খবর ১- কুর্মিটোলা সরকারী হাসপাতালে সব আছে, রোগী নেই।
আহা! বাংলাদেশ কত্ত এগিয়ে গেছে! পৃথিবীর আর দেশে রোগীর তুলনায় ডাক্তারই নিতান্ত অল্প, কিন্তু বাংলাদেশে ডাক্তার তো ডাক্তার, হাসপাতালের সংখ্যাই রোগীর চেয়ে বেশি। এই হাসপাতালটা যদি কুর্মিটোলায় চক্রাবক্রা ইউনিফর্ম পরা মহাপরাক্রমশালীদের এলাকায় না হয়ে একটা ঘনবসতিপুর্ণ সাধারণ মানুষের এলাকায় হত, তা হলেও কিন্তু কোন রোগী থাকতনা। থাকবে কিভাবে, দেশে 'এত্তগুলা' হাসপাতাল, এত্তগুলা রোগী কি আছে নাকি?? বরঞ্চ মহামহীমদের এলাকায় হওয়াতে একটা সুবিধা হয়েছে, মহামহীমেরা জুতা পালিশের মত করে সকাল বিকেল হাসপাতালটা পালিশ করে রাখতে পারছেন, বাইরে থেকে দেখতে 'এত্তগুলা' সুন্দর লাগে। বুঝতে হবে, বিদেশিরা তো এই পথেই শহরে ঢুকে... দেশের ইমেজ হুহু করে বেড়ে যাচ্ছে...
খবর ২- মিরপুর ডি,ও,এইচ,এস থেকে ক্যান্টন্মেন্ট পর্যন্ত ফ্লাইওভারটি ফাঁকাই পড়ে থাকে, গাড়ি নেই।
চিন্তা করুন, দেশে এত্ত এত্ত ফ্লাইওভার আর রাস্তা হয়েছে, যে সব খালি পড়ে থাকে। বাংলাদেশের দূরদর্শী সরকার আগামী ৫০ বছরের কথা চিন্তা করে এই ফ্লাইওভার বানিয়েছেন।দেশে এখন কোথাও কোন যানজট হয়না, এর প্রমাণ এই ফ্লাইওভার। এই ফ্লাইওভারটি যদি ১০ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক সহকারে মহামহীমদের বাসস্থান মিরপুর ডি,ও,এইচ,এস এর গুহ্যদ্বারে যুক্ত না করে কচুক্ষেত বা মিরপুর ১৩ নাম্বারে যুক্ত করা হত, তাহলেও কিন্তু এটা এমন ফাঁকাই থাকতো। কোন গাড়ি ওটা দিয়ে চলাফেরা করতো না। বরং এই দিক দিয়ে চালু করার কারণে দেশের সবচেয়ে জনগুরুত্বপূর্ণ একটি এলাকার (ডি ও এইচ এস) সাথে মূল শহরের যোগাযোগের পথ সুগম হল। দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় এটি একটি যুগান্তকারী ঘটনা।
ভুলে যাওয়া খবর ১- কুদরত-ই-খুদা, হেফাজত-ই-বাঙ্গালী, হুজুরেআলা, মহামান্য, মহামহীম চক্রাবক্রা ইউনিফর্ম-প্রধান ফরমায়েশ করেছেন, 'ক্যান্টনমেন্ট কে সরানো যাবেনা, প্রয়োজনে দেশের রাজধানী কে ঢাকা থেকে সরিয়ে অন্য কোথাও নিয়ে যাওয়া যেতে পারে।
ভুলে যাওয়া খবর ২- ক্যান্টনমেন্টে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে অশোভন আচরণ করলো চক্রাবক্রার পাল।
স্বস্তির খবর ১- সুনীল বাবু মারা গেছেন। এখন আর কেউ লিখবে না, 'শুওরের বাচ্চারাই সভ্যতার নামে জিতে গেল'...

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




