টিভি চ্যানেল , রেডিও , পত্রিকা এই সমস্ত প্রতিষ্ঠানের মালিক হতে সাধারন ব্যবসায়ীরা ভয় পায় ।
আমি হাসি ।
সত্যি বলতে কী - শূধূ টাকার জোরে এইসব প্রতিষ্ঠানের মালিক হওয়া যায় না ।
৫ টা দন্ত্যস্য থাকলে মালিক হওয়া সম্ভব ।
সাহস
সামর্থ্য
সুযোগ
সৌাভাগ্য
সদিচ্ছা
অনেকে সামর্থ্যটাকে সবচে বড় ইস্যু করে দেখে ।
ফলে অন্যগুলো চোখে দেখা যায় না ।
মজার ব্যপার হলো -
যেটাকে সব থেকে বড় মনে করা হচ্ছে সেটা কম থাকলেও , অন্য ৪ টা বেশী থাকলে ব্যালেন্স হয়ে যায় ।
একটি অপরটির পরিপূরক ।
গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলো আসলে , তলে তলে , অঘোষিত পাবলিক প্রপার্টি ।
বড় বড় প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন , এই ধরনের প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিষ্ঠার মূল ভিত্তি হয়ে দাড়ায় ।
তাই , ২/৩ বছর চালিয়ে রাখাটাই প্রধানতম চ্যালেঞ্জ ।
স্বীকার করি , চালিয়ে রাখা আর জণপ্রিয়তার শীর্ষে নিয়ে যাবার দ্ক্ষতা, যোগ্যতা আর মেধার ভেতর বিরাট পার্থক্য আছে ।
যে কারনে ২০ গুন বেশী পু*জি নিয়েও অনেক -এই ধরনের প্রতিষ্ঠান চলছে , কিন্তু, ইমেজজ আর ব্র্যান্ডিং এ পিছিয়ে রয়েছে ।
সেভাবে কোনো উত্তাপ তৈরি হয় নি ।
অথচ
২০ ভাগ কম ইনভেষ্টমেন্ট নিয়্রেও সঠিক ম্যানেজমেন্ট আর কৌশলের কারনে সৃজনশীলতা , সাহসিকতার দরুণ অনেক ওপরে উঠে এসেছে- এমন জ্বলন্ত উদাহরন রয়েছে ।
বাংলাদেশের গণমাধ্যম ইন্ডাষ্ট্রি কে চুলচেরা বিশ্লেষন করলে এরকম অদ্ভুদ সত্য ভোরের রাঙা সূর্যের মতো পরিষ্কার ।
সরকার রোড পারমিশন দেয় ।
কাউকে গাড়ী কিনে দেয় না ।
রোড পারমিশন একটা ৫% ইস্যু।
৮৫ % ইস্যু আমি বলবো - সেই ব্যক্তি - যিনি তা এগিয়ে নিবেন ।
আর বাকি সব ১০ % ইস্যু।
সুই দিয়ে আপনি কাঁথা সেলাই করতে পারবেন ।
কিন্তু , ৫০ টা কন্টেইনার শিপে ওঠাতে হলে - আপনার প্রয়োজন হবে ক্রেন ।
আমি স্বীকার করি - ক্রেণ দিয়ে , সুইয়ের কাজ চালানো যাবে না।
এখন আমাদের মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে - সুই আর ক্রেণ কাকে বলে - সেটা আমাদের চেনা বা জানা না থাকলে -
বিচার করবার মতো মেধা থাকতে হবে ।
তাহলে ,
আমরা পারবো ।
অনেক,নিম্ন স্তরের মেধাবীরা বিভিন্ন ধরনের সফলতা অর্জন করেছে ।
এটা কোনো বিরাট চ্যালেঞ্জ নয় ।
এটা এক সাধারন দৌড় প্রতিযোগীতা ।
সফলতা বলতে কিছু আছে আমি স্বীকার করি না।
কারন -
আমি সবাইকে বিশ্বাস করতে নির্দেশ দেই যে-
ক্রমাগত চেষ্টার ফসলই সফলতা ।
আপাতঃ বিফল হওয়াকে মনে করতে হবে-
সফলতার প্রথম ধাপ।
তাহলে সফলতা আসবে ।
মনের শক্তিকে প্রবল করে
অমূলক ভয়কে দূরে ঠেলে -
এগিয়ে যেতে পারলে -
দারুচিনি দ্বীপের দেখা পাওয়া যাবে ।
আমি সেখান থেকেই এসেছি ।
আমি পথ চিনি ।
যারা অনভিজ্ঞ নাবিকের জাহাজে চড়েছে -
তারা অনেকেই পথ হারিয়ে ফেলেছে ।
একই সময়ে একই ইনভেষ্টমেন্ট করে কেউ ফ্লাট কেনে আর কেউ এ টুকরো জমি কেনে ।
পার্থক্য এখানেই ।
একটাতে , নগদ লাভ , কিন্তু কম ।
অন্যটাতে ধৈর্য্য বেশী , কিন্তু , বিরাট লাভ ।
সাবধানত- বিরাট লাভের ভেতর বিরাট ঝূঁকি বিদ্যমান ।
প্রচলিত প্রবাদ- নো রিস্ক , নো গেইন ।
আপনার ১০০ টাকা থাকলে ২ টাকার ঝূঁকি আপনি নিতে পারেন ।
হয় ২ টাকা , ২০ টাকা হবে ,
নইলে , ২ টাকা যেনো ঘরে ফিরে আসে - সে ব্যাপারে নিশ্চিত হলেই আগানো ভালো ।
অবশ্য , ২ টাকায় যদি ২০০ টাকার সম্মান আসে , তাহলে তখন টাকাটা আর বড় হয়ে ওঠে না ,
যারা এই বিষয়টা আসলে বোঝে !!
পত্র পত্রিকা , টিভি রডিও, এগুলো শূধূ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান নয় ।
এগুলো মডার্ণ ডেমোক্রেসির ৪ টা পিলার এর একটা পিলার - সেটাও আসলে ভূলে গেলে চলবে না।
আক্রমনাত্মক গণমাধ্যম অথবা জন্ডিস সাংবাদিকতা যেমন প্রগতিশীল ব্যক্তি , সমাজ, রাষ্ট্রের জন্য ,
পতিতালয়ের সস্তা বেশ্যার মতো , অপরদিকে , পা চাটা কুত্তা গণমাধ্যম , গণমাধ্যমের নামে আসলে
বিরাট কোনো গোষ্ঠির অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ।
গণমাধ্যমের মতো এরকম স্পর্ষকাতর প্রতিষ্ঠানগুলোর সুস্থতা , স্বচ্ছতা ,
গঠনমূলক সমালোচনা করবার মতো সাহসিকতা দরকার ।
এক চক্ষূ দানবের মতো গণমাধ্যম যেনো না দেখে সমস্ত বিষয় - এটা আরেক সতর্কতা ।
ব্যক্তি হিংসা, ব্যক্তিগত ঈর্ষা, লোভ , লালসা, জিঘাংসা - এই সবের ওপরে উঠতে না পারলে -
গণমাধ্যম নামে বিজ্ঞাপন খাওয়ার হাজারো মুদির দোকান বাড়িয়ে রাষ্ট্রের আসলে কোনো ফায়দা নাই ।
বাংলাদেশের গণমাধ্যম ইন্ডাষ্ট্রি , কলি থেকে ফূল হয়ে ফূটুক,
গোবরের গন্ধ নয়, সেখান থেকে বেরিয়ে আসুক জানা , অজানা ফূলের সৌরভ -
সেটাই প্রত্যাশা ।
-------------------------------------------------------------- আবদুল্লাহ-আল-মাসুম