আবদুল জলিলের সাথে লন্ডনে তারেকের গোপন বৈঠকের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার সকালে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের কার্যনির্বাহী বৈঠক শুরুর আগে কার্যালয়ের সামনে সচেতন কর্মীবৃন্দ ও প্রচারে ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ কমিটি ঢাকা-এর ব্যানারে বিতরণকৃত লিফলেটে এ অভিযোগ করা হয়। লিফলেটে বলা হয়, আওয়ামী লীগের ৬০ বছরের ইতিহাসে দলের কোনো সাধারণ সম্পাদক শত অত্যাচার-নির্যাতনের মুখে সরকারের কাছে ক্ষমা ভিক্ষা করেননি যা জলিল সাহেব ১/১১র পর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে করেছেন।
লিফলেটে আরো বলা হয়, শেখ হাসিনা জলিলকে সহানুভূতি দেখিয়ে সংসদ সদস্য হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন। কিন্তু জলিল নিজের দল ও সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তিনি ও তার স্ত্রী লন্ডনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের হোতা তারেকের সাথে গোপন বৈঠক করেছেন। এটা বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকেও প্রকাশিত হয়েছে। শেখ হাসিনাকে মাইনাস করার ষড়যন্ত্র এখনও অব্যাহত আছে। জলিল বিএনপি-জামায়াতের যোগসাজসে মিরজাফরের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। এর নেপথ্যে সহযোগিতা করছে জগৎ শেঠ-রায় দুর্লভের উত্তরসূরি আমু, রাজ্জাক, তোফায়েল, সুরঞ্জিত সাহেবরা। নবাব সিরাজউদ্দৌলা মিরজাফরের ষড়যন্ত্র সম্পর্কে অবহিত হওয়ার পরও তাদের ক্ষমা করে দিয়েছিলেন। কিন্তু মিরজাফররা তাকে বাঁচতে দেয়নি। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় সিরাজউদ্দৌলা ক্ষমা করে সেদিন ভুল করেছিলেন। আজও একই ভুল করা হলে একই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটবে।
আরেকটি লিফলেটে নওগাঁর জলিলকে মোস্তাকের প্রেতাত্মা হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে। মন্ত্রীত্ব না পেয়ে দলের ভেতর ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে জলিল। এই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে তারেকের আমন্ত্রণে লন্ডনে যান জলিল। লন্ডনের অক্সফোর্ড স্ট্রিটে তারেকের সাথে জলিলের বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে বিএনপির যুক্তরাজ্য শাখার নেতা কমরউদ্দীন এবং জলিলের স্ত্রীও উপস্থিত ছিলেন।
লিফেলেটে বলা হয়, জলিল সাহেব হিথ্রো বিমানবন্দরে পৌঁছানের পর সেখানে তারেকের বর্তমান ব্যবসায়িক পার্টনার কমরউদ্দীন তাকে অভ্যর্থনা জানায়। পরে নিজ গাড়িতে করে একটি হোটেলে নিয়ে যান। সেখানে তারেকের সাথে জলিলের ফোনে শুভেচ্ছা বিনিময় হয়। পরদিন কমরউদ্দীনের ঠিক করা অক্সফোর্ড স্ট্রীটের একটি অফিসে তারেকের সাথে ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই লন্ডনের একটি বাংলা চ্যানেলে বর্তমান সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে ও বিতর্কিত করতে একটি সাক্ষাতকার দেন জলিল। ওই সাক্ষাতকারটি কিনতে বিএনপি ৫০ কোটি টাকার প্রস্তাব দিয়েছে।
লিফলেটে উল্লেখ করা হয়েছে যে, বৈঠক চলাকালে জলিল তারেককে বলেন, ম্যাডামকে খুশি করতে ২০০৩ সালে আমি এনটিভিকে ২০ কোটি টাকা দিয়েছি, ফালু সব জানে। এ কারণে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের সতর্ক করেন। কিন্তু আমি তাকে পাত্তা দেইনি। আমি জিয়া পরিবারকে ভালোবাসি।
আলোচিত ব্লগ
আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?


৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন
এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন
মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫….(৭)
ষষ্ঠ পর্বের লিঙ্কঃ মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫-….(৬)
০৬ জুন ২০২৫ তারিখে সূর্যোদয়ের পরে পরেই আমাদেরকে বাসে করে আরাফাতের ময়দানে নিয়ে আসা হলো। এই দিনটি বছরের পবিত্রতম দিন।... ...বাকিটুকু পড়ুন
আধা রাজাকারি পোষ্ট ......

আমি স্বাধীন বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছি। আমার কাছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, বা পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে আজকের বাংলাদেশের তুলনা—এসব নিয়ে কোনো আবেগ বা নস্টালজিয়া নেই। আমি জন্মগতভাবেই স্বাধীন দেশের নাগরিক, কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন
ইন্দিরা কেন ভারতীয় বাহিনীকে বাংলাদেশে দীর্ঘদিন রাখেনি?

কারণ, কোল্ডওয়ারের সেই যুগে (১৯৭১সাল ), আমেরিকা ও চীন পাকিস্তানের পক্ষে ছিলো; ইন্দিরা বাংলাদেশে সৈন্য রেখে বিশ্বের বড় শক্তিগুলোর সাথে বিতন্ডায় জড়াতে চাহেনি।
ব্লগে নতুন পাগলের উদ্ভব ঘটেছে;... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।