এখন বসন্তদিন। রোদজ্বলা এই নগরের ধুলোময় পীচ ঢালা পথে ওঠা বাতাসের ঘুর্ণিতে মাঝে মাঝে থমকে দাঁড়ায় সময় । দুপুরের খর রোদের উত্তাপ থেকে বাঁচতে উঁচু পুরান ক্ষয়ে যাওয়া কোনো অট্টালিকার ছোট কার্ণিশে আড়াল খোঁজে ছোট্ট চড়ুই। চাকচাক্যিময় এই নগরের নতুন প্রাসাদগুলোর কোন কার্ণিশ নেই। ঝা চকচকে বিল্ডিংগুলো বাহারি কাঁচের আড়ালে গর্ব নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে, ক্ষুদ্র পাখির সুবিধা অসুবিধা গুলো তার সুন্দর কাঁচের মনে দাগ কাটতে পারে না। বেলা গড়াতে থাকলে মাঝে মাঝে থেমে থেমে প্রায় নির্জন হয়ে যাওয়া এই চাওড়া ধুলো মাখা রাস্তাতেও ঘুর্নি ওঠে, পথ ভুলে চলে আসা দুর্লভ কোন পাতাকে নিয়ে চলে কিছুক্ষণের উড়াউড়ি খেলা।
তারপর আবার সেই চৈত্রের বিষন্ন দুপুর। রাস্তার দূর মোড়ের কোন দোকানের রোদজ্বলা বেন্ঞিতে বসে ঝিমায় এক রিক্সাওয়ালা। সারাদিনের ক্লান্তি তার চোখে। ছোট্ট চড়ুই টা তাকে ভয় পায়না, উড়ে যায় ঝুপ করে পাশ দিয়ে। নগর সৌন্দর্য বাড়াতে যে গাছগুলো বিশেষ কিছু রাস্তার পাশে লালিত পালিত হয়, তার পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় সে শব্দ শোনে। নতুন বাতাসের উল্লাস, বসন্তের আগমনে গাছগুলোর সুখের ফিসফিসানি আর ঝরে পড়া পাতার মর্মর সবই তাকে জানিয়ে যায় বসন্তের ভরা সময়ের কথা। প্রিয় সঙ্গিনীর খোঁজে ইতিউতি উড়ে বেড়ায় সে।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে মার্চ, ২০১১ দুপুর ২:৫৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




