এর আগে কোনোদিন কোরআন শরীফ পড়িনি, আজ প্রথম ভালভাবে পড়তে শুরু করলাম। কোরআন শরীফের প্রথম সূরার প্রথম আয়াতেই “বহু জগত” অর্থাৎ আমাদের এই জগতের মানুষদের মতই যে অন্য আরো জগত আছে, যেখানে আমাদের মতই মানুষ বসবাস করে, সেই কথাটা বলা আছে!
প্রথম আয়াত (আলহামদু লিল্লাহি রাব্বুলআলামীন) এর ব্যাখ্যা সহকারে অর্থ করলে হয়ঃ যে আল্লাহ, আমাদের বিদিত অবিদিত “সমস্ত জগতের” “সমস্ত বস্তুকে” পালন করেন, এক অবস্থা থেকে অন্য অবস্থায় উন্নত করে তাকে পূর্ণতার চরম সীমায় পৌঁছিয়ে দেন-সমস্ত মহিমা তাঁরই। (সূত্রঃ কোরআন শরীফ (বাংলা অনুবাদ ও বিস্তারিত তফছির), প্রথম খন্ড, মোহাম্মদ আকরাম খাঁ)।
এখানে সমস্ত জগত এর ব্যাখ্যা করতে গিয়ে লেখক লিখেছেনঃ “আমাদের অধ্যুষিত এই দুনিয়া ছাড়াও আরো বহু জগত যে আল্লাহর কুদরতে বিরাজমান আছে, এই আয়াতে তাহারো স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যাইতেছে। ইহা ব্যতীত আরো অনেক রকমে জগত শব্দের ব্যবহার আছে, যেমন জীবজগত ও জড়জগত, ভৌতিক জগত ও আধ্যাত্মিজ জগত। মানুষ, ফেরেশতা, প্রভৃতিকেও কেহ কেহ বিভিন্ন আলম বা জগত বলিয়াছেন। কোরআনের লক্ষ্য ও উপাস্য আল্লাহ, মানুষের বিদিত অবিদিত সকল প্রকারের সমস্ত জগতের রব। ............ প্রায় চৌদ্দশত বছর পূর্বে আরবের নিরক্ষর নবী স্পষ্ট করিয়া বলিয়া গেছেন যে, আমাদের অধ্যুষিত এই দুনিয়া ব্যতীত এমন আরো কতিপয় জগত বিদ্যমান আছে- যেখানে আমাদিগের ন্যায় মানুষ বসবাস করিয়া থাকে।”
তার মানে একশ্রেনীর বিজ্ঞানী ও গবেষক যে Alien existence নিয়ে কথা বলছেন, সেটা অমূলক নয়!

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




