যে ব্রান্ডের যে মডেলের বাইকই হোক না কেনো, বাইকের তেল খরচ অন্যতম গুরুত্বপুর্ণ বিষয়। কিছু বাইক রয়েছে যারা তেল সাশ্রয়ী হিসেবেই তৈরী করা হয়েছে যেমন বাজাজ ডিসকোভার ১০০ বা টিভিএস মেট্রো। কিন্তু আপনি চাইলেই আপনার বাইকের তেল খরচ কমাতে পারেন নিজের প্রচেষ্টাতেই। এই প্রচেষ্টাকে আমরা দুইভাবে ভাগ করতে পারি-
১. বাইক চালানোর পদ্ধতির পরিবর্তন
২. বাইকের যত্ন
বাইক চালানোর পদ্ধতির পরিবর্তন:
১. অতিদ্রুত স্পীড তুলবেন না, এতে প্রচুর তেলের অপচয় হয়। অতি দ্রুতগতিতে বাইক চালাবেন না। স্পীড লিমিট সর্বোচ্চ ৬০-৭০ কিমি রাখুন। তেল কম খরচ হবে।
২. দাড়ানো অবস্থায়(বা জ্যাম এ) ইনজিন বন্ধ রাখুন।
৩. একাধিক ব্যক্তি নিয়ে গাড়ী চালাবেন না। তেল/ইনজিন দুজনেরই ক্ষতি।
৪. ঘন ঘন ব্রেক করলে তেল খরচ বেশি হয়।
বাইকের যত্ন:
১. ভেজালমুক্ত তেল ব্যবহার করুন। ভেজালযুক্ত তেল ইনজিনে গিয়ে সঠিকভাবে পুড়তে পারে না, ফলে তেলের অপচয় হয়।
২. নিয়মিত কার্বুরেটর পরিস্কার করান, চেক করান। কার্বুরেটরের মাধ্যমেই ইনজিনে তেল প্রবেশ করে। এখানে তেলের পরিমান নির্ধারন করা হয় কতটুকু তেল ইনজিনে যাবে। কার্বুরেটরে ময়লা জমলে ইনজিনেও ময়লা সহ যেতে পারে যা সঠিকভাবে তেল পুরতে বাধা দিবে, তেল অপচয় হবে। আবার কার্বুরেটর সঠিকভাবে টিউনিং করা না থাকলে ইনজিনে তেল বেশি যেতে পারে। প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত তেল পুড়ানোর ক্ষমতা ইনজিনের থাকে না উল্টো তেলের অপচয় হবে, স্পার্ক প্লাগ নষ্ট করবে।
৩. এয়ার ফিল্টার পরিস্কার করান নিয়মিত। এয়ারফিল্টার ময়লা থাকলে ইনজিনে প্রয়োজনের তুলনায় কম বাতাস যাবে, ফলে ফুয়েল বার্নের সময় ইনজিন কম অক্সিজেন পাবে ফলে তেলের অপচয় হবে।
৪. চেইন নিয়মিত পরিস্কার রাখুন এতে বাইকে সঠিক গতি পাবেন।
৫. টায়ারে পর্যাপ্ত বাতাস রাখুন। এতে গতির অপচয় হবে না।
৬. ব্রেক গুলো নিয়মিত চেক করুন। ব্রেক বেশি টাইট থাকলে বা চাকা হাল্কা লক হয়ে থাকলে তেল বেশি পুড়বে।
৭. স্পার্ক প্লাগ পরিস্কার রাখুন, নিয়মিত পরিবর্তন করুন। স্পার্ক প্লাগ তেল সাশ্রয়ে অন্যতম অংশ।
৮. বাইক নিয়মিত ভালো জায়গা থেকে সার্ভিসিং করান এবং ইনজিন অয়েল(মবিল) নিয়মিত পরিবর্তন করুন।
হ্যাপি বাইকিং