ঢাকা: রাজধানীর শাহবাগে যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে আন্দোলনকারীদের কঠোর সমালোচনা করেছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। ‘তারা যা করছে তা মেনে নেয়া যায় না’ বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
জাতীয় পার্টির অঙ্গ সংগঠন জাতীয় ওলামা পার্টিতে বুধবার আলেম-ওলামাদের যোগদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন এরশাদ। রাজধানীর গুলশানে ইমানুয়েলস কনভেনশন সেন্টারে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ওলামা পার্টির আহ্বায়ক মাওলানা ক্বারী মু. হাবিবুল্লাহ বেলালী।
এরশাদ বলেন, “দুঃখ লাগে শাহবাগের দিকে তাকালে। তারা যা করছে, তা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। দেশের কোথায় পতাকা উড়বে, সেটি তারা ঘোষণা দেয়ার কে? তারা কি সরকার হয়ে গেছে নাকি? এত ধৃষ্টতা মেনে নেয়া যায় না।”
তিনি বলেন, “গণতন্ত্রের সুতিকাগার বলা হয় লন্ডনকে। সেখানেও ধর্মভিত্তিক দল রয়েছে। এমনকি ভারতেও ধর্মভিত্তিক দল রয়েছে বিজেপি। তাহলে আমাদের দেশে সমস্যা কেন?” যাদের ইসলাম ভালো লাগে না তাদের ধর্মান্তরিত হতে, না হলে অন্যদেশে চলে যাওয়ার আহ্বান জানান এরশাদ।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, “আমেরিকায় বাইবেল ছুঁয়ে শপথ করতে হয়। বাংলাদেশে কোরআন ছুঁয়ে শপথ করতে হয় না। আমরাই উদার। বাংলাদেশেই প্রকৃত ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র।”
“অনেকে টিভি টকশোতে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিল করার কথা বলেন। সাহস থাকলে গণভোট দিন। দেখবেন ৯০ শতাংশ লোক ইসলামের পক্ষে ভোট দিবে” বলেন তিনি।
রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিল করা হলে দেশে রক্ত গঙ্গা বয়ে যাবে বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন দেশের সাবেক এই রাষ্ট্রপতি।
তিনি বলেন, “আল্লাহ রাসুলের বিরুদ্ধে যখন কথা বলা হয় সহ্য হয় না। এখনই ব্যবস্থা নিতে হবে। যারা ইসলামের বিরুদ্ধে কথা বলে, তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলাম। আমরা জয়ী হবই। চুপ করে থাকলে চলবে না। উচ্চ কণ্ঠে আওয়াজ তুলতে হবে।দেখবেন সব ভেসে যাবে।”
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর আহমদ, মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য এমএ হান্নান, বিগ্রেডিয়ার জেনারেল অব. কাজী মাহমুদ হাসান, অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন খান, এমএ জব্বার এমপি, সাবেক মন্ত্রী কাজী ফিরোজ রশীদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক মন্ত্রী এবিএম তাজুল ইসলাম চৌধুরী, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, সুনীল শুভরায় প্রমুখ।
বরিশাল, গাজীপুর ও যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে কয়েক শতাধিক আলেম ওলামা এরশাদের হাতে ফুল দিয়ে জাতীয় ওলামা পার্টিতে যোগ দেন।
নতুন বার্তা/কেএমআর/জবা