০১) সনাতন উপনিষদে আছে ”ঈশাবাস্য মিদং সর্বং যৎকিঞ্চ জগতাং জগৎ” অর্থাৎ- একমাত্র ঈশ্বর জগতের সবকিছু বেষ্টন করে আছেন।
কোরাণে আছে ”ওয়া কানাল্লাহু বিকুল্লে শাইঈম মুহিত”।
০২) সংস্কৃত একটি শ্লোক আছে ”অসিত গিরি সমং স্যাৎ কজ্জলং সিন্ধু পাত্রে সুর তরুবর শাখা লেখনি পত্রমুর্বী লিখতি যদি গৃহিত্বা সারদা সর্বকালং তদপিন্ডব গুনানামীশ পারং ন যাতি” অর্থাৎ- সমস্ত সাগরে নীল পর্বত মিশ্রিত করে যদি কালি তৈরী করা হয়, আর সমগ্র বৃক্ষরাজি-শাখা যদি কলমে পরিণত হয়, আর পৃথিবীরূপ বিস্তৃত কাগজে যদি অনন্তকাল ধরে লেখা হয় তবুও ঈশ্বরের গুনসমুহের সীমা পাওয়া যাবে না।
কোরাণে বলে ”ওলাও আন্না মাফিল আরদে মিন শাজারাতিনআকালা মুউ ওয়াল বাহারু ইয়ামুদ্দুহু মিমবাদিহি ছাবআতু আবহুরিম মা নাফিদাত কালিমাতুল্লাহ।” অর্থাৎ-পৃথিবীর সমুদয় বৃক্ষরাজি যদি কলম হয় আর সমস্ত সমুদ্র ও আরও অতিরিক্ত সাত সমুদ্র কালি হয়, তবুও আল্লাহর গুনাবলীর কথা লিখে শেষ করা যাবেনা।
০৩) প্রাচীন মিশরীয় দেবতা আতম ও সিথ থেকেই আদম ও শীশের আগমন। (The crescent and the bull)
০৪) সনাতন ধর্মানুযায়ী আদি দেবকে নর-নারায়ন ঋষি বলা হয়ে থাকে, কারণ নরের মধ্যে নারায়নের বিকাশ হয়েছিলো বলেই তিনি নর-নারায়ন। বাইবেলে আছে ঈশ্বর নিজ প্রতিমূর্তিতে আদমকে সৃষ্টি করেন (আদি, ১ঃ২৭)।
হাদিসে আছে- ”খালাকাল আদামা আলা সুরতিহি” অর্থাৎ- আল্লাহ আদমকে নিজ আকৃতিতে তৈরী করেন।
ইনসান শব্দটি ইনস্ ধাতু থেকে উৎপন্ন। ইনস্ এর দ্বিবচন হলো ইনসান অর্থাৎ যার ভিতর দুটি আত্মার (মানুষ ও স্রষ্টা) মিলন হয়েছে।
০৫) সনাতন ধর্মানুযায়ী; নর-নারায়ন-কে সৃষ্টির পর স্রষ্টা ঘোষণা করেন ”অবতারং করিয্যামি তত্র মা মর্চয় প্রিয় (আনন্দ সংহিতা ১৭/২৭.২-২৮.১)” অর্থাৎ- সবাই যেন এই অবতারের অর্চনা করে।
কোরানেও আছে- আল্লাহ আদমকে সিজদা করার জন্য সবাইকে নির্দেশ দিয়েছিলেন (২ঃ৩৪)।
০৬) বাইবেলের মতে আদমের পাঁজর থেকে ইভ/হবা/হাওয়াকে সৃষ্টি করা হয় (আদি, ২ঃ২২-২৩)।
অনুরূপ দেখা যায় আদি দেবের ঊরু থেকে এক নারীর উৎপত্তির কথা (স্কন্ধ পূরাণ ৫/৩/১৯২/৪১-৪)। ঊরু থেকে জন্ম নেওয়ায় সেই নারীর নাম ঊর্বশী (নিরুত্ত ৫/১৩)।
০৭) আদি দেবকে কাম দেব দ্বারা পরীক্ষা করা হয়েছিলো (বিষ্ণু ভাগবত পুরাণ ১১/৪/৭-১৬)।
একই রকম দেখা যায় কোরানে আদমকে শয়তান দ্বারা পরীক্ষা করার ব্যাপার।
ক্রমশ...
"প্রাককথন"
"একক ঈশ্বর প্রসঙ্গ"
"বিবিধ প্রসঙ্গ"
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে আগস্ট, ২০০৮ সকাল ১১:৩৩