স্যার গত ৫ বছর কুকুরের মত পরিশ্রম করে এক মেয়েকে একজন আদর্শ গার্লফ্রেণ্ডের পর্যায়ে নিয়ে এসেছি। এখন আমি বেকার। আমি সাইকেলে চলি। কিন্তু কিছুদিন পর হয়তো বাইকে ঘুরবো, এরপর কার-এ, এরপর হয়তো হেলিকপ্টারে। স্যার রকেটের কথা না হয় বাদই দিলাম। কিন্তু কোন এক কুলাঙ্গার সরকারী চাকরীজীবি মেয়ের বাপের কাছে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে এসেছে! বলেন স্যার ইহা কিভাবে সম্ভব? আমিতো হলুদ পকেটছাড়া পাঞ্জাবীও পড়ি না খালি পায়েও রাস্তায় হাটিনা। ঢাকার রাস্তায় যা ময়লা আবর্জনা!
এখন মেয়ে আমাকে চাপ দিতেছে বিয়ে করতে। আমি রাজি হয়ে গেলাম। মেয়েকে বললাম পালিয়ে বিয়ে করতে। কিন্তু পালিয়ে বিয়ে করে কই থাকবো? ২০-৩০ হাজারের নিচে কোন ফ্ল্যাট ভাড়া নেই। তাছাড়া নতুন বউ নিয়ে ফ্রেণ্ডের বাসায় থাকা যায়? সিকিউরিটি প্রবলেম স্যার। আমি আবার ঘুমাইলে মরা!
মেয়ে(রিমি) বলতেছে একটা চাকরী নিতে। হ কোম্পানীতো আমার মামাবাড়ি! যাবো আর চাকরী হয়ে যাবে। ভাবছিলাম একটা ব্যবসায় শুরু করি। ধান্দাবাজি ব্যবসা স্যার। কিন্তু হলমার্ক কেলেঙ্কারীর ফাঁস হওয়ার পর থেকে ভয় পাইছি স্যার। আমি আবার ভয় পাই। ভয় দেখাতে পারি না। কারণ আমি ভেংচি কাটতে পারি না!
দু:খিত স্যার! একটা ফোন এসেছে। রিসিভ করতেই হবে স্যার। একমাত্র গালফ্রেণ্ড বলে কথা স্যার।
-হ্যালো বেইবি……
-মাহির, বিকাল ৫ টায় শর্মা হাউজে চলে আসবা। জরুরী কথা আছে।
-শর্মা হাউজ কেন? ঐখানে প্রাইভেসি নাই।ধানমণ্ডি লেইকে আসনা…. প্লিজ।
-না ঘরোয়া পরিবেশ লাগবে। ঠিকঠাক চলে আসবা। বাই।
দেখলেনতো স্যার! এই মেয়ে বড় হয়েছে টাইলস করা বাসায়। আর আমার মেস মোজাইক করা। শুধুমাত্র বাথরুম টাইলস করা! বড় বড় রেস্টুরেন্ট আর শপিংমলে এর আনাগোনা স্যার। কিন্তু স্যার আমি অতটা বোকা নই।কারণ আমি আপনার বই পড়ি। টাকা মানিব্যাগে রাখি না। এ.টি.এম কার্ড ব্যবহার করি। তাও আবার ডাচ বাংলা ব্যাংকের। টাকা তুলতে গেলে আল্লাহর রহমতে কোন না কোন সমস্যা থাকেই। নয়তো নেটওয়ার্কে সমস্যা নয়তো টাকা নাই নয়তো মেশিন নষ্ট ইত্যাদি নানাবিধ সুবিধা!
হাজার পঞ্চাশেক টাকা হৈলে পালিয়ে বিয়ে করার একটা রিস্ক নেয়া যেত। আম্মুকে ফোন দিলাম যে, ল্যাপটপ ছাড়া শিক্ষাগ্রহন অসম্ভব হয়ে পড়ছে আম্মু। কিন্তু সে তার ছেলেকে চিনে হাড়ে হাড়ে। কিছুদিন পর আব্বুর ব্যবহার করা সেলেরন প্রসেসরের ল্যাপিটা পাঠিয়ে দিল! কি আশ্চর্য স্যার!! এই ল্যাপ্টপ না পারছি চালাতে না পারছি বিক্রি করতে।দুর্দান্ত গতি স্যার। ২ হাজার টাকায়ও কেউ কিনবে না।
কিন্তু এইবার পড়লাম মহাবিপদে স্যার। মেয়ে আমার মেসের সামনে হাজির হয়েছে। এখন না’কি তাকে পালিয়ে বিয়ে করতে হবে! কিন্তু পালাবো কোথায়। এই দেশে জংগলইতো নাই। আছে এক সুন্দরবন। তাও আবার অনেক বাঘ থাকে ঐখানে। কেমনে পালাই? সেইফটি প্রবলেম স্যার!
মেয়েটা অনেক বোকা! সুন্দরী মেয়েরা একটু বোকা হলেই ভাল। ভূলিয়ে ভালিয়ে বাসায় পাঠানো যাবে। কিন্তু মেয়েটা নাছোরবান্দা। সে কোনমতেই যাবে না। আগামী সপ্তাহে না’কি তার বিয়ের দিন ধার্য্য হয়েছে। আরে পাগলী মেয়ে এখনোতো আরো ৭ দিন বাকি আছে না’কি? কিছু একটা হবে অবশ্যই। মেয়ে কাঁদছে। নিশব্দে কেঁদে চলেছে আর চোখের পানি কপোল ভিজিয়ে দিচ্ছে স্যার।
মেয়েকে সাথে নিয়ে গেলাম সরকারী চাকরীজীবি ঐ পাত্রের কাছে। অনেক বোঝানোর চেষ্টা করলাম। কিন্তু সে বোঝার বান্দা নয়। সে আরো ডিটারমাইণ্ড হলো। এই না হলে সরকারী চাকরীজীবি! একদম কমপ্লিট ডিটারমিনেশন!! সে রিমিকে বিয়ে করবেই। যেকোন মূল্যে।
নীরবে গালি দিতে দিতে বের হলাম।মাটি খা, ছাই খা, কাঠ খা, কাচ খা…..যা ইচ্ছা তাই খা। মেয়ে হাটতে পারে না। ধরে নিয়ে আসতে হল। অনেক ওজন। খালি খায়। যা পায় তাই খায়। ছোটবেলায় একবার সাবান খেয়ে ফেলেছিল। বড় হয়েও মধু ভেবে সরিষার তেল খেয়ে ফেলেছিল।
৭ দিন পরই রিমির বিয়ে। আমার সাথেই হতো যদি আমার একটা ভালো চাকরী এবং একটা সুন্দর গাড়ি থাকতো! হায়রে দুনিয়া চাকরী আর গাড়ি দিয়ে দেহ কিনতে পারবি কিন্তু মন অমূল্য....। নাহ্ নিষ্ঠুর দুনিয়ায় আমার বেঁচে থাকার অধিকার নাই। কারণ আমার চাকরী নাই গাড়িও নাই! সুইসাইডের সিদ্ধান্ত নিলাম।
মেসের রমজান হারামজাদা আমার সব মালামাল বাজেয়াপ্ত করেছে।পুরতন ল্যাপ্টপ, মোবাইল, জামা কাপড় সব। কারণ গত ৩ মাসে কোন টাকাই জমাই দেই নাই! অনেক রিকোয়েষ্ট করে গামছাটাও নিতে পারলাম না। নিতে পারলে ঐটা দিয়ে সিলিং ফ্যানের সাথে ঝোলা যাইতো। শালা অমানুষ কোথাকার!
নাহ্ একটা গামছা কেনার টাকাও আমার কাছে নাই। হাটতে হাটতে চোখ পড়লো “টিউটর চাই” বিঞ্জাপনে। কল করলাম। নিজেকে বুয়েটের ছাত্র পরিচয় দিলাম। বাসায় যেতে বলল। বুয়েটের ছাত্র হলে আবার টিউশনী করা যায় আবার প্রেমও করা যায় স্যার।
বাসায় গেলাম। কথা বললাম। সব ঠিকঠাক হল। পড়াতে শুরু করলাম। ছেলেটা ক্লাস ফোরে পড়ে।২-৩ ঘন্টা পড়ালাম। বিরক্ত হয়েই বোধ হয় নাস্তা দিল। কেন যাইতেছি না-এই জন্য মনে হয়! কই আর যাব? মোবাইল নাই, টাকা নাই, গামছাও নাই।
পড়ানো শেষে আন্টিকে বললাম, ক্লাস ফোর-এর বাচ্চাকে পড়ানোর জন্য কি বুয়েটের ছাত্রই দরকার? আন্টি বলল-
-তাদের পড়ানোর মান খুব ভাল এই জন্য।
-প্লেনে জার্নি আরামদায়ক। তাই বলে ধানমন্ডি থেকে উত্তরা নিশ্চয়ই প্লেনে যাবেন না?
-হ্যা তা ঠিক বলেছো। কিন্তু এইসব কেন বলছো? তুমি কি বুয়েটের না?
-হ্যা, ঠিক ধরেছেন। আমি ঢাকা কলেজে অর্থনীতিতে পড়ি।
-না না বাবা, মাফ কর, বুয়েটের ছাত্রই লাগবে।
বারবার আন্টির স্কার্ফটার দিকে তাকাচ্ছি।ইশ্ এইডা পাইলে আত্নহত্যা করতে পারতাম! কিন্তু একটা লজ্জা-শরমের ব্যাপার আছে না ক্যামনে চাই।আন্টির কাছ থেকে ১০০ টাকা নিয়া বের হলাম নিউমার্কেটের দিকে।
টার্গেট গামছা কেনা। ৪০ টাকা দিয়া একটা শক্ত গামছা কিনলাম। কিন্তু ভাবছি অন্য কথা- আত্নহত্যা কোথায় করবো? এই শহরে তো কোন গাছই নেই। যাও দুএকটা আছে তাতে আত্নহত্যার অনুপযোগী। কোন একটা ফ্ল্যাট হলে ভাল হতো। কিন্তু আত্নহত্যার জন্য কেউ তার ফ্ল্যাট ইউজ করতে দিবে? ফ্রেন্ডের মেসে গিয়ে আত্বহত্যা করা যায়। কিন্তু সেক্ষেত্রে ওরা বিপদে পড়ে যাবে। নাহ্…….
একটা প্রাইভেট কার পাশে এসে দাড়ালো। আচমকা কেউ একজন বলে উঠলো-
-কি খবর মাহির? তুমি এখানে গামছা নিয়ে কি কর?
-ওহ মনির ভাই, কেমন আছেন ভাইয়া?
-ভাল, ভাল…… ওঠো গাড়িতে ওঠো…..কৈ যাবা….. নামিয়ে দেই।
-না না ভাইয়া, ধন্যবাদ, লাগবেনা।
-আরে উঠতো……
গাড়িতে উঠলাম।কিছুদুর যাওয়ার পর মনির ভাই বলল-
-কই নামবা?
-এইতো সামনে
আরো কিছুদুর যাওয়ার পর আবার বলল-
-কই নামবা মাহির?
-এইতো ভাইয়া সামনে।
এই ভাবে সামনে সামনে করতে করতে মনির ভায়ের বাসায় চলে গেলাম। যাক কিছুদিন আরামে ঘুমানো যাবে। খাওয়া দাওয়াও করা যাবে ভাল।
বাসায় ঢুকতেই চোখে পড়লো মনির ভাইয়ের নতুন বউ। আহ্ কি সুন্দর একটা স্কার্ফ পড়েছে।ইশ্ স্কার্ফটা নিতে পারলে শান্তিতে সুইসাইড করতে পারতাম! বসলাম চা খাইলাম লাঞ্চ করলাম। রেস্ট নিলাম। ৭ দিন পার হলো। আমার শুধু নজর একই দিকে ভাবীর স্কার্ফ। আর ভাবীর মিষ্টি মিষ্টি হাসি। বাসায় আছে এক কাজের মেয়ে। সেও হাসে। রুম ঝাড়ু দেয়ার সময় হাসে, নাস্তা দেয়ার সময় হাসে। মিটিমিট করে হাসে। এই ফ্যামিলির নাম “হাসি ফ্যামিলি” দেয়া যায়।
মনির ভাই অফিস থেকে ফিরেই আমার রুমে আসলো। জিঞ্জাসা করলো-
-মাহির, ভাইয়া কোন অসুবিধা হচ্ছে না তো?
-না ভাইয়া কোন অসুবিধা হচ্ছে না।(এত সুন্দর ভাবী থাকতে আবার অসুবিধা!)
-শোনো, আমার অফিসে একজন এক্সিকিউটিভ লাগবে। তোমার সি.ভি টা দিও তো…..
-ভাইয়া আমার মেইলে আছে সি.ভিটা….. জি-মেইল আইডি: মাহির২৫, পাসওয়ার্ড: ১০ টা জিরো(০)।
-ঠিক আছে, আমি নিয়ে নিব।
ভাবি খালি নিজের ঘর গোছায়। কোন বাচ্চাকাচ্চাও নাই, তাইলে ঘর এলোমেলো করে কে? মেয়েজাতিটা কি শুধু মাত্র ঘর গোছানোর জন্য সৃষ্টি! যারা শিক্ষিতা তারা নিজের ঘর গোছাবে আর অশিক্ষিতারা অন্যের ঘর ঘোছাবে।আমার রুমে কোন সিলিং ফ্যান নাই, টেবিল ফ্যান। ইচ্ছা করলে ড্রয়িং এর সিলিং ফ্যানের সাথে সুইসাইড করতে পারি। কিন্তু তা করব না। শুধু শুধু মনির ভাইকে জেলে ঢুকাতে চাই না। তাহলে এত্ত সুন্দর বউটার কী হবে?
পরেরদিন ভাইয়া এসে আমার রুমে খুবই উত্তেজিত মুডে ঢুকলো-
-মাহির মাহির, দারুন খবর আছে একটা…..
-কি হয়েছে? ভাইয়া…..
-তোমার চাকরীতো হয়ে গেছে!
-ওহ্……
-১ তারিখে জয়েন।
যথারীতি ১ তারিখে জয়েন করলাম। কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান। সুন্দর সুন্দর সব মেয়ের মিলন মেলা যেন। আমার দায়ীত্ব ফিন্যান্স বিভাগে।মনির ভাই সিস্টেম করে একমাসের বেতন অগ্রিম ব্যবস্থা করে দিল। পাক্কা ৪০ হাজার টাকা। ওয়াও……হয়্যাট এ ফিলিংস!
এবার সুন্দর একটা বাসা নেয়া যাবে। তারপর শান্তিতে আত্নহত্যা করা যাবে। কোন ঝামেলাই নাই। দরকার হলে ভাবীর স্কার্ফটা চুরি করে নিয়ে নিব। মনির ভাইয়ের সহযোগীতায় বাসাও পেয়ে গেলাম ধানমন্ডি ৭ এ। ৩ বেডের এক চমৎকার বাসা! এই বাসায় মরে থাকলেও একমাসের আগে কেউ খোজ পাবে না। একমাস পর খোজ পাবে বাড়িওয়ালা ভাড়া নিতে এসে! হারামজাদা পড়বে মহাবিপদে। বাড়িওয়ালাকে জেল খাটাতে পারলে মরেও অমর হয়ে থাকতে পারবো শত শত ভাড়াটিয়াদের অন্তরে।
অফিস থেকে একটা মোবাইল দিসে।রিমির বিয়ে না হলে এই বাসায় থাকা যেত। সময়মত একটা চাকরী কতই না দরকার ছিল!
ভাবির স্কার্ফটা নিয়ে এসেছি। ভাবছি সুইসাইডটা কোন রুমে করা যায়। পাশের ফ্ল্যাট থেকে সবরুমই দেখা যায়। ড্রইং এর সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুললেই তো কাম শেষ! ঘেমে অস্থির হয়ে যাইতেছি। ড্রয়িং এর ফ্যানের সুইচ অন করলাম। ফ্যান ঘুরছে না। এত টাকার বাসা! ফ্যান ঘুরবে না মানে? সাথে সাথে বাড়িওয়ালার ফ্ল্যাটে চলে গেলাম।
দড়জা খুলে দিল বাড়িওয়ালার মেয়ে। বাহ্ কী সুন্দর স্কার্ফ! দেখেই রাগ মাটি হয়ে গেল। বললাম,”ম্যাম, আমি আপনাদের নতুন ভাড়াটিয়া, আমার ড্রয়িংএর ফ্যানের সুইচটা কাজ করছে না, আংকেলকে বলবেন বিষযটা দয়া করে দেখতে, আসি তাহলে?”
ফ্ল্যাটে ফিরলাম। রাত ১০ টা বাজে।ধুর কিছুক্ষণ পর তো আমি মরেই যাচ্ছি। সুইচ ভাল করে কী লাভ? কিন্তু বিপদে পড়ে গেলাম স্কার্ফ ফ্যানের সাথে ক্যাম্নে বাধি? নাহ্ একজন হেল্পার দরকার ছিল। বাড়িওয়ালার মেয়েকে ডাকব না’কি? আসবে না অবশ্যই। ঢাকার শহরের মানুষ প্রতিবেশির উপকারে আসে না। তাছাড়া তাকে ডাকলে আত্নহত্যার প্ল্যানটাই মাটি হয়ে যেতে পারে।
অনেক কষ্ট করে স্কার্ফ বাধলাম। কিন্তু এখন আমি ঝুলি কেমনে? না সুইসাইড এত ঝামেলা আগে জানলে বিকল্প চিন্তা করতাম! টেবিল নিয়ে আসলাম একটা। স্কার্ফটাকে ফাঁসির মত বানালাম। এবার উঠে পড়লাম টেবিলের উপর। গলায় ফাঁসির স্কার্ফ আর মনে ভালবাসার কষ্ট!
রিমিকে খুবই মিস করছি। কিন্তু সে তো এখন অন্যের বউ! অন্যের বউ তাতে কি একবার কথা বলা জায়েজ আছে। পকেট থেকে মোবাইল বের করে চিরচেনা সেই নাম্বারে কল দিলাম শেষ কথা বলতে। কথা বলে জানতে পারলাম যে, কোন কারণে রিমির বিয়েটা আর হয় নি।
রিমিকে ঘরের বাইরে ডেকে আনলাম। ঘন্টা দুয়েক ঘুরলাম। রাত ১২ টা বাজে। বাসায় ফিরে গেলাম স্ববান্ধবে। ঐরাতটা ছিল জীবনের সবচেয়ে আনন্দময় আবেগঘন এক রাত। এই আনন্দ সাদা চামড়ার দেহ ভোগের জন্য নয়, এই আনন্দ হারানো প্রিয়জনকে ফিরে পাওয়ার আনন্দ।
দু:খিত স্যার পালিয়ে জঙ্গলে যেতে পারলাম না। চাদও দেখতে পারলাম না। খালি পায়ে হাটতেও পারলাম না, কারণ আমার ঠাণ্ডায় সমস্যা। রুমের মধ্যেও চটি পায়ে হাটি! আর পাঞ্জাবীর কথা বলছেন স্যার, পকেট ছাড়া কোন পাঞ্জাবীই পেলাম না স্যার।
স্যার আপনাকে ধন্যবাদ।
#############
মাসুদ এম. রাহমান
"প্রাউড টু বি বাংলাদেশী"
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে নভেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:২২