২টা ব্লগ লিখেই হাওয়া হয়ে গিয়েছিলাম..ফিরে আসাটা লুতুপুতু দিয়েই শুরু হোক..আর আনাড়ি আমার লেখাগুলির ভুল ক্ষমা হয়েই ফুটুক...
কপোত আজ দেখা করতে চায়নি..কত কাজ পড়ে আছে তার..তবুও কপোতির জেদের কাছে হার মেনে আসতে হয়েছে..আসার পর থেকে দেখছে কপোতি নদীর দিকে তাকিয়ে বেঞ্চটায় বসে শুধু পাটাই দুলিয়ে যাচ্ছে..এদিকে আকাশটাও ঝুম বৃষ্টি নামানোর পায়তারা করছে..
কপোত:কিছু বলবা নাকি শুধু
বসায়ে রাখতেই ডাকসো?
কপোতী:হুম
কপোত:কিছু হইসে?
কপোতী:হুম
কপোত:বলবা?
কপোতী:হুম
কপোত একটু রাগলো..না না ভয়ানক রকমই রাগলো..কিন্তু রাগটা কোনমতে সামলে নিল..নয়তো জেদি মেয়ে কি না কি করে..
কপোত:কি হইছে তোমার বলবা?
কপোতী:দুঃখবিলাস
কপোত:তা ম্যাডাম দুঃখবিলাসী এখন আপনার জন্য এই অধম কি করিতে পারে?
কপোতী:কিছু করতে হবে না..তুমি শুধু পাশে থাকবা
কপোত:এই বৃষ্টি নামছে..চল আজ যাই অন্যদিন মন ভরে দুঃখবিলাস করো
কপোতী:উহু..দুঃখবিলাস বৃষ্টি দেখে দেখে করতে হয়..
কপোত:ঠান্ডা লাগবে,ঠান্ডাবিলাস করতে হবে তথন...
এমতাবস্থায় কপোতীর অগ্নিদৃষ্টি দেখে কপোত কিছুটা দমে গেল।আল্লাদি মেয়েদের সব আবদার নাকি মানতে হয়..আজ এই মেয়ে কি আবদার করবে বিধাতাই জানেন..তবে এই পাগলীটার সব পাগলামীই কেন যেন বিরক্ত লাগতে লাগতে ভালই লেগে যায়..
কপোত তাই কপোতীর চুলে টান দিয়ে বললো:বল কপোতী কিভাবে দুঃখবিলাস করবি?
কপোতী জবাবে যে ভেংচীটা দিল তাতেই বোধ হয় কপোত বারবার প্রেমে পরে..এদিকে বৃষ্টি মহারাজও কপোতীর কোলে ঝমঝমিয়ে পড়তে থাকলো..বৃষ্টির আলো আর কপোতীর মায়া মিলেমিশে একাকার হয়ে যাচ্ছে..
হঠাত্ কপোতীর হাতের স্পর্শে ধ্যান ভাঙলো কপোতের..কপোতীর চোখে তার জন্য পৃথিবীর সব ভালবাসা যেন জমে আছে..
কপোতী:চলো ফিরে যাই..তোমার একটুতেই ঠান্ডা লাগে..
কপোত:হুম..আইসক্রীম খাই চলো..
কপোতী: ললি আইসক্রীম খাবোওওওও.. :পি
কিছুক্ষণ পর শহরবাসী দেখলো একজোড়া কপোত কপোতী শহর দিয়ে উড়ে চলেছে ভালবাসা ছড়াতে ছড়াতে...
পৃথিবী কি একটু বেশীই সুন্দর হয়ে উঠেছে আজ? কেউ বলতে পারলো না..চোখ কান খোলা রেখো..হয়তো সেই কপোত- কপোতীকে দেখতে পাবে তোমাদেরই মাঝে.....