
শুধুমাত্র ধর্মের কারণে প্রতিবেশীকে শত্রু বানিয়ে রাখা কোন ভালো কাজ হতে পারে না।
সেটা পাকিস্তান বুঝেছে অনেক পরে। ততদিনে পাকিস্তান দেউলিয়া হয়ে গেছে। এখন পারমাণবিক বোমা চিবিয়ে খেলেও লাভ হবে না।
ইউরোপের দিকে তাকান প্রতিটি দেশ রেলওয়ে কানেক্টেড। এমনকি শীতল যুদ্ধের সময়ও সোভিয়েত ইউনিয়নের সাথে ইউরোপ রেলওয়ে কানেক্টেড ছিল। এখনো ইচ্ছে করলে ইস্তাম্বুল থেকে লন্ডন প্যারিস পর্যন্ত ট্রেনে করে যাওয়া যায়।
১৯৬৫ যুদ্ধের আগেও বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তান পর্যন্ত ট্রেনে করে যাওয়া যেত। প্রতিটি দেশে রেলওয়ে কানেক্টিভিটি একটি দেশের লাইফ লাইন। আন্ত দেশীয় রেলওয়ে কানেক্টিভিটি খুবই প্রয়োজনীয়।
ভারতের সাথে আমাদের তো শত্রুতা নেই।
ভারতের সাথে আমাদের কানেক্টিভিটি সেই পাকিস্তান আমল থেকেই ছিল। ভারতে সহজে যাওয়া আসা করার জন্য সস্তা লাল পাসপোর্ট ছিল। ভারতের সাথে বাণিজ্য এবং যাওয়া-আসা সব সময় অব্যাহত ছিল। কিন্তু বাংলাদেশ পৃথক হওয়ার পর পশ্চিমে পরিস্থিতি ভিন্ন। পাকিস্তান বর্ডার সম্পূর্ণ বন্ধ কেউ যাওয়া আসা করেনা। কোন বাণিজ্য নেই। আমরা তো পাকিস্তান স্টাইলে টোটালি বর্ডার বন্ধ করতে পারি না চলাচল বন্ধ করতে পারি না। সেটা আমাদের বেশি ক্ষতি হয়।
আর ঢাকা কলকাতা সরাসরি বাস সার্ভিস তো ১৯৯৭ থেকে আছে, মৈত্রি এক্সপ্রেস ট্রেন ও চলছে। বিএনপি ক্ষমতা আসার পরও বন্ধ করেনি অব্যাহত ছিল।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন হওয়ার বহু আগে থেকে ইউরোপের দেশগুলো রেলওয়ে কানেক্টেড। প্রথম মহাযুদ্ধ এবং দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সময়ও রেলওয়ে লাইন গুলো চালু ছিল। রাশিয়া হয়ে জাপানের কাছে ব্লাডিভষ্টক বন্দর পর্যন্ত। শত্রুতা সত্তেও। আর দ্বীপ রাষ্ট্র হওয়ার কারণে ব্রিটেন বিচ্ছিন্ন ছিল। কিন্তু ৭০ দশকে সমুদ্রের নিচে অনেক ব্যায়বহুল হওয়ার পরও জোড়া টানেল তৈরি করে বৃটেনের সাথে ফ্রান্স ও ইউরোপের সাথে রেল সংযোগ চালু করা হয়।
ছোট্ট দেশ লুক্সেমবার্গ বেশ নির্ভারভাবেই বৃহৎ প্রতিবেশীদের সাথে টিকে আছে। একই দৃশ্য ল্যাটিন আমেরিকা ও ক্যারাবিয়ান অঞ্চলের স্বাধীন দেশগুলোর ক্ষেত্রেও। যেখানে রেল নেই সেখানে বাস আছে, জাহাজ আছে। আর বিমান যোগাযোগ তো আছেই।
রেলওয়ে তথা আন্তদেশীয় যোগাযোগ কানেক্টিভিটি মানব সভ্যতার লাইফ লাইন। বাংলাদেশ থেকে শুধু ভারত কেন, আরো প্রসারিত হয়ে চীন পর্যন্ত যাওয়া উচিত।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জুন, ২০২৪ রাত ১১:৪২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




