বাংলাদেশে স্পারসো কাজ করে মুলত স্যাটেলাইট এবং মহাকাশ সম্পর্কিত প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান, বেশিরভাগ কাজ শুধুমাত্র আবহাওয়া আর কৃষি ভিত্তিক। স্পারসো SPARSO বাংলাদেশের একটি সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান, এটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীনে নয়। আবহাওয়া দফতরের মত প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে। যেটি কাজ করে ১৩টি ক্ষেত্র নিয়ে। এজন্য এর রয়েছে ১৩টি কারিগরি বিভাগ যার নেতৃত্বে রয়েছে সংশ্লিষ্ট বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাগণ।
স্পারসোর মুলকাজই আবহাওয়া ও কৃষিভিত্তিক ভু বিজ্ঞান।
১৯৭৪ এ বঙ্গবন্ধু বেতবুনিয়া ভূ উপগ্রহ কেন্দ্র উদ্বোধন করেন।
এই কেন্দ্র তৈরি হয়েছিল আমেরিকার সহায়তায় নাসার ল্যান্ডশ্যাট স্যাটেলাইট থেকে কৃষি ও ভুপ্রকৃতি উপাত্ত সংগ্রহের জন্যই।
এটি হওয়ার কয়েক বছর পর সংস্থাটি স্পারসো নামকরন হয়ে কাজ শুরু হয়েছিল। টেলি যোগাযোগ বাদে আমেরিকার নাসার ল্যান্ডস্যাট সেটেলাইট ও বেতবুনিয়া গ্রাউন্ড স্টেশন এর মাধ্যমে কৃষি মানচিত্র নির্মান ও বিনিময় করা ছিল এই সংস্থার অন্যতম কাজ।
বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠান কাজ করছে স্যাটেলাইট, বিমান ও ড্রোনের মাধ্যমে ডাটা তথ্য সংগ্রহ করে কতটুকু ফসল হবে, তার একটা এস্টিমেশন দেশের পরিসংখান বুরোকে সর্বরাহ করা। এগ্রোফরেস্ট্রি ও ওশেনোগ্রাফি নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। রিমোট সেন্সরিং এর মাধ্যমে ভূট্টা বা ধানের রোগ বা পোকার আক্রমন হয়েছে কি না, সেইটা নির্ধারণ করার চেষ্টা করা।
এসব মুল্যবান তথ্য উপাত্ত ও অন্যান্ন ডাটা একসময় পরিসংখান বুরোর মাধ্যমে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (FAO) এর কাছে যায়, এরপর হাতঘুড়ে বিশ্ব শেয়ারবাজার ফোরকাষ্টার ব্লুমবার্গ, ভিজুয়াল ক্যাপিটালিষ্ট ইত্যাদির কাছেও যায়। বিশ্বে মোট প্রডাক্ট উদ্বৃত্ব না ঘাটতি এই তথ্য শেয়ার বাজারের বিনিয়োগকারিদের কাছে প্রতিদিন সকালের অতি জরুরি বিষয়।
যা বলছিলাম, স্পারসোর মুলকাজই আবহাওয়া ও কৃষিভিত্তিক ভু বিজ্ঞান। সবকিছুই কৃষি রিলেটেড।
চাঁদে রকেট পাঠানোর চেয়ে বাংলাদেশের মতো কৃষিপ্রধান দেশে এসব কাজই বেশি দরকার।
অনেকে বোকার মত ভাবছেন চাষাভুষারা কিভাবে একটি দেশের মহাকাশ গবেষণা সংস্থার প্রধান হন?
স্পারসোর মুলকাজই আবহাওয়া ও কৃষিভিত্তিক, সংস্থার প্রধান হিসেবে একজন কৃষিবিদই বেষ্ট চয়েস। না হলেও সমস্যা ছিলনা।
পৃথিবীর সব উন্নত দেশে সরকারি সংস্থার প্রধান হবেন একজন সরকারের নিজস্য বিশ্বস্ত লোক, বিজ্ঞানী হওয়ার দরকার নেই।
উনি হবেন প্রধান এডমিনিসট্রেটর, পলিসি মেইকার ও মুল ডিসাইডিং অথারিটি। যিনি সরকারের নির্দেশিত পলিসি বাস্তবায়ন করবেন।
আমেরিকার নাসার বর্তমান চিফও কোন বিজ্ঞানী নয়। এমনকি লেখাপড়ায় বিজ্ঞানের ছাত্রও নয়।
নাসা চিফ বিল নেলসন ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ওকালতি পাশ করে ফ্লোরিডা বার এসোসিয়েশনের মেম্বার হয়ে ওকালতি করতেন। পরে রাজনীতি শুরু করেন। সিনেটর নির্বাচিত হয়ে জনপ্রীয় হয়েছিলেন। ২০২১ এ বাইডেন সরকারে ওনার নিয়োগও হয়েছে অন্যান্য এডমিনদের মত রাজনৈতিক বিবেচনায়।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১১:৫৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



