পুরানো পর্ব গুলো:
প্রথম পর্ব দ্বিতীয় পর্ব তৃতীয় পর্ব চতুর্থ পর্ব পঞ্চম পর্ব ষষ্ট পর্ব সপ্তম পর্ব অষ্টম পর্ব নবম পর্ব দশম পর্ব
নেপাল ইমিগ্রেশনের কাজ করতে ইমিগ্রেশন অফিসে ডুকতেই একদল ইয়ং যুবকদের সাথে দেখা। এরা তাদের ইমিগ্রেশনের কাজ করছে। আমি ইমিগ্রেশন অফিসে আমার পাসপোর্ট দেখাতেই যুবকদের মধ্য থেকে একজন এসে আমাকে বলল, আপনিতো বাংলাদেশী, আমরাও। আমরা পনেরজন আজ তিনচার হয় নেপালে এসেছি। আপনি কোথায় ছিলেন? এই কাকরভিটায়?
আমি বললাম, না আমি এসেছি আজ দশ বারো দিন হবে। কাটমুন্ডু ছিলাম, পোখারায় ছিলাম।
ইমিগেশনের কাজ তারাতারি করার জন্য ওরা এখানে টাকা দিতে বলল। অথচ এর আগে নেপাল ঢুকতে এখানে কোন টাকা লাগেনি। ওরাও টাকা (ইন্ডিয়ান রুপি) দিয়েই কাজ সেরেছে। আমি আর কিছু বললাম না ওদের মতো ৫০ রুপি দিয়ে কাজ সেরে বের হয়ে এলাম। রিক্সা নিয়ে কাকর ভিটা থেকে ইন্ডিয়ান ইমিগ্রেশনে চলে এলাম। এখানে যে যার মতো ফরম পুরণ করায় ব্যস্থ হয়ে পড়লো। ইমিগ্রেশন কাস্টমস এসব কাজ শেষে ওদের সবার সাথে পরিচিত হলাম। এসময়টা আমার এত ভাল লাগছিল যে ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। কারণ আমি এখনও বিদেশে অবস্থান করছি। এই প্রথম দেশের কোন লোকজনের সাথে আমার দেখা হল। ওদের একজন আমাকে জিজ্ঞেস করলো, এখন আমি কোন যাব। আমি বললাল, সরাসরি দেশে চলে যাব। ভাল লাগছেনা। অনেকদিন হয় দেশে যোগাযোগ করতে পারিনি। যদিও তোমাদের পেয়ে এখন আমার অনেক ভাল লাগছে। ওরা বলল, আমরা অনেকই দার্জিলিং যাব। তুমি যাবে আমাদের সাথে?
আমি বললাম, না।
ওরা বলল, দার্জিলিং এর এতো কাছে এসে দার্জিলিং না দেখে গেলে তোমার জীবন তো অপূর্ণ থেকে যাবে। এসময় বাংলাদেশে যেতে ইচ্ছুক দলে আমার নাম উঠানো হয়ে গেছে। অর্থাৎ আমরা দল বেধে কেউ দেশের দিকে আবার কেউ দার্জিলিং এর দিকে রওয়ানা হবো। আমার যেহেতু দেশে কোন কাজ নেই অন্য দিকে দার্জিলিং ভ্রমনের লোভাতুর গল্প শুনে দার্জিলিং যাওয়ার দলেই ভিড়ে গেলাম। যারা দেশে যাচ্ছে তাদেরকেও বললাম, তোমরাও চল সবাই মিলে মজা করবো।
চলবে....