somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জনগণের নিরাপত্তার জন্য হুমকি এমন যে কাউকে সরকার ইচ্ছা করলে আটকে রাখতে পারে

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:৪৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অতি গোপনে শীর্ষ সন্ত্রাসী বিকাশকে মুক্তি দেওয়ার বিষয়টি ছিল টক অব দ্য কান্ট্রি। কিভাবে বিকাশ মুক্তি পেয়েছে, কেন পেয়েছে এবং তাকে মুক্তি দেওয়ার উদ্দেশ্য কী_এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা চলছে। একজন শীর্ষ সন্ত্রাসীকে মুক্তি দেওয়ায় দেশের মানুষের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে। সচেতন মহল থেকে বলা হচ্ছে, বিশেষ কোনো উদ্দেশ্যে বিকাশকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এর দায়িত্ব এড়াতে পারেন না। এ ধরনের আলোচনা যখন তুঙ্গে তখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলে বসলেন, প্রচলিত আইন মেনেই বিকাশকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এই বক্তব্যে দেশের মানুষ রীতিমতো হতবাক!
যেকোনো কয়েদি স্বাভাবিক নিয়মে মুক্তি পেতেই পারে। শীর্ষ সন্ত্রাসী বিকাশের সাজার মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে তিনিও মুক্তি পেতে পারেন। সেটা দোষের নয়। কিন্তু সুনির্দিষ্ট কেউ যদি বিপুলসংখ্যক মানুষের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয় তখন তাকে নিয়ে ভাবতে হয়। বিকাশ স্বাভাবিক নিয়মে মুক্তি পেলেও সরকারের উচিত ছিল তাকে আটকে রাখা।
সরকার যেখানে কারণে-অকারণে রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের আটক করছে, সেখানে একজন সন্ত্রাসীকে আটকের জন্য কোনো কারণ খোঁজার প্রয়োজন আছে কি? জনগণের নিরাপত্তার জন্য হুমকি এমন যে কাউকে সরকার ইচ্ছা করলে আটকে রাখতে পারে। আর বিকাশের মতো সন্ত্রাসীকে আটকে রাখলে সাধারণ মানুষ খুশিই হতো।
বিকাশকে মুক্তি দেওয়ার ঘটনাটি অন্য সন্ত্রাসীদের উৎসাহী করবে। আইন অমান্য করার প্রবণতা বাড়বে এবং আইনের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা কমে যাবে। আর এ ধরনের প্রবণতা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে অন্তরায়। এমনিতেই সন্ত্রাসীদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে চায় না। সাক্ষীর অভাবে অনেক সন্ত্রাসী ছাড়া পেয়ে যায়। ফলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়ছে। এ পরিস্থিতিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উচিত, বিষয়গুলো নিয়ে ঠাণ্ডা মাথায় চিন্তা করা। এখনো স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হাতে যথেষ্ট সময় আছে। তিনি সঠিক পথে এগোলে এবং অন্যায়ের সঙ্গে আপস না করলে সফল হতে পারেন।
তবে অবশ্যই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতিহিংসামূলক এবং আক্রমণাত্মক মনোভাব বাদ দিতে হবে, যা সঠিক ও ন্যায়সংগত তা যত কঠিনই হোক সেটাই করতে হবে। তাঁকে ব্যক্তিস্বার্থ ও দলীয় স্বার্থের উদ্ধে উঠে কাজ করতে হবে, তাহলেই মানুষ তাঁকে মনে রাখবে।
অবশ্য বাংলাদেশের বাস্তবতা হচ্ছে, যাঁরাই অতীতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন তাঁরাই পুলিশের হাতে প্রহৃত হয়েছেন। আশা করি, মহীউদ্দীন খান আলমগীর বিষয়টি মনে রাখবেন।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫….(৭)

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৭

ষষ্ঠ পর্বের লিঙ্কঃ মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫-….(৬)

০৬ জুন ২০২৫ তারিখে সূর্যোদয়ের পরে পরেই আমাদেরকে বাসে করে আরাফাতের ময়দানে নিয়ে আসা হলো। এই দিনটি বছরের পবিত্রতম দিন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

টাঙ্গাইল শাড়িঃ অবশেষে মিললো ইউনস্কর স্বীকৃতি

লিখেছেন কিরকুট, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৭



চারিদিকে যে পরিমান দুঃসংবাদ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এর মধ্যে নতুন এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হলো বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের তাতের শাড়ি এর জন্য, ইউনেস্কো এই প্রাচীন হ্যান্ডলুম বুননের শিল্পকে Intangible Cultural... ...বাকিটুকু পড়ুন

আধা রাজাকারি পোষ্ট ......

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৬


আমি স্বাধীন বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছি। আমার কাছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, বা পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে আজকের বাংলাদেশের তুলনা—এসব নিয়ে কোনো আবেগ বা নস্টালজিয়া নেই। আমি জন্মগতভাবেই স্বাধীন দেশের নাগরিক, কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা কেন ভারতীয় বাহিনীকে বাংলাদেশে দীর্ঘদিন রাখেনি?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:২০



কারণ, কোল্ডওয়ারের সেই যুগে (১৯৭১সাল ), আমেরিকা ও চীন পাকিস্তানের পক্ষে ছিলো; ইন্দিরা বাংলাদেশে সৈন্য রেখে বিশ্বের বড় শক্তিগুলোর সাথে বিতন্ডায় জড়াতে চাহেনি।

ব্লগে নতুন পাগলের উদ্ভব ঘটেছে;... ...বাকিটুকু পড়ুন

×