দ্রব্যমূল্য পৃথিবীর প্রতিটি দেশেই লাগাম ছাড়া ভাবে বেড়েছে।
ইউরোপ বলেন আমেরিকা বলেন পন্য সংকট খাদ্য মূল্যস্ফিতের চাপে সারা বিশ্বই দিশেহারা।
আর এই দুর্মুল্যের যুগে সবাইকে মাছ মাংশ খেতে হবে কেন?
সমবন্টন, সবাইকে সমান খেতে দিতে হবে। পৃথিবীতে কোথায় সমবন্টন আছে?
সমবন্টন সমান অধিকার নিয়ে লেনিন মাওসেতুং অনেক চেষ্টা করেছিলন, কিন্তু সমবন্টন সম্ভব হয় নি। পুঁজিবাদি ধনীদেশগুলোতেও অনেক সোশাল সিকুরিটি ভাতা পর্যাপ্ত থাকার পরও ক্ষুধা দারিদ্র দূর করা সম্ভব হয় নি।
দেশ যতই ধনী সমৃদ্ধ হোক না কেন সমাজের একটি ছোট অংশ দরিদ্র ক্ষুধার্থ থাকবে এটাই সত্য। ইওরোপ আমেরিকা কানাডার যে কোন বড় শহরে যান, রাস্তায় থাকা গৃহহীন ভিক্ষুক হাজারে হাজার।
বাংলাদেশে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে দরিদ্র মানুষ কষ্টে আছে সত্য। কিছু মানুষের মাছ মাংশ খাওয়া কমিয়েছে, সেটাও সত্য। তবে সার্বিক ভাবে মোট জনসংখা মাছ মাংশ খাওয়া বন্ধ করে নি। বরং বেড়েছে, পরিসংখানে বলে। আপনারা বলবেন কমেছে, অনেকেই বলবে কমেছে, কারন মিডিয়া ক্রমাগত বলে যাচ্ছে।
কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন।
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী করোনার মধ্যেও বিশ্বের যে তিনটি দেশ মাছ উৎপাদনে সাফল্য দেখিয়েছে তার মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ।
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) ‘দ্য স্টেট অব ওয়ার্ল্ড ফিশারিজ অ্যান্ড অ্যাকুয়াকালচার ২০২২’ শীর্ষক বৈশ্বিক প্রতিবেদন অনুযায়ী চাষের মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে তৃতীয় অবস্থানে (ছয় বছর ধরে পঞ্চম অবস্থানে ছিল), যা ২০২২ সালে মৎস্য খাতের অনন্য এক অর্জন।
গত ৩০ বছরে তিন দশকে মাছের উৎপাদন বেড়েছে ২৫ গুণ। মাংশ ও ডিম উৎপাদন অতটা না বাড়লেও কাছাকাছি বেড়েছে।
২০১০ সালের সর্বশেষ খানা জরিপে উঠে এসেছে। বাংলাদেশে গড়ে একেকজন মানুষ বছরে প্রায় ১২ কেজি মাছ খেত। এখন সেটা ৩০ কেজিতে পৌঁছেছে।
সুত্র - (যুগান্তর ২৮ আগস্ট ২০২১, প্রিন্ট সংস্করণ)
প্রথম আলো ছাপে ভেতরের পাতাতে, ছোট করে। যুগান্তরও ভেতরের পাতায় ছাপে।
স্বাধীনতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চাওয়া বিএনপি-জামাত শুশীল, ছাগুচক্রের একটা পুরনো প্রজেক্ট।
দ্রব্যমূল্য নিয়ে সবগুলো মিডিয়া বছরব্যাপি সিরিজ রিপোর্ট করছে। সরকার কাউকে কিছু বলেছে?
এর আগে কেন এতোটা রিয়েকশন আসেনি?
কারণ দিবসটা ছিলো আমাদের মুক্তিযুধের, স্বাধীনতা দিবস। এই দিবসে কুপির আলো জাতীয় স্মৃতিসৌধকে সামনের রেখে উদাস মুখে বাচ্চার মুখ দিয়ে স্বাধীনতাকে কটাক্ষ প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। অবশ্যই মারাত্মক উদ্দেশ্যমূলক। একটা বাচ্চা ফুল হাতে উদাস নেত্রে স্মৃতিসৌধে্র শিকের বাইরে বন্দি শহীদের দুয়ারে ফরিয়াদ করছে টাইপ একটা বিম্পি-জামাতি ফিল আনার চেষ্টা হয়েছে। "কি লাভ স্বাধীনতার? পাকিস্তান আমলেই ভাল ছিলাম"।
(কিন্তু ছাগুদের দুঃখ পাকিস্তানই দরিদ্র দেউলিয়া হয়ে গেছে)।
এটা অপরাধ। দ্রব্যমূল্য বাড়ছে, মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে কষ্ট বেড়েছে এটা ধ্রুব সত্য। এই সত্য প্রকাশের জন্য ছলচাতুরী বা প্রিপেয়ার্ড ক্যান্ডিটের দরকার হয়না। বাজারে রাস্তায় যে কাউকে জিজ্ঞেস করলেই পাবেন। সবাই বলবে।
শিশুটির নাম জাকির নয় সবুজ প্রকাশীত হওয়ার পর, পিঠ বাচাতে জাকির ভিন্ন লোক বলা হচ্ছে। এই মোবাইলযুগেও কথা রেকর্ড নেই। এডিটর নিজেই লিখেছে নিশ্চিত। কারন একজন শিশু বা দিনমুজুর খাবারের কষ্টের কথা বলবে, কিন্তু সরাসরি স্বাধীনতা, খাদ্য স্বাধীনতা নিয়ে কথা বলবে সেটা কতটা বাস্তব?
ছবিটা যে পরিকল্পিত ভাবে তৈরী করা সেটা পরিষ্কার।
৩০ লাখ রক্তের স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় স্মৃতিসৌধে গিয়ে টাকা দিয়ে দরিদ্র মানুষের অনুভূতি খুঁজতে যাওয়াকে সরল সিদ্ধান্ত মনে করা যাচ্ছে না কোন যুক্তিতেই?
মানুষ খাবার কিনতে কষ্ট পাচ্ছে সত্য। কিন্তু এর সাথে স্বাধীনতাকে কটাক্ষ ৩০লাখ শহিদের শৃতিসৌধ সামনে রেখে স্বাধীনতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার মানেটা কি?
প্রথম আলোর ভুলটা অবস্যই ইচ্ছেকৃত এবং উদেশ্যপ্রণোদিত। টাকা খেয়ে দেশের স্বাধিনতাবিরোধী গোষ্ঠিকে খুশি করার জন্য।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ৮:৪৪