somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রবাসী বাবার আদর বিহীন' মায়ের আদরে বড় হও

০৬ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ৩:০৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


আজ মায়া আর ভালোবাসা ত্যাগ করে অবশেষে প্রিয় সন্তানদের বিদায় দিয়েছি। এইতো কিছুদিন আগে আমার সন্তানেরা আমার কাছে বেড়াতে আসে। জন্মের পর থেকে তারা তাদের বাবা কে তেমন কাছে পাইনি। ছেলের বয়স ৪ বছরের উপরে তার কাছাকাছি যাওয়ার চেষ্টা কিন্তু তার কোন সাড়া নেই। প্রবাসী বাবা ও জেদ করেছে যতদিন তুমিই নিজেই বাবার কাছে আসবে না। ততদিন শত কষ্ট হলেও রেখে দিবো।
সেই আসা পরিপূর্ণতা লাভ করেছে। বাবার কোলে আসা, বাবার সাথে বাহিরে যাওয়ার জেদ করা, নামাজে দাঁড়ালে পিছনে কাঁধে উঠা
চুমু খাওয়া, এই ভালোবাসার ধারণ করার শক্তি নেই। পৃথিবীতে এত বিপদ, জীবনে এত সংকট। সবকিছু থেকে ওদের আগলে রাখতে
ইচ্ছা করে। কিন্তু আমি জানি সেটা সম্ভব নয়। তখন নিজেকে খুব অসহায় মনে হয়।সন্তান এরা চলে যাওয়ার শেষ সময়ে 'মুনতাহিনা' যেকোনো কাজে বাবা, বাবা ডাকা, মেয়ে এখন সব কিছুই বুঝে। ছেলে এখন বাবার জন্য পাগল। দরজা নক করতেই দৌড়ে আসা। ওদের হাত শক্ত করে ধারে রাখার জন্য, আমার নিজেকে আরও অনেক শক্ত হতে হবে।


এই দূর প্রবাস থেকে তোমাদের যে কত ভালোবাসি তা ভাষায় বর্ণনা করা যাবে না। মুমতাহিনা, মাশফি তারা তাদের বাবা কে সব
মিলিয়ে এক বছর কাছে পেয়েছে। আমি চেষ্টা করেছি তোমাদের কাছে রাখতে। কতটা বেদনার চাদরে ডাকা এই কালো জীবন, তোমার
বাবার মতো এমন লক্ষ লক্ষ বাবা পড়ে আছে প্রবাসে। নিজের সুখ আনন্দে কে বিসর্জন দিয়ে। আমি যদি হঠাৎ মরে যা-ই। তোমাদের বলা হবে না আমার কোন কোন গল্প। আমার পছন্দ অপছন্দ। পাওয়া না পাওয়া কথা। অথবা আমার স্বপ্ন গুলো।

সমুদ্রের সাঁতার, মনে হয় যেন এগোনোই যাচ্ছে না। মাঝে মাঝে তেমনই মনে হয়। হঠাৎ প্রচুর অর্থ আসতো। সব পরিবর্তন হয়ে যেতো।
সেই প্রচুর অর্থ যেন মরুভূমির পথের উপর মরীচিকা। কুমিল্লা টু ফেনির এক সময়ের সিকুইন বাসের মতো। একইভাবে জীবনকে ভালোবাসতে শেখায়, ঘৃণা করতে শেখায়, ভোগ করতে শেখায় সেই সাথে শেখায় ত্যাগের মহিমাও। এ যেন পৃথিবীর মধ্যেই লুকিয়ে থাকা আরেক পৃথিবী। পিতার আদর বিহীন মায়ের আদরে বড় হও তোমরা।

সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ৩:২৬
১৪টি মন্তব্য ১৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বিসিএস দিতে না পেরে রাস্তায় গড়াগড়ি যুবকের

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৫৫

আমাদের দেশে সরকারি চাকরি কে বেশ সম্মান দেওয়া হয়। আমি যদি কোটি টাকার মালিক হলেও সুন্দরী মেয়ের বাপ আমাকে জামাই হিসেবে মেনে নিবে না। কিন্তু সেই বাপ আবার ২০... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। আমের খাট্টা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৪



তাতানো গরমে কাল দুপুরে কাচা আমের খাট্টা দেখে ব্যাপারটা স্বর্গীয় মনে হল । আহা কি স্বাদ তার । অন্যান্য জিনিসের মত কাচা আমের দাম বাড়াতে ভুল করেনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪



উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ইতং বিতং কিচ্ছার একটা দিন!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩



এলার্ম এর যন্ত্রণায় প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার। পুরাপুরি সজাগ হওয়ার আগেই আমার প্রথম কাজ হয় মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করা, আর স্ক্রীণে এক ঝলক ব্লগের চেহারা দেখা। পরে কিছু মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কে কাকে বিশ্বাস করবে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৯


করোনার সময় এক লোক ৯৯৯ এ ফোন করে সাহায্য চেয়েছিল। খবরটা স্থানীয় চেয়ারম্যানের কানে গেলে ওনি লোকটাকে ধরে এনে পিটিয়েছিলেন। কারণ, ৯৯৯ এ ফোন দেওয়ায় তার সম্মানহানি হয়েছে।

সমাজে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×