somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ঢাকা শহরের যানজটঃ উড়াল সেতুর মিথ ও মিথ্যা

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৩:২৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

উড়াল সেতুর মিথ ও মিথ্যা নিয়ে একটা লিখা পড়লাম। ভাল লেগেছে, তাই সামুর পাঠকদের সাথে শেয়ার করলাম।

মো. মাহমুদুল হক ● ‘একটা শহর ধ্বংস করার দুটো উপায় আছে-এক. সেখানে অ্যাটম বোমা ফেলা, দুই. সেখানে প্রচুর গাড়ি নামানো।’ কলম্বিয়ার রাজধানী বোগোটার মেয়র এনরিক পেনালোসা যখন এ কথাটা বলেন তখন তা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। কারণ পৃথিবীর অন্যতম ভয়াবহ যানজটের শহর বোগোটাকে তিনি তার আমলে (১৯৯৮-২০০১) প্রায় পুরোপুরি যানজটমুক্ত করে ফেলেছেন। আমাদের একটা প্রচলিত ধারণা আছে-রাস্তা করলেই যানজট কমে যায়, যত রাস্তা তত সহজ চলাচল। যে কোনো মানুষ স্বাভাবিক বুদ্ধিতে এটাই বিশ্বাস করবেন। কিন্তু সত্য এই-যত রাস্তা করা হবে তার সঙ্গে সঙ্গে যদি নতুন গাড়ি আমদানি নিয়ন্ত্রণ করা না যায় তবে গাড়িও ততই বাড়বে, আর সেইসঙ্গে যানজটও। পৃথিবীর অসংখ্য শহরে এটা এখন প্রমাণিত। এনরিক পেনালোসার শহর বোগোটার কথাই ধরুন। সেখানে একবার অসহনীয় যানজটে মানুষের নাভিশ্বাস ওঠার জোগাড় হয় (এই মুহূর্তের ঢাকার মতো)। যানজটের কারণ খুঁজতে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় প্রত্যেকেরই একটি করে প্রাইভেট কার আছে। ফলে রাস্তায় ৫০ জন নামা মানে আসলে ৫০টি গাড়ি নামা, যাদের জন্য দরকার ৫০টি গাড়ির জায়গা। সেই গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য লাগে প্রচুর জায়গা। প্রাইভেট কারের ওই ৫০ জন আসলে মাত্র একটা মিনিবাসেই এঁটে যান অনায়াসে। মেয়র হিসেবে পেনালোসা এবারে তাই প্রাইভেট কারের বিরুদ্ধে পুরো যুদ্ধ ঘোষণা করেন। কোনো রকম নতুন রাস্তা করা তিনি থামিয়ে দিলেন, জোর দিলেন পাবলিক ট্রান্সপোর্টে। প্রচুর বড় বড় বাস নামিয়ে দিলেন, যেগুলো নির্দিষ্ট সময় পরপর ৫০ থেকে ৬০টি প্রাইভেট কারের পরিমাণ যাত্রী একবারেই নিয়ে যেতে সক্ষম। সেই বাসগুলোর লেন শুধু আলাদা করে দেওয়া হলো। (এই কার্যকর পদ্ধতিটির নাম BRT বা Buss Rapid Transit) প্রায় তৎক্ষণাৎ ফলাফল পাওয়া গেল। যানজট প্রায় উধাও। একই সঙ্গে পথচারীদের হাঁটার জন্য সুবিশাল ফুটপাত আর শহরবাসীর হাত-পা ছড়িয়ে বসবার জন্য প্রচুর খোলা জায়গা, পার্ক-মাঠ ইত্যাদির ব্যবস্থা করা হলো। ঘোষণা করা হলো গাড়িমুক্ত দিবস, প্রতি রবিবার শহরে কোনো গাড়ি বের হবে না। যে যত ধনী-ই হোক না কেন সুস্থ-সবল হলে তাকে ওই সময়ের জন্য চালাতে হবে সাইকেল। যদিও ব্যাপারটা সহজে হয়নি। বিশেষ করে গাড়ির মালিকরা তো দিনভর মেয়রের প্রাণপাত করার ইচ্ছা পোষণ করে ঘুরে বেড়াতেন। অর্থনীতি ও ইতিহাসের ছাত্র এই মেয়র ব্যাপারটা বর্ণনা করেছেন এভাবে-‘ধনীদের কাছে আমি রাতারাতি যেন পরিণত হলাম এক ভিলেনে, যে তাদের অবৈধভাবে পার্ক করা গাড়িগুলো সরিয়ে জায়গা করে দিচ্ছে সাধারণ মানুষের হাঁটবার, সঙ্গে এমনকি হাঁটতে বাধ্য করছে তাদেরও।’ গাড়ির মালিকদের চোখে এই ভিলেন লোকটি কার ফ্রি ডে ঘোষণার জন্য ২০০০ সালে ‘স্টকহোম চ্যালেঞ্জ’ অ্যাওয়ার্ড পান।

বোগোটা বনাম ঢাকা

কলম্বিয়ার রাজধানী নিয়ে এই দীর্ঘ ভূমিকা দেওয়ার কারণ হলো-ঢাকার বর্তমান যানজট সমস্যা ও তার সমাধানের জন্য সরকারের নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগ। ইতোমধ্যে প্রায় প্রতিটি উদ্যোগ হাস্যকর প্রমাণিত হওয়ার পর (রাস্তায় লিখে লেন আলাদা করা, স্কুল-কলেজ বন্ধ করে দেওয়া, স্থাণুর মতো দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাফিক সিগন্যালের জ্যামে ইলেকট্রনিক সিগন্যাল বসিয়ে স্পিড লিমিট লিখে দেওয়া, মানুষের বাড়িঘর ভেঙে নতুন রাস্তা করে জ্যাম আরো বাড়িয়ে দেওয়া, রোড ডিভাইডারের ওপেনিংগুলো বাঁশ দিয়ে আটকে দেওয়া, রোড ডিভাইডার কাঁটাতার দিয়ে আটকে দেওয়া … ইত্যাদি) সরকার এবার উঠেপড়ে লেগেছে। যে কোনো মূল্যে যানজট কমাতে হবে। সেই প্রক্রিয়ার সাম্প্রতিকতম উদ্যোগ হলো ২৩ আগস্ট মন্ত্রিসভায় পাস হওয়া উড়াল সেতু বা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রজেক্ট। প্রজেক্টের ব্যয় ধরা হয়েছে দুই বিলিয়ন ডলার! স্বভাবতই যানজটক্লিষ্ট ঢাকাবাসীর জানতে ইচ্ছা হবে কী হবে এই সেতু হলে? এতে কি এবার যানজট কমবে? ১০ মিনিটের রাস্তা কি ১০ মিনিটেই যাওয়া যাবে? পথচারী, বৃদ্ধ, শিশু প্রতিবন্ধী-সবাই কি অনায়াসে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে যেতে পারবে? গাড়ি নেই এমন যেই ৬০ ভাগ আমি আর তুমি এ শহরে আছি-আমরা কি তাহলে বাধ্যতামূলক গাড়ি কেনার অভিশাপ থেকে বাঁচতে পারব? বাংলাদেশের আরো অনেক প্রকল্পের মতো এই প্রকল্পের ক্ষেত্রেও উত্তরটা হচ্ছে ‘না’। চাইলে এর কারণ ব্যাখ্যা করে পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা রিসার্চ পেপার লিখে ফেলা যায় তবে তার মোদ্দা কথা অতিসাধারণভাবে বললে বলা যায়, এই প্রকল্প আসলে যানজট আরো ভয়াবহভাবে বাড়াবে! কারণ এই প্রকল্প আসলে প্রাইভেট কারমালিকদের জন্যই করা হচ্ছে। যেহেতু বাইরের থেকে প্রাইভেট কার আমদানির ওপর এ দেশে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই তাই নিশ্চিতভাবেই এই সেতুকে উপলক্ষ করে আরো কয়েক হাজার প্রাইভেট কার ঢাকায় নামতে যাচ্ছে যা একটা নির্দিষ্ট সময় হয়তো মাথার ওপর থাকবে কিন্তু একসময় না একসময় তাদের সমতলে নামতেই হবে, আর তখন পুরো সেতুজুড়ে আরেক যানজট নরকের অবতারণা ঘটা খুবই স্বাভাবিক। উড়াল সেতুর যেসব ক্ষুদে সংস্করণ ইতোমধ্যে আমাদের সামনে আছে সেগুলো দিয়েই খুব সহজ একটা হিসাব করুন। মহাখালী ফ্লাইওভার বা খিলগাঁও ফ্লাইওভারে কি কি গাড়ি দেখা যায়? প্রথমেই বাদ দিতে হবে রিকশা, সাইকেল আর পথচারী-যারা গোটা শহর-ট্রাফিকের প্রায় ৪০ ভাগ! এরপর বাদ হলো লোকাল পাবলিক বাস যা শহর-ট্রাফিকের প্রায় ৩০ ভাগ! বাকি থাকে ১০ ভাগ প্রাইভেট কার আর অসহনীয় ‘কন্ট্রাক রেট’-এ যাওয়া সিএনজি, ট্যাক্সি, সঙ্গে কিছু দূরপাল্লার বাস ও মালবাহী পিক-আপ, ট্রাক-লরি ইত্যাদি, যেগুলো আসলে ঢাকাবাসীকে তেমন কোনো সার্ভিসই দেয় না। অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে মাত্র ১০ ভাগ মানুষকে মাত্র কয়েক মিনিটের নিরবচ্ছিন্ন গতির নিশ্চয়তা দিতে সরকার ১০০ ভাগ মানুষের শত কোটি টাকা খরচ করে যাচ্ছে। আমাদের মনে তাই একটা সরল প্রশ্ন জাগা স্বাভাবিক-সরকার কেন এমন জনবিরোধী প্রকল্প নিচ্ছে? উত্তরটা আসলে আমরা জানি। আমাদের দেশের মানুষের চোখে রাজনৈতিক সরকারের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার প্রধান শর্ত হলো তার আমলে প্রচুর কনস্ট্রাকশনঘেঁষা কাজ করা। সেতু, রাস্তা-ঘাট, বিল্ডিং, মার্কেট, অ্যাপার্টমেন্ট, হল ইত্যাদি। অর্থাৎ যেগুলো চোখে দেখা যায় ও সামনে একটা ভিত্তিপ্রস্তর গেঁথে নাম লিখে দেওয়া যায়। ভোটের আগে এগুলোই রাজনীতিবিদদের পোর্টফোলিওরূপে জনগণের সামনে মেলে ধরতে হয়, আর জনগণ হিসেবে আমরাও অতটা শিক্ষিত হতে পারিনি যে এসব দেখনদারি প্রকল্পের বুজরুকি ধরে ফেলব। আমরাও এসব দেখে আহা-উহু করি। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ব্যস্ততম ট্রাফিকের ফাঁক গলিয়ে রাস্তা পার হওয়ার সময় আমরা আসমানি সেতু দেখে গর্বের শ্বাস ফেলি। ভেবে দেখুন-সপ্তাহে একদিন শহরে প্রাইভেট কার নামবে না, সেদিন ঢাকা হবে রিকশার শহর-এই ঘোষণা দিলে সেটার তো না আছে কোনো প্রকল্প ব্যয়, না আছে তার কোনো আলিশান কনস্ট্রাকশন কর্ম। আর রিকশার শহর ঘোষণা দিলে মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও ব্যবসায়ী গোষ্ঠী কি তবে রিকশায় চড়বেন? বা হেঁটে যাবেন? কদাপি নয়। আসলে শুধু রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ বা বণিকগোষ্ঠী নয়, আমাদের দেশে যারা এসব যানজট নিরসনের তুঘলকি বুদ্ধি বাতলানোর কাজটা করেন তারা প্রায় সবাই একাধিক প্রাইভেট কারের মালিক। ফলে তাদের নেওয়া প্রকল্প যে ৭০ ভাগ সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে যাবে এতে আর আশ্চর্যের কি? তারা হয়তো জানতে চান না যে পৃথিবীর অন্যতম উন্নততম দেশ জাপানের পরিবহনমন্ত্রী বাধ্যতামূলকভাবে সপ্তাহে একবার হলেও পাবলিক বাসে জনগণের সঙ্গে যাতায়াত করেন, যাতে সাধারণ মানুষের যন্ত্রণার ব্যাপারটা বোঝা যায়।

প্ল্যানারদের কথা : আমরা এবারে এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নিয়ে বাংলাদেশী কিছু বিশেষজ্ঞের মতামত শুনি। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের শিক্ষক শাকিল আখতারের মতে, লন্ডনসহ ইউরোপের আরো অনেক শহরে এমনকি শতকরা ১৫ ভাগেরও কম রাস্তা আছে, এবং সেখানে মোটেও এ রকম যানজট হয় না। অপরদিকে লসঅ্যাঞ্জেলেস, যেখানে রাস্তা আছে শতকরা ৩০ ভাগেরও বেশি সেখানে যানজটের প্রকোপ ভয়াবহ। তার মতে, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে শুধু যানজটকে ভূমি থেকে ওপরে তুলতে পারে, কিন্তু এটা স্থায়ী সমাধান নয়। বর্তমানে টোকিও ও সিউলের মতো আরো অনেক উন্নত শহর এই ফ্লাইওভার ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েকে বর্জন করতে শুরু করেছে। একই বিভাগের চেয়ারম্যান সারওয়ার জাহানের মতে, এই ফ্লাইওভার যে ঢাকার মোট রাস্তার সঙ্গে আরো সাত ভাগ নতুন রাস্তা যোগ করবে তার কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. আকতার মাহমুদের মতে, এই ফ্লাইওভার আসলে করা হচ্ছে একটা বিশেষ গোষ্ঠীর জন্য, অর্থাৎ সোজা কথায় যাদের গাড়ি আছে তাদের জন্য নয়। একটা শহরের সাপেক্ষে এটা একেবারেই মেনে নেওয়া যায় না। কারণ বৃহৎ জনগোষ্ঠী এই প্রকল্প থেকে লাভবান হবে না। তার পরেও এ ধরনের প্রকল্প নেওয়ার কারণ হিসেবে তিনি কিছু সুবিধাভোগী বহুজাতিক ব্যবসায়ী গোষ্ঠী ও সেই সঙ্গে প্রশাসনিক অনাচারকে দায়ী করেন। এই গোষ্ঠীর ক্ষমতা এতই বেশি যে তারা এ ধরনের সরকারি প্রকল্পকে অনায়াসে নিজেদের সুবিধামতো নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন। তার মতে, এ ধরনের ব্যয়বহুল প্রকল্পের সমপরিমাণ টাকা দিয়ে নদীপথ ও Bus Rapid transit ধরনের আরো গণমুখী বিকল্প যাতায়াত ব্যবস্থা চালু করা যেত।

অর্থাৎ এ দেশের নগরবিদদরাও এক কথায় এই প্রকল্পকে লোকদেখানো ও শুধু সীমিত গোষ্ঠীর জন্য করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করছেন। জনগণ হিসেবে তাই আমাদের এই আকাশমুখী উড়াল সেতু নিয়ে গর্ব করার কিছু থাকছে না।

সমাধান কোন পথে?

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের পুরো প্রকল্প PPP (Public Private Partnership)-এর ভিত্তিতে হচ্ছে। আর আমাদের অন্য আরো অনেক আইনের মতো PPP এর ক্ষেত্রেও জনস্বার্থ রক্ষার দিকটি খুব কার্যকর নয়। এই প্রক্রিয়ায় সরকারের নিয়ন্ত্রণ কীভাবে ও কতটা থাকবে তার ওপর গোটা ব্যাপারটার ভালো-মন্দ নির্ভর করে। প্রায় ১৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে করা এই প্রকল্পে তাই জনগণের স্বার্থ রক্ষার ব্যাপারটা আশঙ্কার মধ্যেই থেকে যাচ্ছে।

এতক্ষণ নেতিবাচক কথা তো বলা হলো, এবার স্বাভাবিক প্রশ্ন আমাদের মনে আসতেই পারে যে, তাহলে সমাধান কি? এক কথায় এই সমস্যার সমাধান দেওয়া হবে বালখিল্যতা। তবে বিশেষজ্ঞরা বারবার বলছেন, যা-ই করা হোক না কেন তা যেন বৃহত্তর জনসাধারণের জন্য করা হয়। আর যেসব স্ট্যান্ডার্ডের ভিত্তিতে আমাদের পরিকল্পনাগুলো করা হচ্ছে সেগুলো যেন আমাদের দেশের সাপেক্ষে বাস্তবসম্মতভাবে করা হয়। যেমন আমাদের মনে রাখতে হবে শহরের মোট ভূমির শতকরা ২৫ ভাগ রাস্তা বলে বারবার যে কথাটা বলা হচ্ছে-এমনকি এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্পপত্রেও এই স্ট্যান্ডার্ডটা দেওয়া আছে-সেটা মূলত পশ্চিমা দুনিয়া থেকে আগত। আমাদের শহরের চারদিকের নদীপথ ব্যবহার করে আমরা অনায়াসেই আরো অনেক কম জায়গা বরাদ্দ দিয়েও পর্যাপ্ত রাস্তার ব্যবস্থা করতে পারি।

আর অসহনীয় জনভার কমাতে ঢাকার সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত নয় এমন স্থাপনাগুলো সরিয়ে অনায়াসেই একটা আশু মুক্তি আনা সম্ভব।

উন্নত বিশ্বে যখন ফুয়েল ফ্রি আন্দোলন চলছে, ঘোষণা করা হচ্ছে গাড়িমুক্ত দিবসের। ধনী-গরিব সবাইকে বলা হচ্ছে হাঁটতে-ঠিক তখনই আমরা বানাতে যাচ্ছি বিরাট এক এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। আমরা ভুলে যাই পৃথিবীর বর্তমান প্রেক্ষাপটে ভুল করে করে শিখবার সময়টা আর নেই। আমরা ভুলে যাই আমাদের এর আগে করা ফ্লাইওভার ও কানেকটিং রোডগুলো যানজট কমাতে পারেনি। তাই শুধু প্রাইভেট কারবান্ধব এই প্রকল্প শুধু বহুজাতিক গাড়ি কোম্পানির পকেটই ভারী করবে না, সেইসঙ্গে যানজটকে আরো অসহনীয় করে তুলবে।

তথ্যসুত্রঃ http://budhbar.com/?p=2828
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১:৩৪
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পানির অপচয় রোধ: ইসলামের চিরন্তন শিক্ষা এবং সমকালীন বিশ্বের গভীর সংকট

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৪৬

পানির অপচয় রোধ: ইসলামের চিরন্তন শিক্ষা এবং সমকালীন বিশ্বের গভীর সংকট



পানি জীবনের মূল উৎস। এটি ছাড়া কোনো প্রাণের অস্তিত্ব সম্ভব নয়। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তা'আলা ইরশাদ করেন:

وَجَعَلۡنَا... ...বাকিটুকু পড়ুন

মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫….(৭)

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৭

ষষ্ঠ পর্বের লিঙ্কঃ মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫-….(৬)

০৬ জুন ২০২৫ তারিখে সূর্যোদয়ের পরে পরেই আমাদেরকে বাসে করে আরাফাতের ময়দানে নিয়ে আসা হলো। এই দিনটি বছরের পবিত্রতম দিন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিকে shoot করে লাভবান হলো কে?

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:২৪


শরিফ ওসমান হাদি যিনি সাধারণত ওসমান হাদি নামে পরিচিত একজন বাংলাদেশি রাজনৈতিক কর্মী ও বক্তা, যিনি জুলাই গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে গঠিত রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র হিসেবে পরিচিত। তিনি ত্রয়োদশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আধা রাজাকারি পোষ্ট ......

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৬


আমি স্বাধীন বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছি। আমার কাছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, বা পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে আজকের বাংলাদেশের তুলনা—এসব নিয়ে কোনো আবেগ বা নস্টালজিয়া নেই। আমি জন্মগতভাবেই স্বাধীন দেশের নাগরিক, কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা কেন ভারতীয় বাহিনীকে বাংলাদেশে দীর্ঘদিন রাখেনি?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:২০



কারণ, কোল্ডওয়ারের সেই যুগে (১৯৭১সাল ), আমেরিকা ও চীন পাকিস্তানের পক্ষে ছিলো; ইন্দিরা বাংলাদেশে সৈন্য রেখে বিশ্বের বড় শক্তিগুলোর সাথে বিতন্ডায় জড়াতে চাহেনি।

ব্লগে নতুন পাগলের উদ্ভব ঘটেছে;... ...বাকিটুকু পড়ুন

×