ফেসবুকে জানলাম (তাই গুজবও হতে পারে) সরকার থেকে জানানো হয়েছে ডাটা সেন্টার পুড়ে গেছে, তাই দেশে ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে গেছে।
গুজব হলে কিছু বলার নাই।
কিন্তু বাস্তবেই যদি এমনটা বলে থাকে, তাহলে বুঝাই যায় কোন অশিক্ষিত আহাম্মক মূর্খ দায়িত্বে বসে আছে।
আমাদের দেশের সরকারি পদগুলিও একেকটা সার্কাস।
যেমন আমি যেখানে চাকরি করি, সেখানে একদিন অফিসে না আসলে খোঁজ নেয়া হয় আমি কি অসুস্থ নাকি। কোন কারনে আমি আজকে অফিসে যাই নাই। কারনটা যেন অবশ্যই ভ্যালিড হয়। "মন চেয়েছে তাই আমি যাই নাই" বললে হবেনা।
পরপর দুইদিন বিনা কারনে অফিসে না গেলে ধরেই নিবে আমি চাকরিতে আগ্রহী নই, আমাকে কোন কথা ছাড়াই বিদায় করে দেয়া হবে।
আমি নিজেও ছুটিছাটা নিতে চাই না। ছুটি শেষে ফেরত আসলে দেখি একগাদা কাজ জমে থাকে। সেগুলো শেষ করতে দ্বিগুন পরিশ্রম করতে হয়।
আমাদের এমপি সাকিব আল হাসান দেখি ওয়ার্ল্ডকাপ খেলে, তার আগে আইপিএল খেলে, তার পরে মেজর লীগ ক্রিকেট খেলে, তার মাঝে দেখি পরিবার নিয়ে ঘুরে বেড়ায় - তাহলে ওর জনপ্রতিনিধির কাজটা কে করে? ওর অফিসে কে বসে? অফিসে যদি কোন কাজ না থাকে তাহলে সেটার জন্য এত নির্বাচনী লড়াই কেন হয়? আর ওর যদি কাজ করার ইচ্ছা না থাকে, তাহলে কোন তামাশা করতে সে অফিসের দায়িত্ব নিয়েছে?
সরকার দলীয় লোকজন হাউকাউ করছে আন্দোলনকারীরা অমুক দোকানে ভাংচুর করেছে, তমুক জায়গায় আগুন দিয়েছে। রাষ্ট্রের বিরাট ক্ষতি হয়ে গেছে।
সম্পদের ক্ষতি আসলেই অনাকাঙ্খিত, এবং দুঃখজনক। কোটি কোটি টাকা আগুনে পোড়ানো কোন কাজের কথা না।
কিন্তু রাষ্ট্র যে দেড়শো মানুষ (অফিসিয়াল হিসাব) মেরে ফেলল, তার বেলায়? ক্ষতি হওয়া জাতীয় সম্পদ টাকার বিনিময়ে আবার সরানো সম্ভব। কত টাকা দিলে ক্লাস নাইন পড়ুয়া যে ছেলেটা কবরে চলে গেছে সে আবার মায়ের কোলে ফিরে আসবে?
মানুষজনের কি মাথা নষ্ট হয়ে গেছে যে মানুষের জীবনের চাইতেও বেশি মূল্য দিচ্ছে সামান্য কিছু গাড়ি, দোকানপাট আর মেট্রোরেলকে? কতটা ইনসেন্সিটিভ হলে এরা এমন কথা বলে!
এদের কারণেই ক্ষুব্ধ জনতা আরও ক্ষুব্ধ হয়, রাগের বিস্ফোরণ ঘটায়।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ১১:১১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




