কদিন আগে ফিরে এলাম দেশ থেকে। দীর্ঘদিন বিরতির সুবাদে আর্থ-সামাজিক তথা রাজনৈতিক পরিবেশের পারিপার্শিকতার চলমান প্রবাহ আর পূর্বতন ধারার বিবর্তনের চিত্র অবলোকন করার দুর্লভ সৌভাগ্য হয়েছিল। আমার দেখা এদিন আর সেদিনের তফাৎটা বেশ কটু তো বটেই কিছু কিছু বিষয় আমার বোধগম্য হলোনা।অবশ্য এটা আমার একান্ত ব্যক্তিগত মতামত। যেহেতু আমি নীজেকে বাংলাদেশের নাগরিক ও বাংলার ঐতিয্য সংস্কৃতির ধারক হিসাবে গন্য করি সেইহেতু আমার এই ধারনা অন্য বাঙ্গালীর বিবেক দ্বারা কিছুটা হলেও বিবেচনার দাবীদার ও বটে !
আমরা নীজেকে একটি স্বাথীন জাতি হিসেবে দাবী করি এই জন্য যে একটি রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের বিনিময়ে অর্জন আমাদের ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলের ব-দ্বীপ আকৃতির একটি ভুখণ্ড। তাতে আমরা বর্তমান সামাজিক – অর্থনৈতিক পরাধীনতার শৃংঙ্খল থেকে কতখানি মুক্ত হতে পেরেছি সে বিষয়ে আমার হথেষ্ট সন্দেহ হচ্ছে। নীরস ভাবে ব্যাখ্যা করলে এমনটি বলা অত্যুক্তি হবে না যে-জোতদার , জায়গীরদার আর কাবুলিওয়ালাদের আমরা ফেরত পেয়েছি মাত্র কিছুটা আধুনিক সংস্করনে। আমাদের আদৌ মুক্তি হয়েছে কি ? কিসের থেকে মুক্তি পেয়েছি আমরা? পাকিস্থানী শোষক আর হানাদার বাহিনীর হাত থেকে ? আধুনা বাজার অর্থনীতিকে বৃদ্ধাগুলি প্রদর্শন করে প্রায় দশগুন সুদ আদায় করছে দেশের সর্বোচ্চ ঋনদানকারী প্রতিষ্ঠান গ্রামীন ব্যাঙ্ক। এহেন উত্তম পন্থায় শোষকের আধুনিকায়ন আমাদের এই স্বাধীন দেশেই বিরাজমান বহাল তবিয়তে। আর মহাজনের জাল ছিড়ে বের হতে পারেনি ”আমার বাবা তার বাবা , তার বাবা ” আধুনিক বিজ্ঞাপনের এই সংলাপ কি সেই জোতদারের কথা মনে করিয়ে দেয় না ? আর একথা বলার অপেক্ষা রাখে না জে এই পরিস্থিতির পরিকল্পনাকারীরা সাধুবাদ পাচ্ছেন নানা কৌশলে নানাভাবে। আর সমর্থন হিসাবে প্রাই নয় কোটি ভোটের অধিকাংশ তো আর কম কথা নয়। আর পরিস্থিতি বর্তমানে এমনই জটিল আকার ধারন করেছে যে,এক্ষনে এহেন পরিস্থিতির জন্য একক ভাবে,দোষারোপ করা তাবদ দুনিয়ার কোন শক্তির পক্ষে সম্ভব হবে কিনা আমার তাতে প্রশ্ন থাকবে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




