আজব গরগন
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
প্রাণীজগৎ নিয়ে বিজ্ঞানীদের কঠোর অধ্যবসায় ও গবেষণার ফলে প্রায় ৫৭ বছর আগে জানা গিয়েছিল যে, পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ানক ও বড় আকারের প্রাণীর নাম ডাইনোসর। প্রাগ-ঐতিহাসিক যুগে বর্তমান সময় থেকে প্রায় ২০ কোটি বছর আগে দুনিয়াটাই ছিল ডাইনোসরদের রাজত্বে। ওদের ছোটাছুটি আর উৎপাতে গোটা জমিনই যেন থরথর করে কাঁপত। কিন্তু সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউন জাদুঘরের বিজ্ঞানী ড. রজার স্মিথ আবিষ্কার করেছেন আরও বিস্ময়কর এবং প্রাচীন এক হিংস্র ও ভয়ঙ্কর প্রাণীর ইতিহাস। তিনি জানিয়েছেন, এখন থেকে ২৫ কোটি বছর আগে অর্থাৎ ডাইনোসর যুগেরও ৫ কোটি বছর আগে পৃথিবীতে বিশাল আকৃতির যে ভয়ঙ্কর প্রাণী বাস করত এদের নাম ছিল গরগন। এদের মাথা ছিল সিংহের মতো। তবে ঘাড়ে কোনো কেশর ছিল না। যেমন সিংহীর ঘাড়ে কোনো কেশর থাকে না। আর গরগনদের শরীর ছিল অনেকটা কুমিরের মতো। এদের শরীরের চামড়া ছিল ভাঁজ ভাঙা কুঁচকানো। দূর থেকে দেখে মনে হতো যেন ডোরাকাটা, আসলে তা নয়। ওসব চামড়ার থপথপে ভাঁজ মাত্র। গরগনদের শুধু শরীরটাই ছিল দশ ফুট লম্বা। আর এদের থাবার নখগুলো ছিল ভীষণ শক্ত, পুরু এবং চার ইঞ্চি পরিমাণ লম্বা। এদের স্বভাবটাই ছিল ভয়ঙ্কর হিংস্র প্রকৃতির ও বেপরোয়া। এই প্রাণীদের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে অর্ধেক অঙ্গ স্তন্যপায়ী এবং অর্ধেক অঙ্গ সরীসৃপের মতো। এরা কখনো কখনো গণ্ডার অথবা মহিষের মতো পানিতে নেমে থাকলেও প্রকৃতপক্ষে গরগনরা স্থলচর প্রাণী ছিল। এদের অধিকাংশের বসবাস ছিল মরুভূমি ও পাহাড়ি অঞ্চলে। এদের গভীর জঙ্গল বা বনেও দেখা যেত। পৌরাণিক প্রাণীর নামে নাম হলেও বিজ্ঞানীদের মতে বাস্তবে গরগনদের বিষয়টি কিন্তু পৌরাণিক কাহিনী নয়। বিজ্ঞানীরা চীন, রাশিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকার দুর্গম অঞ্চলে গরগনদের কঙ্কালের অংশ খুঁজে পেয়েছেন। ফরেনসিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নিশ্চিত হয়েছেন এগুলো গরগনদের কঙ্কাল; ডাইনোসর বা গর্জিলার কঙ্কাল নয়।
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
পানির অপচয় রোধ: ইসলামের চিরন্তন শিক্ষা এবং সমকালীন বিশ্বের গভীর সংকট
পানির অপচয় রোধ: ইসলামের চিরন্তন শিক্ষা এবং সমকালীন বিশ্বের গভীর সংকট

পানি জীবনের মূল উৎস। এটি ছাড়া কোনো প্রাণের অস্তিত্ব সম্ভব নয়। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তা'আলা ইরশাদ করেন:
وَجَعَلۡنَا... ...বাকিটুকু পড়ুন
মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫….(৭)
ষষ্ঠ পর্বের লিঙ্কঃ মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫-….(৬)
০৬ জুন ২০২৫ তারিখে সূর্যোদয়ের পরে পরেই আমাদেরকে বাসে করে আরাফাতের ময়দানে নিয়ে আসা হলো। এই দিনটি বছরের পবিত্রতম দিন।... ...বাকিটুকু পড়ুন
হাদিকে shoot করে লাভবান হলো কে?

শরিফ ওসমান হাদি যিনি সাধারণত ওসমান হাদি নামে পরিচিত একজন বাংলাদেশি রাজনৈতিক কর্মী ও বক্তা, যিনি জুলাই গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে গঠিত রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র হিসেবে পরিচিত। তিনি ত্রয়োদশ... ...বাকিটুকু পড়ুন
আধা রাজাকারি পোষ্ট ......

আমি স্বাধীন বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছি। আমার কাছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, বা পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে আজকের বাংলাদেশের তুলনা—এসব নিয়ে কোনো আবেগ বা নস্টালজিয়া নেই। আমি জন্মগতভাবেই স্বাধীন দেশের নাগরিক, কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন
ইন্দিরা কেন ভারতীয় বাহিনীকে বাংলাদেশে দীর্ঘদিন রাখেনি?

কারণ, কোল্ডওয়ারের সেই যুগে (১৯৭১সাল ), আমেরিকা ও চীন পাকিস্তানের পক্ষে ছিলো; ইন্দিরা বাংলাদেশে সৈন্য রেখে বিশ্বের বড় শক্তিগুলোর সাথে বিতন্ডায় জড়াতে চাহেনি।
ব্লগে নতুন পাগলের উদ্ভব ঘটেছে;... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।