ফোন বেজে কান্ত। মেজাজ গরম করা ফোন বার বার বাজছে। রিসিভ করতে ইচ্ছে করছিলনা মোটেও। কটা দিন জ্বরে পুড়ে মরছি দেখার কেউ নেই। মিথিলা বাসায় নেই তিন মাস। থাকলেও খুব লাভ হতো বলে মনে হয়না। বিরক্তি নিয়ে ফোন ধরলাম। এক গাদা বকা দেবো, ঝারি দেবো তাই সব প্রস্তুতির ঢাল তলোয়ার রেডি করে গলায় ভারি কন্ঠ এনে বললাম, কে ? আমার চেয়ে দশ গুন বিরক্তি আর রাগ নিয়ে অপর প্রান্ত থেকে মেয়েলি কন্ঠ শুনলাম, এ পর্যন্ত ২৬ বার ফোন করলাম, ধরোনি কেনো ? আমি বুঝলাম এমন ঝারি দিয়ে পৃথিবীতে একজনি কথা বলতে পারে আমার সাথে, সে হলো প্রথমা। আমি তাকে আদর করে ডাকি প্রমা মনি, প্রমী, আরো অনেক নাম পরে শোনানো যাবে।এখন ফোনে কথা বলি। প্রমী, গুমোচ্ছিলাম। গুমোচ্ছিলাম মানে এই ভর দুপুরে কবে থেকে গুমাও বলতো ? আমি রোগা গলায় বললাম, তিন দিন ধরে। তিন দিন মা নে ? আমি জ্বরে পুড়ে মরছি এই খবরটা আগে তোমাকে দেই। তুমি জ্বরে পুরে মরছো মানে কি ? তিন দিন জ্বর আজ আমাকে জানালে কেনো। সময় পায়নি তাই। পাওনি মানে তোমার সাথে প্রতি ঘন্টায় সাত বার ফোনে কথা হয়। প্রমা, বুঝতে চেষ্টা করো আমি খুব অসুস্থ এখন তর্ক বা জবাবদিহী করার মত শক্তি আমার দুই চয়ালে নেই। তার মানে আমি তর্ক করছি। বুঝতে পারছেন এই প্রমার চরিত্র কেমন। আমি রাগ করে ফোন রেখে দিলাম। আমি জানি এখন সে আরো রেগে গিয়ে উল্টো পাল্টা বলবে। ২৫ মিনিট পার হলো প্রমী ফোন করেনি। আমি কম্বল মুড়ি দিয়ে আবার ঘুমোতে চেষ্টা কললাম।
যখন ঘুম ভাঙলো তখন আর আমি আমাতে নেই। আমার চোখ তাল গাছের মাথায়। করেছি কি মেয়েটা। দু’হাত ভরা ফল, তিন চারটে ফলের ব্যাগ। আমি তাকিয়ে থেকে বললাম, তুমি অসময় ? এসব কি ? কথা কম, তোমাকে উঠতে হবেনা। কিছু ফ্রিজে রাখবো বাকী গুলো তোমার কেরি টি টেবিলে থাকবে। প্রমী সত্যি সত্যি ফ্রিজ খুলে সব ঠিক ঠাক মত রাখছে। নিজেই চাকু খুজে বের করছে। চাকু দিয়ে কি হবে আমাকে খুণ টুণ করবে নাতো। হ্যা খুন করার ইচ্ছে ছিলো এতোণ কিন্তু তোমার মুখ দেখে মায়া হচ্ছে এখন। কি হাল করছো চেহারার। আমার মাথার কাছে চেয়ার টেনে বসে চাকু দিয়ে আপেল কাটছে। আমি আরো বোশ অসুস্থ হবার ভান করলাম। আদর বেশি পেতে পৃথিবীর সব প্রানীর মত মানুষও প্রিয় জনের কাছে নিজেকে করুনীয় করে তোলে। প্রমী তোমার ভার্সিটি ছিলোনা আজ। কথা কম, বড় করে হা করো। আমার মুখে আপেলের টুকরো ঢুকিয়ে দিয়ে প্রমী কপালে হাত দিয়ে বললো, এ মা গা তো জ্বরে পুড়ে যাচ্ছে। একটা টুকরো কাপর দাও মাথায় জল পট্টি দিবো। প্রমা মুখে খুব শাসন করে মন দিয়ে পাগল করে। তোমার গাড়ি কোথায় ? গ্যাড়েজে। কেনো ও কি তোমার মত অসুস্থ নাকি। এ্যাকছেলেটারে প্রবলেম। ক’দিন। এই তো দিন পনেরো। আচ্চা হঠাত আমার গাড়ির খোজ নিচ্ছো। তোমাকে নিয়ে এখন ছুট দিবো । কোথায়? যেখানে পারি। মানে ? কিছুনা । তোমার শরীর মনের উপর অনেক ডিপেন্ঢেট। তাই মন ভাল হলে শররি ভাল হবে। আমি জানি প্রমীর ইচ্ছের বিরুদ্ধে কথা, যুক্তি, সমস্যা যাই দার করি কাজে লাগবেনা।
কাচা সোনারোদ. আহা,.. কতদিন পরে গ্রামের মত সবুজ ঘাশ দেখলাম। আমরা হলুদ ট্যাক্সি ক্যাব নিয়ে এসেছি।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



