ঘড়ির সময় সব দেশে এক রকম নয় কেন?
কোন স্থানে এক সূর্যোদয় থেকে আর এক সূর্যোদয়ের পার্থক্য ২৪ ঘণ্টা। এক জায়গায় যখন রাত অন্য জায়গায় তখন দিন অর্থাৎ সময় পাল্টে যাচ্ছে। গোল পৃথিবীর গায়ে লম্বালম্বি রেখা টানা হয় হিসাবকে নিখুঁত করার জন্য। এর দ্রাঘিমাংশ ৩৬০ ভাগে বিভক্ত। আর তাই সময়ের হিসাবের জন্য এই ৩৬০ কে ২৪ ভাগে ভাগ করা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টা অনুযায়ী অর্থাৎ প্রত্যেক ভাগে রয়েছে দ্রাঘিমাংশের পনের ডিগ্রি। এই চবি্বশ ভাগের নাম হলো মেরিডিয়ান বা মধ্যরেখা। উত্তর মেরু থেকে দক্ষিণ মেরু পর্যন্ত মেরিডিয়ান একের পর এক নেমে গেছে। আর এই মেরিডিয়ান বরাবর যত দেশ পড়বে তাদের সবার সময়ই হবে এক। শূন্য মেরিডিয়ান কল্পনা করা হয় লন্ডনের কাছে, গ্রিনিচ নামের জায়গায়, আর ১৮০ ডিগ্রি মেরিডিয়ান উত্তরে বেরিং প্রণালী ও দক্ষিণে হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের ওপর দিয়ে নিচে নেমে গেছে। এর নাম হলো আন্তর্জাতিক সময়রেখা। এই মেরিডিয়ানের পূর্বে যে দেশ তার সময় এক ঘণ্টা এগিয়ে থাকছে, আর পশ্চিমে যে দেশ সেখানে এক ঘণ্টা পিছিয়ে। যেমন_ ঢাকা শহরে যখন সকাল ৯টা দিলি্লতে তখন সকাল সাড়ে ৮টা, লাহোরে সকাল ৮টা।
শিলাবৃষ্টি কেন হয়?
আকাশ থেকে যে বৃষ্টি ঝরে পড়ে তাদের অনেক সময় প্রচণ্ড ঠাণ্ডার মধ্য দিয়ে পার হয়ে আসতে হয়। তাপমাত্রা দারুণ কম হওয়ায় বৃষ্টির ফোঁটা জমে বরফ হয়ে যায়। এ ধরনের জমাট হলো তুষার। অনেক সময় পাগলা বাতাস এই তুষার কণাদের ঠেলে উপরে শীতলতর স্থানে নিয়ে যায়। ফলে তুষার একে অপরের সঙ্গে জমে আকারে বড় হতে থাকে। তখন এক সময় বাতাস ওজনে বেড়ে যাওয়া সেই তুষার কণা আর ধরে রাখতে পারে না। ফলে তা নিচের দিকে পড়তে থাকে। পড়ার সময় তা বাতাসে ধুলিকণা ও ভাসমান পানিকণাদের সঙ্গে মিলে আকারে বড় হতে থাকে এবং মাটিতে নেমে আসে শিলাবৃষ্টি হয়ে। এক খণ্ড শিলাকে পরীক্ষা করলে দেখা যাবে এর গায়ে আধা স্বচ্ছ, তুষার পরতে পরতে জড়িয়ে আছে। এক ফোঁটা বৃষ্টি ক্রমশ বাড়তে বাড়তে এক সে.মি. থেকে ৭.৮ সি. মি. পর্যন্ত হয় ও ওজন আধা কেজি পর্যন্ত গিয়ে দাঁড়াতে পারে।
বজ্রপাত কাকে বলে?
বাতাসে বিভিন্ন প্রাকৃতিক কারণে বৈদ্যুতিক আধান তৈরি হয়। বাতাসে সৃষ্ট মেঘের মধ্যে এই বৈদ্যুতিক আধান সঞ্চিত হতে থাকে। কোন মেঘে ধনাত্মক আধান এবং কোন মেঘে ঋণাত্মক আধান সঞ্চিত হতে থাকে। বিপরীত আধানযুক্ত দুটি মেঘ পরস্পরের কাছে এলে আকর্ষণের ফলে এক মেঘের বিদ্যুৎ অন্য মেঘে ছুটিয়া যায়। ফলে অগি্নস্ফুলিঙ্গের সৃষ্টি হয় এবং তাকে আমরা বিদ্যুৎ চমকানো বলি। এতে খুব অল্প সময়ের জন্য তীব্র আলোর ঝলক তৈরি হয়। হিসাব অনুযায়ী এতে কয়েক কোটি ভোল্ট দরকার হয়। অতিরিক্ত বিদ্যুৎ সঞ্চিত কোন মেঘ-পৃষ্ঠের নিকটে নামিয়া এলে বিপরীতধর্মী আবেশের সৃষ্টি হয় এবং ইহার আকর্ষণে মেঘের বিদ্যুৎ হঠাৎ পৃথিবীতে শব্দ সহকারে ছুটিয়া আসে। ইহাকে বজ্রপাত বলে। বজ্র শব্দ বিদ্যুতের সমার্থক শব্দ।
উৎসঃ দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন ।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ৩:০৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




