somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রনক ইকরাম চোর এখনো তার চুরির কথা স্বীকার করেনি

১২ ই জুলাই, ২০১০ দুপুর ২:১৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


নোবেলজয়ী পাবলো নেরুদার জন্মবার্ষিকী
প্রেম ও দ্রোহের কবি
রনক ইকরাম
পাবলো নেরুদা ছিলেন চিলির কবি ও রাজনীতিবিদ। তাঁর প্রকৃত নাম রিকার্ডো নেফতালি রেয়িসই বাসোয়ালতো। পাবলো নেরুদা প্রথমে তাঁর ছদ্মনাম হলেও পরে নামটি আইনি বৈধতা পায়। কৈশোরে তিনি এই ছদ্মনামটি গ্রহণ করেন। ছদ্মনাম গ্রহণের পেছনে দুটি কারণ ছিল। প্রথমত, সে যুগে ছদ্মনাম গ্রহণ দারুন জনপ্রিয় রীতি ছিল। আর দ্বিতীয়ত, এই নামের আড়ালে তিনি তাঁর কবিতাগুলো বাবার কাছ থেকে লুকিয়ে রাখতেন। তাঁর বাবা ছিলেন কঠোর মনোভাবাপন্ন ব্যক্তি। তিনি চাইতেন তাঁর পুত্র কোনো ব্যবহারিক পেশা গ্রহণ করুক। নেরুদা নামটির উৎস চেক লেখক জান নেরুদা এবং পাবলো নামটির সম্ভাব্য উৎস হলেন পল ভারলেইন। পাবলো নেরুদাকে বিংশ শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ ও প্রভাবশালী লেখক মনে করা হয়। তাঁর রচনা অনূদিত হয়েছে একাধিক ভাষায়।

এখান থেকে দেখুন কিভাবে চুরি করেছে_---_ প্রেম ও বিদ্রোহের কবি নেরুদার জন্ম ১৯০৪ সালের ১২ জুলাই। চিলির পারালে। তাঁর বাবা ছিলেন একজন রেল শ্রমিক আর মা ছিলেন শিক্ষয়িত্রী। নেরুদার জন্মের ২ মাসের মধ্যে তাঁর মা মারা যান। বাবাও বেশিদিন বাঁচেননি। সৎ মায়ের কাছে কেটেছে শৈশব। ১৯২০ সালে ষোল বছর বয়সে পত্রিকায় নেরুদা নাম নিয়ে লেখালেখি শুরু। ১৯২৩ সালে প্রকাশিত হয় তার প্রথম কবিতার বই ক্রেপুস্কুলারিও অর্থাৎ গোধূলি লগ্নের গ্রন্থ। ১৯২৪ সালে প্রকাশিত হয় ভেইন্তে পোয়েমাস দে আমোর ই উনা কানসিওন দেসেসপেরাদা অর্থাৎ বিশটি প্রেমের কবিতা ও একটি নিরাশার গান। এই বইটি প্রকাশের পর সাহিত্যজগতে ঝড় উঠল। এতে ছিল ভালোবাসা-প্রেম ও যৌবনের আবেদন। এ নিয়ে শুরু হয় তর্ক-বিতর্ক। প্রশংসা করেন অনেকেই। আবার সমালোচনাও কম নয়। অনেক ভাষায় বই দুটোর অনুবাদ প্রকাশিত হয়।

১৯২৭ সালে মাত্র ২৩ বছর বয়সে আর্থিক অনটনের কারণে রেঙ্গুনে (মায়নমার) চিলির রাষ্ট্রদূত হিসেবে সরকারি চাকরিতে যুক্ত হন। পরবর্তী সময়ে একই দায়িত্ব পালন করেন তৎকালীন সিলোনের কলম্বোয়, বাটাভিয়ায় (জাভা) ও সিঙ্গাপুরে। ১৯৩৪ সালে তিনি চিলির রাষ্ট্রদূত হয়ে স্পেনে যান।

১৯৪২ সালে নেরুদা রচনা করেন 'কান্তো আ স্তালিনগ্রাদো' নামে একটি কবিতার বই। ১৯৪৩ সালে 'নুয়েভো কান্তো দে আমোর আ স্তালিনগ্রাদো' নামে আরেকটি বই রচনা করেন। এ দুটো কবিতায় তার কমিউনিস্ট চেতনা ও সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রতি অনুরাগ প্রকাশ পায়। এ সময় তিনি চিলির রাষ্ট্রদূত হয়ে মেঙ্েিকাতে ছিলেন। ১৯৪৫ সালের ৪ মার্চ আতাকামা মরু অঞ্চলের আন্ডোফাগাস্তা ও তারাপাকা প্রদেশের জন্য কমিউনিস্ট পার্টির পক্ষে সিনেটর নির্বাচিত হন নেরুদা। ১৯৪৪ সালের শেষের দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিলির কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগ দেন তিনি। ১৯৪৬ সালে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী গাব্রিয়েল গনজালেস ভিদেলার পক্ষে নেরুদা প্রচারণা চালান। ১৯৫৩ সালে নেরুদা স্তালিন শান্তি পুরস্কার পান। ওই বছরই স্তালিন মারা যায়। তাঁকে নিয়ে শোকগাঁথা রচনা করেন তিনি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় কিউবার ফুল গেনসিও বাতিস্তা ও পরে ফিদেল ক্যাস্ট্রোকে প্রশংসা করে কবিতা লেখেন। লেনিন সম্পর্কে বলেছেন, 'গ্রেট জিনিয়াস অফ দিস সেঞ্চুরি।'

১৯৪৫ সালে খনি শ্রমিকদের স্বার্থবিরোধী আইন প্রণয়নের প্রতিবাদ করায় চিলি সরকারের রোষানলে পড়েছিলেন নেরুদা। ১৯৪৭ থেকে '৪৯ সাল পর্যন্ত তিনি আত্মগোপনে ছিলেন। ১৯৪৮ সালে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী গাব্রিয়েল গনজালেস ভিদেলা সাম্রাজ্যবাদীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কমিউনিস্ট পার্টিকে নিষিদ্ধ করে। যার ফলে বাধ্য হয়ে দেশ ছাড়েন নেরুদা। চলে যান ইউরোপে। ১৯৫০ সালে ভারতে এসেছিলেন। ১৯৫২ সালে চিলিতে ফিরে যান। ১৯৬৯ সালে চিলির কমিউনিস্ট পার্টি নেরুদাকে প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচনের জন্য মনোনীত করে। পরে সম্মিলিত বামফ্রন্ট সালভাদোর আলেন্দেকে সর্বসম্মত প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করলে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নেন নেরুদা।

নেরুদার প্রকাশিত ৬৫টি কাব্যগ্রন্থের মধ্যে কয়েকটি বইয়ের বাংলা নাম হলো- গোধূলিলগ্ন, ক্ষুদ্র মানুষের ঝুঁকি, মর্ত্যের অধিবাসী ১ ও ২, তৃতীয় অধিবাসী, হে স্পেন আমার হৃদয়, স্তালিনগ্রাদের সংগীত, মাচ্চু-পিচ্চুর শিখরে, মুক্তিযোদ্ধা, এই প্রান্তরের নাম হুয়ান, হে মহাসমুদ্র, আমি আছি, প্রজ্বলিত তরবারি, অনুর্বর ভূখণ্ড, সমুদ্রের ঘণ্টাধ্বনি ইত্যাদি।

১৯৭১ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান তিনি। চিলিতে অগাস্তো পিনোচেটের নেতৃত্বাধীন সামরিক অভ্যুত্থানের সময়েই ১৯৭৩ সাল নাগাদ প্রস্টেট ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার পর হাসপাতালে ভর্তি হন নেরুদা। তিন দিন পরই ১৯৭৩ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় সান্তিয়াগোর সান্তা মারিয়া ক্লিনিকে মারা যান তিনি। পিনোচেট নেরুদার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়াকে জনসমক্ষে অনুষ্ঠিত করার অনুমতি দেননি। যদিও হাজার হাজার শোকাহত চিলিয়ান সেদিন কার্ফ্যু ভেঙে পথে ভিড় জমান। পাবলো নেরুদার অন্ত্যেষ্টি পরিণত হয় চিলির সামরিক একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রথম গণপ্রতিবাদে। সব মিলিয়ে পাবলো নেরুদা বিশ্বজুড়েই একজন কবি এবং রাজনীতিক হিসেবে সমানভাবে সমাদৃত।-----এই পর্যন্ত।


পাবলো নেরুদাঃ শোষিত মানুষের বিপ্লবের কবি

এই লেখাটি শেখ রফিকের। এবার পড়ুন। এবং মিলিয়ে দেখুন। বিজ্ঞ ব্লগার বন্ধুরা আপনারাই বলুন রনক ইকরাম লেখাটি চুরি করেছে কি না?

নেরুদার জন্ম ১৯০৪ সালের ১২ জুলাই। চিলির পারালে। তার পুরো নাম রিকার্দো নেফতালি রেয়িসই বাসোয়ালতো। পাবলো নেরুদা তার নিজের নেওয়া ছদ্মনাম। এ নামেই তিনি পরিচিত। মাত্র ১৫ বছর বয়সে পত্রিকায় কবিতা পাঠিয়ে তাঁর নিচে লিখে দিতেন_পাবলো নেরুদা। তাঁর বাবা ছিলেন একজন রেল শ্রমিক আর মা ছিলেন শিক্ষয়ত্রী। নেরুদার জন্মের ২ মাসের মধ্য তাঁর মা মারা যান। বাবাও বেশী দিন বাঁচেননি। সৎ মায়ের কাছে কেঁটেছে শৈশব।

১৯২০ সালে ষোল বছর বয়সে পত্রিকায় নেরুদা নাম নিয়ে লেখালেখি শুরু। ১৯২৩ সালে প্রকাশিত হয় তার প্রথম কবিতার বই ক্রেপুস্কুলারিও অর্থাৎ গোধূলি লগ্নের গ্রন্থ। ১৯২৪ সালে প্রকাশিত হলো ভেইন্তে পোয়েমাস দে আমোর ই উনা কানসিওন দেসেসপেরাদা অর্থাৎ কুড়িটা প্রেমের কবিতা ও একটি নিরাশার গান। সাহিত্য জগতে ঝড় তুললেন এই বই দুইটির মাধ্যমে। এতে ছিল ভালবাসা-প্রেম ও যৌবনের আবেদন। এ নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক-বিতর্ক। প্রশংসা করেন অনেকেই। আবার সমালোচনাও কম নয়। অনেক ভাষায় বই দুটোর অনুবাদ প্রকাশিত হয়।

১৯২৭ সালে সালে মাত্র ২৩ বছর বয়সে আর্থিক অনটনের কারণে রেঙ্গুনে (বার্মা) চিলির রাষ্ট্রদূত হিসেবে সরকারী চাকুরীতে যুক্ত হন। পরবর্তী সময়ে একই দায়িত্ব পালন করেন তৎকালীন সিলোনের কলোম্বোয়, বাটাভিয়ায় (জাভা) ও সিঙ্গাপুরে। ১৯৩৪ সালে তিনি চিলির রাষ্ট্রদূত হয়ে স্পেনে যান। জাভায় সাক্ষাৎ পান মারিকা অ্যান্টোনিয়েটা হ্যাগেনার ভোগেলসাং নামে এক ডাচ তরুণীর। মারিকা ছিলেন ব্যাংককর্মী। বিয়ে করেন তাকে। তাদের দাম্পত্য জীবন সুখের হয়নি। ১৯৩৬ সালে তারা পৃথক হয়ে যান। এরপর নেরুদার সম্পর্ক গড়ে উঠে দেলিয়া দেল কাররিল নামে এক নারীর সাথে। স্পেনের গৃহযুদ্ধের সময় ১৯৩৬-৩৭ সালে পারিতে ফ্রাঙ্কোর ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে সংগঠন গড়ে তোলেন এবং নানা স্থানে বক্তৃতা দেন।

১৯৪২ সালে নেরুদা রচনা করেন ‘কান্তো আ স্তালিনগ্র্যাদো’ নামে একটি কবিতার বই। ১৯৪৩ সালে ‘নুয়েভো কান্তো দে আমোর আ স্তালিনগ্রাদো’ নামে আরেকটি বই রচনা করেন। এ দুটো কবিতায় তার কমিউনিস্ট চেতনা ও সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রতি অনুরাগ প্রকাশ পেয়েছে। এ সময় তিনি চিলির রাষ্ট্রদূত হয়ে মেক্সিকোতে ছিলেন। ১৯৪৫ সালের ৪ মার্চ আতাকামা মরু অঞ্চলের আন্ডোফাগাস্তা ও তারাপাকা প্রদেশের জন্য কমিউনিস্ট পার্টির পক্ষে সিনেটর নির্বাচিত হন নেরুদা। ১৯৪৪ সালের শেষের দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিলির কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগ দেন তিনি। ১৯৪৬ সালে র‌্যাডিক্যাল পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী গাব্রিয়েল গনজালেজ ভিদেলা তার নির্বাচনি প্রচারণার ব্যবস্থাপক হওয়ার অনুরোধ জানান নেরুদাকে।

নেরুদাও তার পক্ষে প্রচারণা ১৯৫৩ সালে নেরুদা স্তালিন শান্তি পুরস্কার পান। ওই বছরই স্তালিন মারা যায়। তাঁকে নিয়ে শোকগাঁথা রচনা করেন নেরুদা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় কিউবার ফুল গেনসিও বাতিস্তা ও পরে ফিদেল কাস্ত্রোকে প্রশংসা করে কবিতা লেখেন। লেনিন সম্পর্কে বলেছেন, ‘গ্রেট জিনিয়াস অফ দিস সেনচুরি।’ নেরুদা তার রাজনৈতিক জীবনে কমিউনিস্ট মতাদর্শ-দর্শনের উপর আস্থা কখনো হারাননি।

১৯৪৫ সালে খনি শ্রমিকদের স্বার্থবিরোধী আইন প্রণয়নের প্রতিবাদ করায় চিলি সরকারের রোষাণলে পড়েছিলেন নেরুদা। ১৯৪৭ থেকে ’৪৯ সাল পর্যন্ত তিনি আত্মগোপনে ছিলেন। ১৯৪৮ সালেপ্রেসিডেন্ট প্রার্থী গাব্রিয়েল গনজালেজ ভিদেলা সাম্রাজ্যবাদীদের সাথে হাত মিলিয়ে কমিউনিষ্ট পার্টিকে নিষিদ্ধ করে। যার ফলে বাধ্য হয়ে দেশ ছাড়েন নেরুদা। চলে যান ইউরোপে। ১৯৫০ সালে ভারতে এসেছিলেন। ১৯৫২ সালে চিলিতে ফিরে যান। ১৯৫৩ সালে তিনি স্তালিন পুরুস্কার পান। ১৯৬৯ সালে চিলির কমিউনিস্ট পার্টি নেরুদাকে প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচনের জন্য মনোনীত করে। পরে সম্মিলিত বামফ্রন্ট সালভাদোর আলেন্দেকে সর্বসম্মত প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করলে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নেন নেরুদা। ১৯৭০ সালে আলেন্দে প্রেসিডেন্ট হিসেবে বিপুল ভোটে জয়ী হয়। আলেন্দে নেরুদাকে ফ্রান্সে চিলির রাষ্ট্রদূত করে পাঠান। ১৯৭২ সাল পর্যন্ত সে এই দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৭১ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান। সারাজীবন তিনি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। চিলির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি বারবার সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। ১৯৭৩ সাল নাগাদ প্রস্টেট ক্যান্সারে ভয়ানক অসুস্থ হয়ে পড়েন নেরুদা। ১৯৭৩ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় সান্তিয়াগোর সান্তা মারিয়া ক্লিনিকে মারা যান পাবলো নেরুদা।



নেরুদার জন্ম ১৯০৪ সালের ১২ জুলাই। চিলির পারালে। তার পুরো নাম রিকার্দো নেফতালি রেয়িসই বাসোয়ালতো। পাবলো নেরুদা তার নিজের নেওয়া ছদ্মনাম। এ নামেই তিনি পরিচিত। মাত্র ১৫ বছর বয়সে পত্রিকায় কবিতা পাঠিয়ে তাঁর নিচে লিখে দিতেন_পাবলো নেরুদা। তাঁর বাবা ছিলেন একজন রেল শ্রমিক আর মা ছিলেন শিক্ষয়ত্রী। নেরুদার জন্মের ২ মাসের মধ্য তাঁর মা মারা যান। বাবাও বেশী দিন বাঁচেননি। সৎ মায়ের কাছে কেঁটেছে শৈশব।

১৯২০ সালে ষোল বছর বয়সে পত্রিকায় নেরুদা নাম নিয়ে লেখালেখি শুরু। ১৯২৩ সালে প্রকাশিত হয় তার প্রথম কবিতার বই ক্রেপুস্কুলারিও অর্থাৎ গোধূলি লগ্নের গ্রন্থ। ১৯২৪ সালে প্রকাশিত হলো ভেইন্তে পোয়েমাস দে আমোর ই উনা কানসিওন দেসেসপেরাদা অর্থাৎ কুড়িটা প্রেমের কবিতা ও একটি নিরাশার গান। সাহিত্য জগতে ঝড় তুললেন এই বই দুইটির মাধ্যমে। এতে ছিল ভালবাসা-প্রেম ও যৌবনের আবেদন। এ নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক-বিতর্ক। প্রশংসা করেন অনেকেই। আবার সমালোচনাও কম নয়। অনেক ভাষায় বই দুটোর অনুবাদ প্রকাশিত হয়।

১৯২৭ সালে সালে মাত্র ২৩ বছর বয়সে আর্থিক অনটনের কারণে রেঙ্গুনে (বার্মা) চিলির রাষ্ট্রদূত হিসেবে সরকারী চাকুরীতে যুক্ত হন। পরবর্তী সময়ে একই দায়িত্ব পালন করেন তৎকালীন সিলোনের কলোম্বোয়, বাটাভিয়ায় (জাভা) ও সিঙ্গাপুরে। ১৯৩৪ সালে তিনি চিলির রাষ্ট্রদূত হয়ে স্পেনে যান। জাভায় সাক্ষাৎ পান মারিকা অ্যান্টোনিয়েটা হ্যাগেনার ভোগেলসাং নামে এক ডাচ তরুণীর। মারিকা ছিলেন ব্যাংককর্মী। বিয়ে করেন তাকে। তাদের দাম্পত্য জীবন সুখের হয়নি। ১৯৩৬ সালে তারা পৃথক হয়ে যান। এরপর নেরুদার সম্পর্ক গড়ে উঠে দেলিয়া দেল কাররিল নামে এক নারীর সাথে। স্পেনের গৃহযুদ্ধের সময় ১৯৩৬-৩৭ সালে পারিতে ফ্রাঙ্কোর ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে সংগঠন গড়ে তোলেন এবং নানা স্থানে বক্তৃতা দেন।

১৯৪২ সালে নেরুদা রচনা করেন ‘কান্তো আ স্তালিনগ্র্যাদো’ নামে একটি কবিতার বই। ১৯৪৩ সালে ‘নুয়েভো কান্তো দে আমোর আ স্তালিনগ্রাদো’ নামে আরেকটি বই রচনা করেন। এ দুটো কবিতায় তার কমিউনিস্ট চেতনা ও সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রতি অনুরাগ প্রকাশ পেয়েছে। এ সময় তিনি চিলির রাষ্ট্রদূত হয়ে মেক্সিকোতে ছিলেন। ১৯৪৫ সালের ৪ মার্চ আতাকামা মরু অঞ্চলের আন্ডোফাগাস্তা ও তারাপাকা প্রদেশের জন্য কমিউনিস্ট পার্টির পক্ষে সিনেটর নির্বাচিত হন নেরুদা। ১৯৪৪ সালের শেষের দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিলির কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগ দেন তিনি। ১৯৪৬ সালে র‌্যাডিক্যাল পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী গাব্রিয়েল গনজালেজ ভিদেলা তার নির্বাচনি প্রচারণার ব্যবস্থাপক হওয়ার অনুরোধ জানান নেরুদাকে।

নেরুদাও তার পক্ষে প্রচারণা ১৯৫৩ সালে নেরুদা স্তালিন শান্তি পুরস্কার পান। ওই বছরই স্তালিন মারা যায়। তাঁকে নিয়ে শোকগাঁথা রচনা করেন নেরুদা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় কিউবার ফুল গেনসিও বাতিস্তা ও পরে ফিদেল কাস্ত্রোকে প্রশংসা করে কবিতা লেখেন। লেনিন সম্পর্কে বলেছেন, ‘গ্রেট জিনিয়াস অফ দিস সেনচুরি।’ নেরুদা তার রাজনৈতিক জীবনে কমিউনিস্ট মতাদর্শ-দর্শনের উপর আস্থা কখনো হারাননি।

১৯৪৫ সালে খনি শ্রমিকদের স্বার্থবিরোধী আইন প্রণয়নের প্রতিবাদ করায় চিলি সরকারের রোষাণলে পড়েছিলেন নেরুদা। ১৯৪৭ থেকে ’৪৯ সাল পর্যন্ত তিনি আত্মগোপনে ছিলেন। ১৯৪৮ সালেপ্রেসিডেন্ট প্রার্থী গাব্রিয়েল গনজালেজ ভিদেলা সাম্রাজ্যবাদীদের সাথে হাত মিলিয়ে কমিউনিষ্ট পার্টিকে নিষিদ্ধ করে। যার ফলে বাধ্য হয়ে দেশ ছাড়েন নেরুদা। চলে যান ইউরোপে। ১৯৫০ সালে ভারতে এসেছিলেন। ১৯৫২ সালে চিলিতে ফিরে যান। ১৯৫৩ সালে তিনি স্তালিন পুরুস্কার পান। ১৯৬৯ সালে চিলির কমিউনিস্ট পার্টি নেরুদাকে প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচনের জন্য মনোনীত করে। পরে সম্মিলিত বামফ্রন্ট সালভাদোর আলেন্দেকে সর্বসম্মত প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করলে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নেন নেরুদা। ১৯৭০ সালে আলেন্দে প্রেসিডেন্ট হিসেবে বিপুল ভোটে জয়ী হয়। আলেন্দে নেরুদাকে ফ্রান্সে চিলির রাষ্ট্রদূত করে পাঠান। ১৯৭২ সাল পর্যন্ত সে এই দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৭১ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান। সারাজীবন তিনি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। চিলির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি বারবার সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। ১৯৭৩ সাল নাগাদ প্রস্টেট ক্যান্সারে ভয়ানক অসুস্থ হয়ে পড়েন নেরুদা। ১৯৭৩ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় সান্তিয়াগোর সান্তা মারিয়া ক্লিনিকে মারা যান পাবলো নেরুদা।


(ব্লগার বন্ধুরা, রনক ইকরাম চোর সাহেব নিচের লেখাটি আজ বাংলাদেশ প্রতিদিন ছাপিয়েছেন। উনি, চোর সাহেব http://www.biplobiderkotha.com থেকে চুরি করেছেন। রনক ইকরাম চোর সাহেবের আজ প্রকাশিত লেখাটি কপি করে দিলাম। আপনারা সময় পেলে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করে দেখবেন।

ব্লগার বন্ধুরা, আপনারা অবগত আছেন আমার এই লেখাটি ২০০৭ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর দৈনিক সংবাদের সাহিত্য সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়। ২০০৬ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর সাপ্তাহিক একতায় বের হয়। ২০০৯ সালে সামহোয়ারইনব্লগে প্রকাশিত হয়। ২০১০ সালের ১৭ জানুয়ারি http://www.biplobiderkotha.com এর বিশ্বের বিপ্লবী পৃষ্ঠাতে আপডেট করা হয়।)
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই জুলাই, ২০১০ দুপুর ২:২৬
৬টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×