর অর্থায়নে এক নিজর্ন দ্বীপে বিশাল এক হাসপাতাল কাম ল্যাবরেটরী তৈরী করেন । সেখানে সে মানুষ এবং পশু পাখির জিন কম্বিনেশন করে নতুন ধরনের মানুষ তৈরীর চেষ্টা করছেন । এজন্য সে প্রায় ৩০০ মেয়ের জরায়ুতে এই এক্সপেরিমেন্ট করেন । কিন্তু বেশিরভাগ মেয়েই বিকলাঙ্গ শিশুর জন্ম দিয়ে কেউ বা মারা যায় আবার কেউ বা মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে । ঘটনাক্রমে সেই হাসপাতালে আইন শৃংঙ্খলা বাহিনী গিয়ে ড. কাদের কে গ্রেফতার করেন এবং হাসপাতালের সবাইকে উদ্ধার করে ।
কিন্তু একটি মেয়ে নিজের আগত সন্তানের বিভৎস রূপ কল্পনা করে সমুদ্রে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায় । পরবর্তীতে সে বেচেঁ গিয়ে সেই দ্বীপে আশ্রয় নেয় এবং জন্ম দেয় নতুন ধরনের মানুষ ইকারাসের । মেয়েটি মারা যাওয়ার সময় একজনকে সে তার বাচ্চার দায়িত্ব দিয়ে যায় যে তাকে বাচিঁয়ে ছিলো ।
বাচ্চা ইকারাস কে নিয়ে তার পালনকর্তা শহরে আসেন, হৈ চৈ পড়ে যায় পুরো বিশ্বে... এবং তার পর থেকেই ঘটনা ঘটতে শুরু করে ...................
ইকারাসের নিরাপত্তার জন্য কোথায় যাবে তার পালনকর্তা ? ইকারাসেরই বা কি হবে ? .........
সব মিলিয়ে ভালো লাগবে আশা করি বই টি ।
বিঃদ্রঃ শেষের দিকে একটু একঘেয়েমি চলে আসতে পারে এই মনে করে যে লেখক ইচ্ছে করে ঘটনা চুইংগামের মত টেনে লম্বা করার চেষ্টা করেছেন।