২০০৪ সাল তখন ইন্টারে পড়ি।সে সময় ডায়েরী লিখতাম।ওটাই ছিল আমার এখন পর্যন্ত প্রথম আর শেষ ডায়েরী লেখা।সে সময় কবিতা লেখার চেষ্টা করতাম।জানিনা সে গুলো আদৌ কোন কবিতা হত কিনা।অনেক দিন পরে পুরানো ডায়েরীটা দেখতে গিয়ে মনে হল সেই সব কবিতার কিছু আপনাদের সাথে শেয়ার করি।
এখনও মনের ভেতর অনেক কথার ভিড় জমে শুধু লেখা হয়না এই আর কি।
থাকে শুধু স্মৃতি।
শেষ হয়ে যায় সময় খুব তাড়াতাড়ি
এরই মাঝে কেউ স্বপ্ন দেখে ঘর বাধে
কারও স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যায়
ঘর বাধাটাও হয় নিরর্থক
এই সময়ের মাঝে কেউ রচনা করে কবিতা
কবিতা সে তো মনের প্রতিচ্ছবি
হৃদয়ের কোন থেকে বেরিয়ে আসা কথা
স্বপ্ন দুঃস্বপ্ন করে কেটে যায় এই সময়
তার মাঝে থাকে, থাকে শুধু স্মৃতি।
অর্পন
ঝর্না নিজেকে অর্পন করে নদীর কাছে
ফুল নিজেকে অর্পন করে ভ্রমরের কাছে
নদী নিজেকে অর্পন করে সাগরের কাছে।
পাহাড় নিজেকে অর্পন করে অরন্যর কাছে
বৃষ্টি নিজেকে অর্পন করে প্রকৃতির কাছে।
কবি নিজেকে অর্পন করে কবিতার কাছে
আমি আমাকে করেছি তোমার কাছে অর্পন।
সেই শীতের সকালে
হাড় কাঁপানো শীতের সকালে কুয়াশার সাদা চাদর পরে
গ্রামের মেঠো পথ ধরে হেটে গিয়েছি অনেক দূরে।
মাঠ ভরা হলদে সরিষা ফুল গুলি আমাকে স্বাগত জানিয়েছে বারবার
স্বাগত জানিয়েছে রাস্তার দুধারে ঘাসের উপরে জমে থাকা শিশির বিন্দু।
এখনও শীত আসে আমাকে স্বাগত জানাতে অপেক্ষা করে হলদে সরষে ফুল আর শিশির বিন্দু
কিন্তু এই শহরের ব্যস্ততার মাঝে আমি হয়ে উঠেছি যন্ত্র মানব।
সেই শীতের সকাল আমার জীবনে আর ফিরে আসে না।
বিষাক্ত পদাচারনা
রাত এসেছে পৃথিবীর বুকে
রাতের রুপ কালো
তুমি এসেছিলে এক রাতে
তোমার পদচারনায় পৃথিবীটা হাপিয়ে উঠেছিল
পৃথিবীর বুকে কষ্ট হচ্ছিল।
তোমার নিঃস্বাশটা ছিল বিষাক্ত ভিষন বিষাক্ত
তুমি চলে যাও পৃথিবীটা বাঁচুক নতুন স্বপ্ন নিয়ে।
অদৃশ্য দেওয়াল
একটা অদৃশ্য দেওয়াল তোমার আর আমার মাঝে
মনের আয়নায় সে দেয়ালটা খুব স্পস্ট ভাবে দেখা যায়।
এ দেয়ালটা খুব মজবুদ একটা ভিত গড়েছে
যা হয়তো কোনদিনও ভাঙা যাবে না।
জানি আমি খুব ভালবাবেই এ দেয়ালটা কিসের
তুমি বল আমি শুনি
না বললে বলনা আমিই বলছি এ দেয়ালটা অভিজাত্যের
তুমি আগুনের স্ফুলিঙ্গ
তোমাকে ছুতে যাওয়া মানে আগুনকেই স্পর্শ করা
আগুনকে স্পর্শ করব আমি
অত ছেলে মানুষ আমি নয়।