কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারের দেয়াল ঘেষে গাড়ি পার্কিংকে কেন্দ্র করে কারারক্ষীদের সাথে জনতার ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে সাংবাদিক সহ আহত হয় ১৫জন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দুইটায় কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারের গা ঘেষে একটি গাড়ি পার্কিংকে কেন্দ্র করে সেখানে দায়িত্বপালনরত নিরাপত্তায় নিয়োজিত আরপি সদস্যদের সাথে স্থানীয় লোকজনের বাকবিতন্ডা হয়। একপর্যায়ে উত্তেজিত জনতার সাথে হাতহাতি ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হলে কেন্দ্রীয় কারাগারে পাগলা ঘন্টা বাজানো হয়। ঘটনা নিয়ন্ত্রনে আনতে স্থানীয় জনতার উপর লাঠিপেটা করে কারারক্ষীরা। সংঘর্ষের সময় ছবি তুলতে গেলে কারারক্ষীরা দৈনিক আমাদের কুমিল্লার ফটো সাংবাদিক কাজী শামীমকে ব্যাপক মারধোর করে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে কুমিল্লা আদর্শ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বিভিন্ন সুত্র জানায়, জেল খানার পাশে ছোটরা সড়কে একটি প্রাইভেট কারের চাকা পাংচার হলে জেল পুলিশ তা সরানো জন্য বললে চালক চাকা পাংচারের কথা বলে। কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই পুলিশ চালকের উপর লাঠিচার্জ করতে থাকলে এলাকা বাসি এগিয়ে আসে। তখন পুলিশের সাথে এলাকাবাসির সংঘর্ষ বেধে যায়। এ ঘটনার ছবি তুলতে গেলে জেল পুলিশ আমাদের কুমিল্লা পত্রিকার ফটোসাংবাদিক কাজী শামীম কে ও পেটাতে থাকে। পুলিশ তার কাছে থাকা ক্যামেরা ও মোবাইল কেড়ে নেয়। কুমিল্লায় কর্তব্যরত সাংবাদিকরা তাৎক্ষনিক ভাবে তার বিচার চেয়ে সড়কের উপর বসে প্রতিবাদ জানায়।
কারারক্ষীদের হামলায় গুরুতর আহত বৃদ্ধ রবিউল ইসলাম (৮০) ও রুবিনা বেগমকে (৪০) কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় ৩সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক মোঃ আবদুল মালেক দ্রুত তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন। দায়িত্বপালনরত অবস্থায় ফটো সাংবাদিক আহত হওয়ায় তিনি দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
পেশাগত দায়িত্বপালন কালে সাংবাদিকের উপর হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন কুমিল্লা প্রেসক্লাব, বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি ও রিপোর্টাস ইউনিটি কুমিল্লা।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:০৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



