
ভিডিওতে দেখা যায়—চলন্ত একটি সিএনজি অটোরিকশার পেছনে এক যুবক ঝুলছেন।
ভেতরে থাকা একজন হাত বাড়িয়ে ছু’রি দিয়ে তাকে আঘাত করার চেষ্টা করছে।
যে ঝুলছিলেন, তিনি কোনো ছিনতাইকারী নন—তিনি ওই সিএনজির চালক!
নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তিনি নিজের গাড়ি, নিজের রুটি-রুজি রক্ষার চেষ্টা করছেন।
ঘটনাটি নারায়ণগঞ্জের।
কালবেলা ও কালের কণ্ঠসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এই ঘটনার খবর এসেছে।
এই দৃশ্য যেন এক ভয়ঙ্কর প্রতিচ্ছবি—আমাদের সময়ের, আমাদের সমাজের।
এক সময় আমরা বলতাম—বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
হ্যাঁ, উন্নয়ন হয়েছে, রাস্তাঘাট হয়েছে, ভবন উঠেছে, আলো বেড়েছে।
কিন্তু সেই আলোর নিচেই কি আমরা হারাচ্ছি মানবিকতা?
একজন শ্রমজীবী মানুষ যখন নিজের জীবন বাজি রেখে গাড়ি বাঁচাতে ঝুলে থাকেন,
তখন শুধু একজন চালকের সাহস নয়—
এটা পুরো সমাজের নিরাপত্তাহীনতার প্রতিচ্ছবি।
আজ মানুষ শুধু জীবিকার জন্য নয়, বাঁচার জন্যও লড়ছে।
আইনশৃঙ্খলা, সামাজিক মূল্যবোধ, মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতা—
সবকিছুই যেন ধীরে ধীরে ফিকে হয়ে যাচ্ছে।
এই বাংলাদেশ আমরা চাইনি।
যে বাংলাদেশে একজন ভাই নিজের রুটির গাড়ি বাঁচাতে জীবনকে ঝুঁকির সামনে ফেলবে,
আর পাশের মানুষ ভিডিও করবে—সাহায্য নয়, শেয়ার দেবে!
আমরা উন্নয়ন চাই, কিন্তু সেই উন্নয়নে মানবিকতা থাকতে হবে।
আমরা আধুনিকতা চাই, কিন্তু তার সঙ্গে মানুষত্ব যেন হারিয়ে না যায়
এই পোস্টটি কোনো নেতিবাচকতা ছড়ানোর জন্য নয়—
বরং আমাদের সবাইকে একটু ভাবানোর জন্য।
যাতে আগামীতে কোনো সিএনজি চালককে ঝুলে নিজের জীবন বাঁচাতে না হয়,
যাতে আমরা সত্যিকারের “ভালো লাগার বাংলাদেশ” ফিরে পাই।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে অক্টোবর, ২০২৫ সকাল ৮:১২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




