সেই কবে হাজী শরীয়তুল্লাহ’র ফরায়েজী আন্দোলনে সাড়া দিয়ে
তৃতীয় প্রজন্মের মুসলমান কালিপদ হক ‘কালিপদ’ বর্জন করে হয়েছিল কলিমুল্লাহ হক
মুসলমানের সন্তানের বাংলা নাম রাখা নাকি হারাম!
তারপর হাজী সাহেবের ফতোয়া অনুযায়ী
কলিমুল্লাহ হক বিবিকে বলেছিলেন বোরকা-হিজাব পরতে আর
শীতলা-মনসা-লক্ষ্মীর পূজা ত্যাগ করতে
শুধু তো পূজা নয়, তারা ত্যাগ করেছিলেন ওই সব পূজা উপলক্ষে তৈরি খাদ্য এবং
আরও অনেক বাঙালি সংস্কৃতি
ওসব নাকি শিরক!
হকবাড়ির আজকের প্রজন্ম পহেলা বৈশাখ-নবান্ন উৎসবকে বলে হিন্দুয়ানী সংস্কৃতি
ওসব পালন করা নাকি মুসলমানের জন্য শিরক!
হকবাড়ির প্রজন্ম কি জানে, ইসলাম প্রতিষ্ঠার আগে কুরাইশরা ছাড়াও
আরও অনেক পৌত্তলিক গোষ্ঠী কাবামন্দিরে যেত হজ ও ওমরা পালন করতে?
হকবাড়িতে নারকেলের নাড়ু কিংবা মুড়ির মোয়া বানানো হয় না
কখনো নলেন গুড়ে খই মাখানো দূরে থাকুক, খই ভাজাই হয় না!
লুচি হয় না, পায়েস হয় না, নিরামিষও নয়
ওরা বলে এসব নাকি হিন্দুয়ানী খাবার!
তরকারীতে পাঁচফোড়ন?
ওয়াক থু, ওসব তো খায় মালাউন!
অথচ এখন শহরের রেস্তোরায় রেস্তোরায়
ইতালিয়ান, ফ্রেন্স, চাইনিজ, দক্ষিণ ভারতের খাবারের ছড়াছড়ি
ভিড়ে ঠাসাঠাসি, কলিমুল্লাহ হকের বংশধর হকবাড়ির ছেলে-মেয়েরাও যায়
‘ওয়াও’ ‘ওয়াও’ বলে চেটেপুটে খায়!
শিরকের ধুয়ো তুলে হকবাড়ির ছেলে-মেয়েরা
বদলাতে চায় বাংলার হাজার বছরের যত সংস্কৃতি
বংশ পরম্পরায় তারা যে বহন করছে হিন্দুর জিন
তার হবে কী?
পহেলা বৈশাখ, ১৪৩০।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




