ভারতের এক রাজনীতিবিদ বাংলাদেশের ভূখণ্ড দাবী করেছে। কারন হিসেবে তিনি আসামে প্রায় ৫ কোটি বাংলাদেশীদের বসবাসের কথা বলেছেন। এই যুক্তি খোদ ভারতেই ধোপে টেকেনি, বাংলাদেশেতো প্রশ্নই আসেনা।
ভারত থেকে এর থেকে ভালো ব্যবহার আশা করা ঠিক না। জনাব স্বামী সাহেব ঠিকই বলেছেন বাংলাদেশের অনেক জারজ/ গুন্ডা-মাস্তানই ভারতে গিয়ে বিয়ে করে এখন সেখানেই বসত গেরেছে। আর সেখান থেকেই হয়তো এই স্বামীর মত রাজনীতিবিদের জন্ম হয়েছে। বংশ সুত্রেই হয়তো সে এই দাবী জানিয়েছে।
বাংলাদেশের গণমাধ্যমগুলোতে দেখলাম, তারা কোন সমালোচনা ছাড়াই খুব ছোট করে খবরটা প্রকাশ করেছে। ব্যপারটা এমন এটা তারা মেনেই নিয়েছে। তারা সরকারের রোষানলে পরার ভয়েই হয়ত কিছু বলেনি। অথচ খুব প্রতিবাদি কিছু কলাম বা সমালোচনা আসতেই পারত, এধরনের সাংবাদিকতা করার কোন মানে হয় না।
সরকার এখনও কোন প্রতিবাদ বা জবাব চেয়ে কোন চিঠিও পাঠায়নি। কেন? পাকিস্তানেতো ঠিকই জবাব চাওয়া হয়েছিল। তাহলে সরকারকি ধরেই নিয়েছে ভারত আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র। বন্ধুকে খুশি করার জন্য এক টুকরো জমি দিলেই বা কি হয়? ফেলানি হত্যা, বর্ডার নিয়ে সমস্যা, চিস্তার পানি, ফারাক্কা বাঁধের বিতর্ক, রামপাল বিতর্ক, সর্বশেষ ক্রিকেটেও বাংলাদেশকে অপমান করা। সবইত ভারতের অবদান। ১৯৭১ এ মুক্তিযোদ্ধায় সহায়তা ছিল কিন্তু নিজেদের স্বার্থেই, বাংলাদেশকে আত্নসাৎ করা। এগুলো কি আমরা ভুলে গেছি?
একবার মনে হল একটা গন আন্দোলনের ডাক দেই, কিন্তু কি হবে ডেকে। সব কিছু উজার করে দিয়ে আমরা যখন সর্বহারা, তখন ভাঙ্গা গলায় প্রতিবাদি স্লোগান না দিয়ে মিনমিনিয়ে হুযুর হুযুর করাই ভালো। এতেও যদি দু-পয়সা জোটে নেহাত মন্দ নয়।আমি নিজের কাছে হেরে গেছি, কিন্তু এখনও কান পেতে রই ঐ বুঝি ফেলানির বিচারের দাবিতে রক্ত মাখা ছবি নিয়ে গনজোয়ার বয়ে যাবে। শ্ত্রুর বিপক্ষে সোচ্চার ধবনিতে বাংলার আকাশ কেপে উঠবে। অপেক্ষায় থাকলাম।