* অনন্ত জলিল আকাশ থেকে লাফ দিতে পারে।
* অনন্ত জলিল হাত দিয়া বুকের মধ্যে থেকে হার্ট বের করে ফেলতে পারে।
* অনন্ত জলিল এমন ভাবে কান্না করতে পারে যে কান্না দেখলে মরা মানুষ ও হাসতে হাসতে আবার মইরা যাইবো।
* ছিনেমায় সে ডামি ইউজ করে না, তাই সে বাস্তবেও গুন্ডা পিটাইতে পারে।
* অনন্ত জলিল হাত দিয়া লরি থামাইয়া দিতে পারে, ও লাথি দিয়া গাড়ি উড়াইয়া ফেলতে পারে।
* অনন্ত জলিল যখন গান গায়, তখন সে নিজে গিটার ও বাজায়, সে এক আছার মাইরা গিটার ভাইঙ্গা ফেলতে পারে, তারপর ও সেই গিটার এর মিউজিক বন্ধ হয় না।
* অনন্ত জলিল একটা ছেস্রা মেয়ের জন্য ১০০০ কোটি টাকার সম্পদ লিখে দিতে পারে।
*অনন্ত জলিল এমন একটা মেয়ে কে ভালবাসতে জানে, যে মেয়ে জলিলের লগে পরিচয়ের আগেই নায়িকা হওয়ার লাইজ্ঞা এক লম্পট এর ফান্দে পইড়া সর্বস্ব হারাইছে( কি হারাইছে সেটা যে যার মতো বুইজ্জা লন, আমি কিছু কমূ না)
* অনন্ত জলিল অত্যন্ত দানশীল, দয়াশীল ব্যক্তি।
*অনন্ত জলিল একজন উদার মনের প্রেমিক, তাই বর্ষা তাকে রাইখ্যা যখন আর এক জনের লগে ফিরিত কইত্তে ছিল, ( বর্ষার পিরীতের ফলাফলঃ বর্ষার প্রেমিকের বর্ষাকে দেয়া শেষ ডায়লগ-আমি তোমাকে ভোগ করার জন্য তোমার সাথে প্রেম করেছি, সো এখন ব্রেক আপ) তার পর ও জলিল ভাই বর্ষাকে ক্ষমা করে দেয়।
* মেয়েরা নায়িকা হওয়ার জন্য ছেস্রামির শেষ সীমা পর্যন্ত যাইতে পারে। তাই আবার ও বর্ষা আফা নায়িকা হওয়ার লাইজ্ঞা আর এক লম্পট এর ফক্করে পরে। অবশ্য এইজায়গাতে লম্পট টার বর্ষা আফার উপর কু- নজর তো আছিলই, লগে জলিল ভাইয়ের দেয়া ১০০০ কোটি ট্যাকার সম্পত্তি ও। তয় এইখানে বর্ষা আফা কিছু হারাইছে কিনা, তেমন কিছু বুইজ্জা সারতে পারি নাই।
* মেয়েরা ভালোবাসা বোঝে না, বোঝে খালি এটিএম কার্ড আর লুতুরপুতুর।
* ১৪০ মিনিটের মুভিতে বর্ষা আফা ৩ বার ছেস্রামি কইরা ফক্করে পরছে, ২ বার কি জানি হারাইছে, আর জলিল ভাই কয়বার যে বর্ষা আফার গুষ্টি উদ্ধার করছে, তার কোন হিসাব নাই। মুভির ডিউরেশন যদি আরও বেশি হইতো, তাইলে এই ছেস্রামি দেখতে দেখতে পাবলিক গনহারে খাছ বাংলা চর্চা শুরু কইরা দিতো।
এতো দিন জলিল ভাইরে নিয়া সবাই মজা করছে, যে যার মতো জলিল ভাইয়ের গুষ্টি উদ্ধার করছে, তয় আমার কাছে নিঃস্বার্থ ভালোবাসা দেখে মনে হইছে,
জলিল ভাইয়ের কথা বলার সবই ঠিক আছে, কিন্তূ যখন বাংলা ছিনেমার মতো খাইছি তোরে ডায়লগ দেয়া শুরু করে তখন ই ফ্যাকরা টা বাজে, এ ছাড়া নরমাল কথাবার্তা ডায়লগ এ যা দেখলাম, আমি আসলেই অনেক মুগ্ধ।তাই বাংলা ছিনেমার খাইছি তোরে টাইপ ডায়লগ যাতে না ঢুইকা যায়, জলিল ভাইয়ের এ ব্যাপারে নজর দেয়া উচিত।
বর্ষা আফারে আমার থার্ড ক্লাস নায়িকা মনে হইছে। কথা বার্তা, অভিনয়, গেটাপ, দেইখা মনে হইছে যে এই মাইয়া জঙ্গল থিকা উইঠা আইছে। নেক্সট কোন মুভিতে ওরে নিলে মুভি ১০০% সিউর সুপার ফ্লপ হইব।
আর জলিল ভাইয়ের অভিনয় টা আমার কাছে ভালো লেগেছে। আর ড্রেস আপ এর ব্যাপারে কথাটা বলতে গেলে কেমন লাগবে জানি না, তাও বলি, বাংলা ছিনেমায় পোশাক ফ্যাশন এর জন্য সালমান শাহ্র পরে নতুনত্ব এর দিক থেকে কাউরে আমার ভালো লাগে নাই। সেদিক থেকে জলিল ভাই রক্স। ১০০ তে ৯০।
বডি ফিগার এর দিক দিয়া বাংলাদেশী নায়ক রা বডি বিল্ডিং এর নামে যেমনে ভুরি বারাইতাছে, সে সাপেক্ষে জলিল ভাইরে সিক্স প্যাক কইলে ভুল হইব না। আর তাছাড়া অভিনয় এর খেত্রেও বডি মুভমেন্ট গুলো ভালো ছিল।
জলিল ভাই যদি ভালো একজন ডিরেক্টর , চিত্রনাট্যকার, দিয়া মুভি বানান, আর বর্ষা আফারে গোডাউনে রাইখ্যা মুভি বানান, আমি সিউর জলিল ভাইয়ের সমালোচক দের মুখে কাউউয়ার গু পরব।
সর্বোপরি মুভিটা আমার কাছে খুব একটা ভালো ও লাগেনি, আবার খারাপ ও লাগেনি। কিছু নতুনত্ব কে এনজয় করেছি। গান গুলো ছিল অসাধারণ।
হাতে সময় থাকলে আমার ব্লগ টি ঘুরে আসুন। এখানে....

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



