somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

করোনা প্রতিরোধঃ নোবেল কি তবে বাংলাদেশের?

১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:১২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



চীনা সরকার কোনো এক পীর সাহেবের কবরের গিলাফে অরজিনাল আতর না লাগিয়ে সিন্থেটিক গোলাপ জল ছিটানোতে করোনার গজবে চীনদেশে পঙ্গপালের মতো ঝাকে ঝাকে মানুষ মরিয়া গিয়াছে। আফসোস চীন দেশের যোগ্য মেয়র ছিল না , থাকিলে করোনা কে শুরুতেই গুজব হিসেবে উড়াইয়া দিতে পারিতেন।




চীনা সরকারের টনক নড়িয়াছে অনেক দেরিতে। অবশেষে যখন চীন সরকার সাঈদ খোকন সাহেবকে আমন্ত্রণ জানাইয়াছেন, তিনি তখন ভোটারদের তাহাজ্জুদের জন্য উজ্জীবিত করিতে ব্যস্ত হইয়া পড়িয়াছেন।



গজবে চীন দেশে লক্ষ কোটি লোক মারা গিয়াছে, দাফোন করিবার লোক নাই । চীনা সরকার লাশ পুড়াইয়া ফেলিয়াছে। পোড়া লাশের কারনে বাতাসে সালফার-ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ এত বাড়িয়া গিয়াছে যে ঐ এলাকায় অনেক গন্ধক কোম্পানি কারখানা খুলিয়াছে।

এই সুযোগে ভারত তার সেনাবাহিনীকে চীন সীমান্তে স্ট্যান্ড বাই রাখিয়াছে, সুযোগ ছাড়া যাইবে না। সৈন্যদের প্রতিরক্ষা বর্ম হিসেবে যথেষ্ট গোময় যোগাড় হইয়া গেলেই ভারতিয় সেনাবাহিনী চীন দখল করিয়া লইবে। আল্লামা ইকবাল শতবর্ষ পূর্বে এই ঘটনা দিব্যদৃষ্টিতে দেখিয়াছিলেন । তাই জন্য তিনি লিখিয়াছেন- চীন-ও-আরব হামারা, সারা জাহা হামারা।


আমেরিকাতে প্রথম অবস্থায় ৪১ স্টেটে ৩৬ রোগী পাওয়া যাইবার খবর ব্লগে আসিয়াছে। ৪১ স্টেটে ৩৬ রোগী কেমন করিয়া হয় এই সমস্ত ম্যাও প্যাও প্রশ্ন না করাই ভালো। অনেক সেলফিবাজ আছেন দুই স্টেটের দুই দিকে পা দিয়া সেলফি তোলেন। কাজেই ৪১ স্টেটে ৩৬ রোগি হইলে অসুবিধা কি?

করনা আতঙ্কে আমেরিকার শেয়ার বাজারে ধ্বস নামিয়াছে। যে সকল লোক তাহাদের সঞ্চয় শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগ করিয়া হাপসুল খাইয়াছেন তাহারা সকাল-বিকাল ওয়ালস্ট্রিট ও নাসডাকের খবর পোস্ট করিয়া পাড়া গরম করিয়া রাখিয়াছেন।



করোনাতঙ্কে অস্ট্রেলিয়ায় গন ডাইরিয়া শুরু হইয়াছে। টয়লেট পেপার লইয়া মানুষ যুদ্ধ করিতেছে । পত্রিকাওয়ালারা পত্রিকায় বাড়তি সাদা কাগজ সংযুক্ত করিয়াছেন যাহাতে বিপৎগ্রস্থ লোক উহা টয়লেট পেপার হিসেবে ব্যবহার করিতে পারে।


এয়ারলাইন গুলি চরম সংকটে আছে । অনেকেই কর্মী ছাঁটাই করিয়াছে । বিমানে যাত্রীর হাঁচির র কারণে বিমানের জরুরি অবতরণের ঘটনা পর্যন্ত ঘটিয়েছে।








করোনার কারণে মানুষের চাহিদার পরিবর্তন ঘটিয়াছে । গাজার চাহিদা বৃদ্ধি পাইয়াছে (গাজা কোথায় যায় তাহা ব্লগে আসিলেই বোঝা যায়)। পর্নহাবে ট্রাফিক বাড়িয়া গিয়াছে। পর্নহাব তাহাদের লাইব্রেরির প্রিমিয়াম কন্টেন্ট সাময়িক ভাবে ফ্রি করিয়া দিয়াছে যাহাতে মানুষ বাসায় বোর ফিল না করে (বাংলাদেশের বেরসিক মন্ত্রীরা পর্নহাব ব্লক করিয়া রাখিয়াছে, কাজেই এই মুহূর্তে ওই দিকে ক্লিক করিয়া লাভ নাই )।






মানুষের খাদ্যাভ্যাস পাল্টাইয়া গিয়াছে। এখন মানুষ আইসক্রিম পর্যন্ত সাবান জলে ধুইয়া খাইতেছে।


বাংলাদেশে করোনা আসিবার কোনো কারণ ছিলো না। মাননীয় সংসদ সদস্য জনাব শামীম ওসমান সাহেব বলিয়াছিলেন নেক লোকদের সোহবতে থাকার কারণে বাংলাদেশে করোনা কোনো ক্ষতি করিতে পারিবে না।



তবে ষড়যন্ত্রকারীরা সবসময় তৎপর ছিল। ১৭ মার্চের আতশবাজির প্রদর্শনী নস্যাৎ করার জন্য বিএনপি-জামাত গং কিছু লোকের শরীরে করোনাভাইরাস ইনজেক্ট করিয়া আতঙ্ক ছড়াইয়া আতশবাজির অনুষ্ঠান বানচালের পাঁয়তারা করিয়া কিছুটা সফল হইয়াছে।


রোগাক্রান্ত প্রথম তিন-চার জন লোকদের ধরিয়া ঠিকমতো রিমান্ডে লইলে জামাত-শিবিরের সংশ্লিষ্টতা বাইর হইয়া আসিবে বলিয়া মনে করি।



আমিরাতে করোনাতঙ্কে মাস্কের দাম পনেরো হাজার টাকা হইয়া গিয়াছিলো। জামাতের টার্গেট ছিলো বাংলাদেশেও তাহারা কিছু অপকর্ম করিবে, সরকারের সতর্ক দৃষ্টির কারণে বাংলাদেশ ওই পরিস্থিতি তৈরি হয় নাই। তবে জামাত অপকর্ম ছাড়ে নাই।



চীন এই সুযোগে পুরাতন দোস্ত পাকিস্তানকে নাপাক করিয়া দিয়াছে।


এই অন্তর্বাস ব্যবহৃত নাকি অব্যবহৃত এই বিষয়ে লোকে প্রশ্ন করিতেছে। আরো জিজ্ঞাসা করিতেছে যে চীন ভুল করিয়া ইহা পাঠাইলো নাকি পাকিস্তান এই রকমই অর্ডার করিয়াছিলো।

তবে করোনার পজিটিভ দিক ও আছে । করনায় প্রমাণিত হয়ে গেল দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা মালদ্বীপ বা চীনের চাইতেও অনেক উন্নত। আমরা মালদ্বীপ-চিন কে-পি-পি-ই পাঠাইয়াছি। আরো প্রমাণিত যে দেশ সিঙ্গাপুরকে ছাড়াইয়া অনেক আগাইয়া গিয়াছে। আগে অসুস্থ হইলে নেতারা সিঙ্গাপুরে যাইতেন, এখন অসুস্থ হইবার পর সিঙ্গাপুর হইতে বাংলাদেশে আসিতেছেন চিকিৎসা করিবার জন্য ।




যাহা হউক, বাংলাদেশের জনগণের ভয় পাইবার কোনো কারণ নাই। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে এই ভাইরাসের আক্রমণে মৃত্যুর হার শতকরা ১০ ভাগের কাছাকাছি । অনুমান করি দেশের শতকরা ২০ ভাগ লোক করোনাক্রান্ত হইবে সেই হিসেবে দেশের শতকরা ২ ভাগ এর মতো লোক মারা যাইতে পারে । ইহারা ঐ সমস্ত লোক হইবার সম্ভাবনাই বেশি যাহারা তাহাজ্জুদ গোজার নহে, গত নির্বাচনে ঠিক যায়গায় ভোট দেয় নাই। এদের ব্যাপারে কোন গ্যারান্টি নাই।

মিডিয়া, অসাধু রাজনীতিবিদ এবং ব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা আছে মানুষের প্যানিককে কিভাবে অসৎ উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যায়। অনেক মানুষই করোনার কারনে আতঙ্কগ্রস্থ। ভিক্ষুকরাও মাস্ক ব্যবহার শুরু করিয়াছে। না হইলে পুলিশ মারধোর করিতেছে, হাকিমরা কান ধরিয়া উঠ-বোস করাইতেছেন।

চেতনাবাজরা চেতনার মাস্ক রাঙাইতে পারেন। গো ভক্তরা গোময়-গোমূত্র ইত্যাদি লাগাইতে পারেন। মাজার ভক্তরা মাজারের গিলাফ কাটিয়া লাগাইতে পারেন। যাহাদের কেনার পয়সা নাই তাহারা এই বলিয়া নিজেকে সান্ত্বনা দিন যে মাস্ক ভাইরাস ঠেকাইতে পারে না। n95 মাস্ক শতকরা ৯৫ ভাগ ভাইরাসের প্রবেশ ঠেকাইতে পারে কিন্তু এই মাস্কের ভেতর দিয়া একনাগাড়ে আধা ঘণ্টার বেশি নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস নেয়া কষ্টকর ।



তাহা ছাড়া মাস্ক দ্বারা নাক-মুখতো ঢাকিলেন, চোক্ষুর কি হইবে? চক্ষু দিয়াওতো ভাইরাস ঢুকিতে পারে!

নোবেলের কথায় আসি। কোন অসুখ হইয়া গেলে তাহা সারানোর চাইতে বরং যাহাতে ওই অসুখ না হয় সেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া অনেক বেশি বুদ্ধিমানের কাজ । টিকা রাতারাতি তৈরি হয় না । অনেক গবেষণার পর, গবেষণা সফল হইলে, অনেক ধাপ পার হইয়া টিকা পাওয়া যাইতে পারে। সেই টিকাও গরীবের ভাগ্য জুটিবে কি না বলা মুশকিল। এজন্য প্রতিরোধ ই হইলো সর্বোত্তম।





প্রতিরোধের জন্য সর্বোত্তম উপায় হইল হেলমেট । মোটরসাইকেলের দাম চালাইতে লাইসেন্স তেল মবিল কতকিছুই না লাগে। হেলমেট কিনিতে এসব কিছুই লাগেনা। দামও নাগালের মধ্যে । মাস্ক কয়দিন পর ছিড়িয়া যায়। হেলমেটের সেই সমস্যা নাই।

হেলমেটের এই রোগ প্রতিরোধকারী ক্ষমতা হেলমেট লীগের সোনার ছেলেরা করোনাভাইরাস আসিবার পূর্বেই জানিতো। প্রতিরোধের উপায় হিসেবে তাহারা গত কয়েক বছর যাবৎ হেলমেট ব্যবহার করিয়া আসিতেছে । এই অভাবনীয় আবিষ্কারের জন্য নিঃসন্দেহে চিকিৎসাবিজ্ঞানে তারা নোবেলের দাবিদার।





আমাদের উচিত দল-মত নির্বিশেষে এই দাবির প্রতি সহমত প্রকাশ করা । কিভাবে সহমত প্রকাশ করিব ? এই বিষয়ে আমাদের ব্যাপক অভিজ্ঞতা আছে ।

ইতোপূর্বে সুন্দরবনকে পৃথিবীর সেরা টুরিস্ট স্পট ঘোষণার জন্য আমরা গণস্বাক্ষর সংগ্রহ অভিযান করিয়াছি । গাড়ি শহরে শহরে ঘুরিয়াছে । বিশ্বব্যাপী টুরিসটরা পরখ করিয়া দ্যাখে ভ্রমণের জন্য সেরা হইবার পক্ষে সবচাইতে বেশি স্বাক্ষর কোন স্পটের বিপরীতে আছে। সেই হিসেবে তারা টুরিস্ট প্ল্যান তৈরি করে । সুন্দরবনের পক্ষে ওই স্বাক্ষর সংগ্রহের পর সুন্দরবনে টুরিস্টের আগমন বহুগুণ বাড়িয়াছে। সরকার ওই অঞ্চলে টুরিস্ট এর চাহিদা পূরণ কল্পে নতুন বিদ্যুৎ স্টেশন স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়াছে । সে ভিন্ন কথা।

আমাদের এখন কর্তব্য হইতেছে হেলমেট লীগের নোবেলপ্রাপ্তির দাবিতে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ অভিযান চালানো। নোবেল কমিটির বিচারকদের মধ্যে একটি সাব-কমিটি আছে যারা পরীক্ষা করিয়া দেখে পৃথিবীর কোথায় কোথায় নোবেল দেওয়ার দাবিতে আন্দোলন হইতেছে। বিষয়টি ওনাদের নজরে না আনিতে পারিলে এইবারও নোবেল হাতছাড়া হইয়া যাইতে পারে ।

তবে স্বাক্ষর সংগ্রহের পূর্বে সকলকে অনুরোধ করিতেছি পোষ্টের নিচে এইরকম একটি চিহ্ন আছেঃ



ওখানে ক্লিক করবেন প্রতিটি ক্লিক একটি করিয়া দাবি হিসাবে নোবেল কমিটির কাছে পেশ করা হইবে । দেশ প্রেমিক কোন ব্লগার ক্লিক না করিয়া যাইবেন না
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:২৪
২০টি মন্তব্য ২০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×