somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাল্যবিবাহ এবং নবীর সুন্নত

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ ভোর ৪:৩১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ফেসবুকের হোমপেজের সমস্যা হচ্ছে মাঝেমধ্যে কিছু ডিস্টার্বিং ইমেজ চোখে পড়ে, এবং তারপরে মাথা কাজ করা বন্ধ করে দেয়। আজকে যেমন দেখলাম, আওয়ামী ওলামা লীগের এক যুবক হাতে ব্যানার ধরে দাঁড়িয়ে আছে, সেখানে লেখা, "সুন্নতি বাল্যবিবাহের বিরোধিতা, নবীজি উনারই বিরোধিতা।"
সাথে আরেকজন দাঁড়িয়ে গেছেন, তার ব্যানারে লেখা, "নির্বাচনে উগ্র সন্ত্রাসী হিন্দুদের মনোনয়ন বাতিল করতে হবে।"
দ্বিতীয় পয়েন্টটা অস্বাভাবিক না। বাংলাদেশের জন্মেরও বহু আগে থেকে এইদেশে বহু উগ্রবাদী ধর্মান্ধ বাস করে আসছে। এরা কখনও এই ব্যানারের অধীনে, অথবা কোনদিন অন্য কোন ব্যানারের অধীনে ম্যা ম্যা রব তুলবে। এই দাবি না জানালে অবাক হতাম।
সমস্যা হচ্ছে, কিছুদিন আগেই যখন সড়ক পথে নিরাপত্তার যৌক্তিক দাবি নিয়ে ছাত্ররা রাজপথে নেমেছিল, তখন পুলিশের সাথে হেলমেট বাহিনী ঝাঁপিয়ে পরে ওদের মারধর করেছিল। এইবার কোন হেলমেট বাহিনী, কোন পুলিশের বাঁধা এরা পায়নি। কারন দলের নাম আওয়ামী ওলামা লীগ। অথচ এগুলিকেই সবার আগে পেটানো উচিৎ। ওরা আমার নবীকে মিথ্যাভাবে উপস্থাপন করেছে। তাঁর বদনাম করেছে। তাদের বেত দিয়ে পেটানো উচিৎ।
ব্যাখ্যা করি।
বদের বাচ্চাগুলি বলতে চাইছে বাল্যবিবাহ করা নবীর (সঃ) সুন্নত। অথচ তাঁর একজন বাদে অন্য কোন স্ত্রীই বালিকা ছিলেন না। কুমারীও ছিলেন না। সবাই ছিলেন বিধবা, অথবা তালাকপ্রাপ্তা।
হ্যা, হজরত আয়েশার বয়স কম ছিল। এবং তাঁকে নিয়ে লম্বা একটি লেখা আমি বহু আগেই লিখেছিলাম। যা আমি নিশ্চিত, কেউই পড়েননি। তাই এখানে অতি সংক্ষেপে বর্ণনা করি।
যে সময়ে নবীর সাথে আয়েশার (রাঃ) বিয়ে হয়, তখনকার সামাজিক নিয়মই ছিল বাল্যবিবাহের। এখানে সবচেয়ে বড় ব্যাপার যা লক্ষ্যণীয়, গত একশো বছর আগেও আয়েশার (রাঃ) বয়স নিয়ে কেউ টু শব্দটি পর্যন্ত করেনি। এইটা অতি সাম্প্রতিক ফেনোমেনা। ত্যানাবাজেরা দারুন টপিক পেয়েছে ত্যানা প্যাচানোর। কে জানে, হয়তো ভবিষ্যতে "বিয়ে" নামের ইনস্টিটিউশনটাই লুপ্ত হবে, এবং লোকে তাঁর দিকে আঙ্গুল তুলে বলবে, তিনি কেন বিয়ে করেছিলেন!
বাল্য বিবাহের ব্যাপারটা আমাদের দেশেও মাত্র এক দুই জেনারেশন আগেও অতি স্বাভাবিক ঘটনা ছিল। আমাদের দাদি নানীদের বিয়ে বয়স আঠারো হবার বহু আগেই হয়েছে। যারা প্রশ্ন তুলেন, তাঁরা নিজেদের দাদি নানীদের খোঁজ নিন আগে। নাহলে তারও এক জেনারেশন আগে। অভিযোগ এবং প্রতিবাদ নিজের পরিবার থেকেই না হয় শুরু হোক।
যাই হোক, সেই যুগে আঠারো বয়ষ্ক কোন অবিবাহিতা কন্যাকে বিবাহের বাজারে বাতিল বলে গণ্য করা হতো।
আমাদের জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানেরই তাঁর চাচাতো বোনের সাথে বিয়ে হয়েছিল তেরো বছর বয়সে যখন বেগম মুজিবের বয়স ছিল মাত্র তিন বছর। তাঁর পিতা মাতা গত হওয়ায় শেখ সাহেবের দাদাজান তাঁদের মধ্যে বিয়ে দিয়ে দেন। এর নয় বছর পরে তাঁরা সংসার শুরু করেন। বেগম মুজিবের বয়স যখন মাত্র ১২ বছর। শেখ হাসিনা নিজের ইন্টারভিউতে বলেন, "মায়ের সাথে আমার বয়সের পার্থক্য খুব বেশি ছিল না। আমরা বান্ধবীর মতন ছিলাম।"
ধরে নেয়া যাতে পারে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর জন্মের সময়ে বেগম মুজিবের বয়স তেরো চৌদ্দ বছর ছিল। তখনকার হিসেবে খুব একটা বিরল ঘটনা না।
গেল আমাদের জাতির পিতার কথা।
ভারতের জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধীরও বিয়ে হয়েছিল তেরো/চৌদ্দ বছর বয়সে কস্তুরী বাইর সাথে, যিনি নিজেও ছিলেন চৌদ্দ বছরের বালিকা।
পাকিস্তানের জাতির জনকেরও স্ত্রীর বয়স ছিল চৌদ্দ বছর যখন তাঁদের বিয়ে হয়।
এছাড়া ওয়েস্টার্ন কালচারেও বাল্য বিবাহের চল ছিল। গথিক সাহিত্যের পিতা এডগার এলেন পোর স্ত্রীর বয়স ছিল বারো বছর।
এখন কার বৌয়ের বয়স কত ছিল এই লিস্ট দিতে আমি লেখা শুরু করিনাই। নামগুলো উল্লেখ করার কারন একটাই, এইটা বুঝাতে যে সেই যুগে এইটা এমন কোন অস্বাভাবিক কিছু ছিল না। সবাই করতেন। না করাটাই বরং ছিল অস্বাভাবিক আচরণ।
এখন আসা যাক ইসলামিক দৃষ্টিকোণে।
বিয়ের ব্যাপারে ইসলাম বলে যখন ছেলে এবং মেয়ে ফিজিক্যালি এবং মেন্টালি বিয়ের জন্য "ফিট" হয়ে যাবে, তখন তাঁদের বিয়ে দিয়ে দাও।
কিছু মানুষ আমরা দেখতে পাই যাদের মেন্টাল গ্রোথ বয়সের সাথে বাড়েনা। একুশ বছরের যুবক, কিন্তু মেন্টাল গ্রোথ আট নয় বছরের শিশুর। সেই যুবকের কিন্তু বিয়ে ফরজ না।
শুধু ফিজিক্যাল এবং মেন্টাল ফিটনেসের সাথে সাথেও আরও অনেক শর্তও প্রযোজ্য। বিয়ে করে বৌকে খাওয়ানোর ক্ষমতা না থাকলে সেটা হয়ে যাবে গুনাহ। বিয়েতে মেয়ের মত না থাকলে বিয়ের কন্ট্রাক্ট null and void. এইরকম আরও বহু কিছু।
একটি মহাগুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট হচ্ছে, ইসলাম কী কোথাও শর্ত দিয়ে দিয়েছে যে কুমারী, কম বয়ষ্ক মেয়ে বিয়ে না করলে মুসলিম হওয়া যাবেনা? বা সহজ ভাষায়, বাল্য বিবাহ করা ফরজ? না। একটি হাদিস, একটি কুরআনিক আয়াত, কিচ্ছু দেখাতে পারবেনা কেউ। আমি ইচ্ছা করলেই বয়ষ্ক নারী বিয়ে করতে পারবো, এবং তারপরেও আমি মুসলিম থাকবো। আমাদের নবীও (সঃ) নিজের চেয়ে বয়সে বড় এক মহিলাকে বিয়ে করেছিলেন। পঁচিশ বছর সংসারও করেছিলেন সেই নারীর সাথে। তিনি মারা যাবারও বহুবছর পর পর্যন্ত তাঁকে ভালবেসে গিয়েছিলেন। হজরত খাদিজার (রাঃ) প্রতি তাঁর ভালবাসার গভীরতা অনুভব করলে নিজেকে অপরাধী মনে হবে। আমরা আমাদের বৌদের প্রতি কতটাই না অন্যায় করি!
ইসলামে তাই বিধবা নারী, তালাকপ্রাপ্তা নারীদের বিয়ের ব্যাপারে উৎসাহ দেয়া হয়েছে। এই বিষয়ে এইসমস্ত আওয়ামী ওলামাগণ নিশ্চুপ। কখনও দেখবেন না নবীর "সুন্নত" আদায়ের জন্য বিধবা না তালাকপ্রাপ্তা কন্যা খুঁজে বের করে অবিবাহিত ছেলেরা বিয়ে করে।
ইসলামিক নিয়ম হচ্ছে, যতক্ষণ না পর্যন্ত কোন দেশের আইন ইসলামের আইনের সাথে সরাসরি সাংঘর্ষিক হচ্ছে, ততক্ষন পর্যন্ত সেই দেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং অনুগত থাকতে হবে। না থাকাটা বরং অনৈসলামিক।
বাস্তব উদাহরণ দেই।
বিশ্বখ্যাত বক্সার মোহাম্মদ আলীকে সবাই চিনেন। তিনি প্রথম জীবনে খ্রিষ্টান ছিলেন, তারপর মুসলিম হয়ে নাম পরিবর্তন করে মোহাম্মদ আলী হন। ক্যারিয়ারে সাফল্যের তুঙ্গে থাকাবস্থায় অ্যামেরিকা ভিয়েতনামের সাথে যুদ্ধে জড়ায়। অ্যামেরিকার নিয়ম হলো, যুদ্ধ বাঁধলে সরকার লটারির মাধ্যমে সিভিলিয়ানদের থেকে কিছু মানুষকে ফৌজে যোগ দিতে নির্দেশ পাঠায়। অ্যামেরিকান সিটিজেনশিপের প্রধান শর্তই এটি, দেশ যুদ্ধে জড়ালে আমাকে-আপনাকেও অস্ত্র তুলে নিতে হবে। আমরা যেই হই না কেন। পঙ্গু-উন্মাদ বা এইরকম কোন কারন থাকলে অবশ্য ভিন্ন কথা। এটাই আইন।
মোহাম্মদ আলী সরকারের বিরুদ্ধে গেলেন। তিনি বললেন, "আমার ধর্ম আমাকে গরিব কৃষক হত্যার অনুমতি দেয় না। দুঃখিত। আমি সেনাবাহিনীতে যাব না।"
ব্যাপারটি আংকেল স্যামের জন্য খুবই ইনসাল্টিং। সমস্ত দুনিয়ায় তাঁরা তখন বলে বেড়াচ্ছে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে তাঁরা ভিয়েতনামবাসীদের সাহায্য করছে। এদিকে নিজের দেশেরই সবচেয়ে বড় সেলিব্রেটি তাঁদের মুখোশ উন্মোচন করে দিচ্ছে!
তাঁরা হুমকি দিলেন তাঁর বক্সিং লাইসেন্স কেড়ে নেয়া হবে। তাঁর চ্যাম্পিয়নশিপ কেড়ে নেয়া হবে।
মোহাম্মদ আলীর ইন্টারভিউ যদি জীবনে একবারও শুনে থাকেন, তাহলেই বুঝবেন তাঁর ঘাড়ের দিকের রগটা কতটা ত্যাড়া।
তিনি বললেন, "নিলে নাও। আমি পরোয়া করিনা। তবু আমার হাতে নির্দোষ কেউ মরবে না।"
কিছুদিন আগেও বিশ্বের হেভিওয়েট বক্সিং চ্যাম্পিয়ন পিৎজার দোকানে কাজ করে নিজের সংসার চালিয়েছেন। তবুও নতি স্বীকার করেননি।
গেল মোহাম্মদ আলীর উদাহরণ। দেশের আইনের বিরুদ্ধে গেছেন কারন ইসলাম ধর্মের সাথে সাংঘর্ষিক ছিল।
তাহলে দেখা যাচ্ছে, যেহেতু আঠারো বছরের নিচের কোন মেয়েকে বিয়ে করা ইসলামে বাধ্যতামূলক নয়, এবং দেশের আইনও বলছে বাল্য বিবাহ দন্ডনীয় অপরাধ, কাজেই এই আইনটি ইসলামের সাথে মোটেও সাংঘর্ষিক নয়। এতে এত হৈচৈ করার কিছু নেই। চোখ বন্ধ করে ফলো করতে হবে।
শেষ করা যাক "নবীর সুন্নত" বিষয়ে কিছু কথা বলে।
আমার নবী (সাঃ) যাই করতেন, তাই ছিল সুন্নত। তাঁকে ভালবাসলে সেটা পালন করলে সোয়াব মেলে। তবে অতি অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে, সব সুন্নত পালন করা সম্ভব না বলেই সেসবকে সুন্নত বলা হয়ে থাকে। নাহলে ফরজ বলা হতো।
এখন নিচে কিছু উদাহরণ দেই তাঁর সুন্নতের, দেখি কয়জন ভাইব্রাদার সেসব নিষ্ঠার সাথে পালন করেন।
১. তাঁর সময়ে কুরআন লিখিত ছিল না। সবাই মাথায় রাখতেন। বই আকারে কুরআন পড়া তাই সুন্নতের বরখেলাপ। শিক্ষকের মুখ থেকে শুনে আওড়ে আওড়ে মুখস্ত করতে হবে।
২. তাঁর সময়ে কুরআনে কোন নোকতা, যতি চিহ্ন ছিল না। খাঁটি আরব না হলে সেই হরফ পড়া অনারবদের জন্য অসম্ভব ব্যাপার তখন ছিল। বর্তমানে খাঁটি আরবরাও পড়তে পারবেনা। আমরা তাহলে বর্তমানে যে কুরআন পড়ছি, সেটাও সুন্নতের বরখেলাপ।
৩. নবীর (সঃ) সময়ে চেয়ার টেবিল ছিল না। সেখানে বসা সুন্নতের বরখেলাপ। গাড়ি ছিল না। উট, ঘোড়া, গাধা বা খচ্চর ছাড়া অন্য কোন বাহন ব্যবহার করা সুন্নতের বরখেলাপ।
৪. তাঁর সময়ে ইলটেকট্রিসিটি ছিল না। মসজিদে মাইকের ব্যবহার, এসি, ফ্যান ইত্যাদি তাইলে সুন্নতের বরখেলাপ। মসজিদে দামি টাইলস বসানোও সুন্নতের বিরুদ্ধে যাওয়া। কারন তিনি যেদিন মারা যান, সেদিনও মসজিদে নববীর মেঝে ছিল মাটির, বৃষ্টি হলে কাদা জমে যেত।
৫. তিনি খেজুর পাতার বিছানায় ঘুমাতেন। কোন বিছানা, তোষক গদি ছিল না। তিনি জীবনেও ভাত খাননি। কারন তাঁর সময়ে আরবে ধান চাষ হতো না। বর্তমানে আরবরাই বিরানি খায়। আমাদের কথাতো বাদই দিলাম।
এতসব পরিবর্তন কেন এসেছে? কারন যুগ পাল্টেছে। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে আমরাও এগিয়েছি। এগুলো কোন অবস্থাতেই ইসলামের মূল ভিত্তির সাথে সাংঘর্ষিক নয়। বাল্যবিবাহ রোধ আইনও নয়।
যে ছাগল ম্যা ম্যা করবে, সে যেন আগে উপরে উল্লেখ করা সুন্নতগুলো পালন করে। নাহলে তাকে হিপোক্রেট ডাকা হবে। এবং হিপোক্রেটদের স্থান আমাদের ধর্মে নেই।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ ভোর ৪:৩১
৫টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

রম্য : মদ্যপান !

লিখেছেন গেছো দাদা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩

প্রখ্যাত শায়র মীর্জা গালিব একদিন তাঁর বোতল নিয়ে মসজিদে বসে মদ্যপান করছিলেন। বেশ মৌতাতে রয়েছেন তিনি। এদিকে মুসল্লিদের নজরে পড়েছে এই ঘটনা। তখন মুসল্লীরা রে রে করে এসে তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মেঘ ভাসে - বৃষ্টি নামে

লিখেছেন লাইলী আরজুমান খানম লায়লা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩১

সেই ছোট বেলার কথা। চৈত্রের দাবানলে আমাদের বিরাট পুকুর প্রায় শুকিয়ে যায় যায় অবস্থা। আশেপাশের জমিজমা শুকিয়ে ফেটে চৌচির। গরমে আমাদের শীতল কুয়া হঠাৎই অশীতল হয়ে উঠলো। আম, জাম, কাঁঠাল,... ...বাকিটুকু পড়ুন

= নিরস জীবনের প্রতিচ্ছবি=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১



এখন সময় নেই আর ভালোবাসার
ব্যস্ততার ঘাড়ে পা ঝুলিয়ে নিথর বসেছি,
চাইলেও ফেরত আসা যাবে না এখানে
সময় অল্প, গুছাতে হবে জমে যাওয়া কাজ।

বাতাসে সময় কুঁড়িয়েছি মুঠো ভরে
অবসরের বুকে শুয়ে বসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Instrumentation & Control (INC) সাবজেক্ট বাংলাদেশে নেই

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫




শিক্ষা ব্যবস্থার মান যে বাংলাদেশে এক্কেবারেই খারাপ তা বলার কোনো সুযোগ নেই। সারাদিন শিক্ষার মান নিয়ে চেঁচামেচি করলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাই বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে সার্ভিস দিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×