হৃদয়-সীমান্তের চারিপাশ ঘিরে ঘুটঘুটে অন্ধকারের বিষাক্ত ফনার ফোস ফোস গর্জন ধ্বনিতে, আর্তনাদে ফেটে পড়ে অবলা মন। ভেজা ভেজা বাতাসের গাঁ থেকে বের হয়ে আসা শান্তনার গন্ধকে আকড়ে ধরে বাঁচতে চাওয়া, বেঁচে থাকা শেষ স্বপ্নটির অপমৃত্যুর যন্ত্রণায় সমস্ত অন্তর আকাশে কান্নার রোলধ্বনির সরগোল।
দিগন্ত জুড়ে বিছিয়ে রাখা মেঘগুলো বাতাসের গাড়িতে চড়ে কেমন উদাস ভঙ্গিতে ভেসে যাচ্ছে, যেন পড়ন্ত কোন এক দুপুরে উদাসী কবি দু'মুঠো খেয়ে, ঝোলাটা কাঁধে নিয়ে রওয়ানা হলো পুরোনো গন্তব্যের রথে।
নীরবে নিভৃতে ঝরে যাওয়া বাহারি ফুলগুলোর খোঁজ, আজও নিতে আসলো না কেউ, হয়তো কখনো আসবেও না। সারা রাত্তিরে ঝরে যাওয়া ফুলগুলোকে কুলোয় সাজিয়ে এই যে সারাদিন বসে থাকা, এ জীবনে তার খবর কারও কানে যে পৌছবে না তা আমার বোঝা হয়ে গেছে। পত্রিকায় কত খবর আসে, টেলিভিশন জুড়ে খবর আর খবর, দেশ-বিদেশের কোথায়, কোন আনাচে-কানাচে কি হচ্ছে.. সব খবরই আসে, শুধু আমারটা ছাড়া। সাংবাদিক ভাইয়্যারা বোধ হয় আমার উপর খুব রাগ করে আছে, তাই আমার কোন খবর ছাপা হয় না কোথাও।
কবিতা লেখার পুরোনো ডায়রীটাও ছিড়ে গেছে আজ বেশ কয়েকদিন হলো, ঠিক করবো করবো করেও করা হচ্ছে না। বারান্দার টবে সখ করে লাগানো ফুলগাছগুলোও কেমন ফ্যাকাশে হয়ে যাচ্ছে দিন দিন।
বিষন্নতার কয়েকটি ঝিঁ ঝিঁ পোকার ঝিঁ ঝিঁ গান শুনে শুনে কখন যে সময় পার হয়ে যায় বুঝতেই পারি না। দিনের বিদায়ে রাত আসে রাতের বিদায়ে দিন, ক্লান্তিহীন কলুর বলদের মতন সময়ের চাকাও ছুটতে থাকে সময়ের পিছু পিছু। আমি একাকি, বসে রই শুধু.. চারিধার আমার, যেন মরু ধু ধু.. নিশ্চল নিশ্চুপ মনে গেয়ে যাই নীরবতার গান। নীরবতা ভেঙে বার বার যাই, দূর রাখালের মধু-বাঁশীর টানে.. ফিরে আসি, সাথে করে নিয়ে আসি একরাশ হতাশার মেঘ আর দুইমুঠ হতাশার বালি।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


