somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একাডেমিক বালিকা সিরিজ - ২

০৬ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:৫৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

একাডেমিক বালিকা সিরিজ - ২

আমরা কিভাবে আমাদের পছন্দের বালিকা (research area) খুঁজে বের করি ? ১৫/১৬ বছর বালকরা (novice researcher) বালিকাদের একটু অন্যভাবে (ভালোলাগা, খারাপলাগা) দেখা শুরু করি । কোন কোন বালিকা (research area) কে ভয় পাই, কাউকে কাউকে সম্মান করি, আবার কাউকে কাউকে দুষ্ট মনে করি । এরকম বালিকা (research area) হলেই বাদ । কোন কোন বালিকাকে (research area) দেখলেই মনের মাঝে আকুপাকু করে, তাকে পাবার জন্য । এটাই হচ্ছে বালকের (researcher) জন্য সঠিক বালিকা (research area) । এখন এসব বালিকার (research area) মাঝে কেউ বেঁটে সাথে সুন্দরী (Researcher topic), কেউ লম্বা সাথে কালো (Researcher topic), কেউ শ্যামলা সাথে মাঝামাঝি গড়নের (Researcher topic), কেউ সুন্দরী সাথে গলার স্বর ছেলেদের মতো (Researcher topic)( :-P ), বালক (researcher) যে রকম চায়, সে রকম পাওয়া না গেলেও কাছাকাছি একটা বালিকা (Researcher topic) তার চাই ই চাই । বালিকার একটা ঝাকানাকা নাম (research title) দিতেই হবে। যেই নাম শুনলেই মানুষ দেখার জন্য অস্হির হয়ে যাবে । ধরুন, বালিকার নাম (research title) দিলেন "ফুলবানু" অথবা "হাজেরা" । এই যুগে যে কেউ শুনলেই বলবে ক্ষ্যাত । বালকের (researcher) নিকটজন ও ইগনোর করবে । আর বালিকার বাবা (Supervisor) ও বলবে ক্ষ্যাত । তাই, বালিকার নাম (research title) হতে হবে আধুনিক (ultra modern) যা শুনলেই বুকের ভেতর মোচর দিয়ে উঠবে পাবার জন্য ।

কিভাবে ভালো প্রেমপএ (Research proposal) লিখবেন:

প্রথম প্রথম যখন বালকরা (researcher) প্রেমপএ (Research proposal) লিখে তখন একটু তালগোল পাকিয়ে ফেলে, ঐটাই স্বাভাবিক ।

যেমন ধরেন বালক বালিকা কে লিখছে,

"কখনও মেঘ কখনও বৃষ্টি. তোমাকে যে দিন, প্রথম দেখেছিলাম, লালচে বাদামী, শাড়ী পড়া। চুল গুলো হাওয়াতে উঁরিয়ে, কোন এক মায়াবী সন্ধ্যায়, ভার্সিটিতে দাঁড়িয়ে হাঁসছিলে"।"তোমার ঘন কালো চুলে হারিয়ে যায় মন,. শুনতে কি পাও কান পেতে? হে মোর বনলতা সেন,. চুলের ঐ ঝর্ণাধারায় বন্দী হৃদয়, চায় না ছেড়ে যেতে"। কাজী নজরুল ইসলামের ভাষায় , "কুঁচবরণ কন্যা রে তার মেঘবরণ কেশ। ওরে আমায় নিয়ে যাও রে নদী সেই সে কন্যার দেশ রে। পরনে তার মেঘ-ডম্বুর উদয়-তারার শাড়ি ওরে রূপ নিয়ে তার চাঁদ-সুরুজে করে কাড়াকাড়ি রে আমি তারি লাগি বিবাগী ভাই আমার চির-পথিক বেশ রে।"

(বালক মানুষের কথা দিয়ে ভরে ফেলেছে, নিজে কিছুই বলছে না। বালক নিজে কিছু বলার চেষ্টা কর, অথবা উনাদের কথাগুলোর সারমর্ম নিজের ভাষায় লিখতে হবে )।

এরপরে লিখছে চোখ নিয়ে,

"মায়াবী চোখ. মায়াবী চোখ. তোমার দুই চোখেতে কাজল মেখে আমাকে ভালোবাসা দিও? চাইলে তুমি ঘন করে মাশকারা লাগাতে পারো। আইশ্যাডো বেশি দিয়ে চোখের পাতা উল্টোও না, তা'হলে তোমার চোখের ভাষা আমি বুঝব না। এক পলক দৃষ্টি দিয়ে শুধু আমাকে দেখো, তোমার মায়াবী চোখের ভাষা দিয়ে কাব্য লিখিব "। "মানুষের চোখ নাকি মনের কথা বলে। কবিরা চোখ নিয়ে লিখে গেছেন কত কাব্য" । বালক মানুষের কথা দিয়ে ভরে ফেলেছে, চোখ নিয়ে নিজে কিছুই বলছে না। বালক নিজে কিছু বলার চেষ্টা কর, বালিকার চোখ দেখার পরে নিজের অনুভূতি টা অল্প করে হলেও লিখো । বালিকার বাবা (Supervisor) তাতেই বেশী খুশী হবেন ।

এরপরেই ঠোট নিয়ে লিখতে গিয়েই সমস্যা বাঁধিয়ে ফেলেছে বালক ।

"ঠোট দুটো কি সৃষ্টি শুধু মিষ্টি করে হাসতে,. নীরব ভাষায় বলে ওরা আমায় কাছে আসতে। নিকষ-কালো চুল যে তোমার,অন্ধকারে মেশা,. আবেশেতে জড়ায় আমায় ধরায় যেন নেশা। দুষ্টুমিতে ভরা তোমার মিষ্টি কথার তীর,. ছোঁড় যখন আমার পানে, হৃদয় হয় বিদির "। তারপরেই লিখেছে, আমার কাছে তোমার এ হাত, এ হাতের নখ, এ হাতের তালু, এর প্রতিটা রেখা যেখানে আমাদের সুখ- বাসনার গপ্প আছে গাঁথা! "যখন একলা একা কান্দি, মন আশা দিয়া বান্ধি, হিয়ার মাঝেই বন্ধু তোমার নাম । আমার এমন নিরন কালে তোমার ভালোবাসার জালে, হইয়া আমার একি পরিনাম" ।

(একটু খেয়াল করুন বালক কথা বলছে ঠোট নিয়ে, এখানে হাত, হাতের নখ, হাতের তালু আসলো কিভাবে) । তারপরেই অন্যকিছু নিয়ে লিখছে । এরকম লিখলে খাপছাড়া মনে হবে । বালিকা, বালিকার বান্ধবীদের (reader) দিয়ে এটা পড়ানো কষ্ট হয়ে যাবে । তাই, প্রেমপএ (research proposal) এমনভাবে লিখতে হবে, বারবার পড়লে ও যেন আবার পড়তে ইচ্ছে হয় ।

সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:২৯
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পরিণতি - ৩য় পর্ব (একটি মনস্তাত্ত্বিক রহস্য উপন্যাস)

লিখেছেন সাখাওয়াত হোসেন বাবন, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১২:২৮



( পরিণতি ৬১ পর্বে'র একটি মনস্তাত্ত্বিক রহস্য উপন্যাস ।)

তিন


আচানক ঘুম ভেঙ্গে গেলো ।

চোখ খুলে প্রথমে বুঝতে পারলাম না কোথায় আছি । আবছা আলোয় মশারির বাহিরে চারপাশটা অপরিচিত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইফতার পার্টি মানে খাবারের বিপুল অপচয়

লিখেছেন রাজীব নুর, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:৫৩



গতকাল সরকারি ছুটির দিন ছিলো।
সারাদিন রাস্তাঘাট মোটামুটি ফাকাই ছিলো। ভাবলাম, আজ আরাম করে মেট্রোরেলে যাতায়াত করা যাবে। হায় কপাল! মেট্রো স্টেশনে গিয়ে দেখি গজব ভীড়! এত ভিড়... ...বাকিটুকু পড়ুন

গণতন্ত্র আর বাক-স্বাধীনতার আলাপসালাপ

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:২৩


একাত্তর সালে আওয়ামী লীগের লোকজন আর হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা ছিল পাকবাহিনীর প্রধান টার্গেট। যদিও সর্বস্তরের মানুষের ওপর নিপীড়ন অব্যাহত ছিল। গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। মুক্তিযোদ্ধা আর তাদের পরিবারের... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×