তিন তরুণের একটি স্বপ্নের নাম।
প্রতিবছর এসএসসি পরীক্ষার রেজাল্টের পরে কিছু মেধাবী ছাত্র ছাত্রীর খবর ছাপা হয় বিভিন্ন মিডিয়ায়। যেখানে দেখা যায় খুব দরিদ্র পরিবারের হয়েও তারা সবচেয়ে ভালো ফলাফল করছে। এ খবরগুলো থেকে তথ্য সংগ্রহ করে সেসব মেধাবীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে এডুকেশন ফর অল। আর্থিক অবস্থা এবং ফলাফল বিবেচনায় ঢাকায় এনে বৃত্তি দিয়ে তাদের পড়াশোনার যাবতীয় খরচ চালাচ্ছেন তিন বন্ধু।
এবছর যাদের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছিল
এনায়েত হোসেন রাজিব, দি ওয়েব ল্যাব এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। অনলাইন জগতের একজন নিবেদিত কর্মী। ২০১১ সালে বেস্ট ফ্রিল্যান্সার অ্যাওয়ার্ডও পেয়েছেন। গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার নাঙ্গলকোট। পড়াশোনা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে আইএসটিতে কম্পিউটার সায়েন্সে। এরপর নিজের ব্যবসা। সফটওয়্যার, ওয়েব সলিউশন ফার্মের ব্যবসা করছেন মিরপুর ডিওএইচএস এলাকায় অফিস নিয়ে।
সাইফুর রহমান এরিকসনের সার্ভিস ইঞ্জিনিয়ার। বাড়ি চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ। ঢাকায় মোহাম্মদপুরে নিজেদের বাড়ি। পড়াশোনা চুয়েট থেকে সিএসই।
নুর খান। ই-মাইক্রোগ্রাফের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা।গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনার কেন্দুয়া। থাকেন ঢাকার উত্তরায়। পড়াশোনা আমেরিকার ইউনিভার্সিটি অব ম্যারিল্যান্ড কলেজ পার্কে অর্থনীতিতে। এরপর কানাডায় ইয়র্ক ইউনিভার্সিটিতে মাস্টার্স করেছেন। ২০১০ সাল থেকে দেশে কাজ করছেন অনলাইন জগৎ, সফটওয়্যার আর অ্যাপস নিয়ে। ওয়েব, আইফোন, অ্যান্ড্রয়েড প্লাটফর্মে কাজ করেন।
স্বপ্ন দেখতে শেখানো তিনজন নুর খান, রাজিব ও সাইফুর
দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য ২০১১ সাল থেকে কাজ করছেন এই তিন তরুণ। তিন বছরে কাজ বেশ বড় আকারে চলছে। প্রথম ব্যাচে ১০জন, দ্বিতীয় ব্যাচে ২৮ জন আর এবার নেয়া হয়েছে ৬৬ জন। এই তৃতীয় ব্যাচে বাজেট ৫০ লাখ ছাড়িয়ে যাচ্ছে।
যেসব খরচ বহন করা হয়ঃ
এইচএসসি ভর্তি, বই, পরীক্ষার ফি সহ পড়াশোনার যাবতীয় খরচ
এইচএসসি এর পর ৫ মাস ঢাকায় থাকা খাওয়াসহ বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কোচিং এর যাবতীয় খরচ
এছাড়াও যেকোনো ৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফরম পূরণ, পরীক্ষা দেয়ার যাতায়াত খরচ।
২০১২ সালে প্রতিটি ছাত্রের জন্য বরাদ্দ ছিল ৬৯ হাজার টাকা। তবে সবদিক বিবেচনা করে তারা ছাত্রদের পড়াশোনার সুবিধার জন্য বাজেট বাড়িয়ে ২০১৩ সালে ৮১ হাজার টাকা করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
যদি কেউ সাহায্য করতে চানঃ
একজন শিক্ষার্থীর পুরো/অর্ধেক দায়িত্ব নিতে পারেন, খরচ ৮১০০০/৪০৫০০ টাকা কিন্তু একবারেই দিতে হবে না। কেউ চাইলে ৪ কিস্তিতে ৬ মাস পরপর ২.৫ বছরে দিতে পারবেন।
একজন শিক্ষার্থীর পুরো/অর্ধেক দায়িত্ব না নিয়ে কেউ চাইলে ৫০০/১০০০/৫০০০ এরকম যেকোন পরিমান টাকা দিয়েও সাহায্য করতে পারেন।
আরো বিস্তারিত জানতে চাইলেঃ
সাইফুর রহমান ০১৬৭৮১০২০৩১
সবার জন্য শিক্ষা নিয়ে বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম এর রিপোর্ট
ওয়েবসাইট ও ফেসবুক পেজ
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫০